সাতক্ষীরায় শিশু কন্যাকে পুড়িয়ে ও মাকে পিটিয়ে হত্যা
Published: 20th, February 2025 GMT
সাতক্ষীরায় দুই মাসের কন্যাশিশুকে পুড়িয়ে হত্যার পর নিজের বৃদ্ধা মাকেও পিটিয়ে হত্যা করেছে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর ইউনিয়নের নুনগোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত আঁখি আক্তার শান্তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
নিহত শিশু আশরাফী খাতুন (২ মাস) সদর উপজেলার কুশখালী গ্রামের আজহারুল ইসলাম ও আঁখি আক্তার শান্তা (৩২) দম্পতির কন্যা এবং হোসনে আরা বেগম (৬৫) একই উপজেলার নুনগোলা গ্রামের মৃত খোদাবক্স মেম্বরের স্ত্রী ও শান্তার মা।
আরো পড়ুন:
দেবরের ছুরিকাঘাতে ভাবির মৃত্যু, গ্রেপ্তার ৪
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যবসায়ী হত্যায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
স্থানীয়রা জানান, প্রায় এক বছর আগে কুশখালী গ্রামের আজহারুল ইসলামের সঙ্গে শান্তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শান্তা তার স্বামীর বাড়ি অবস্থান করছিলেন। সম্প্রতি তিনি মাঝে মাঝে মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন। আর এ কারণে স্বামী আজহারুল বুধবার তার স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে আসেন। বৃহস্পতিবার স্ত্রী ও সন্তানকে রেখে তিনি বাড়িতে যান। এরই মধ্যে দুপুর আড়াইটার দিকে শান্তা তার মেয়ে আশরাফীকে জ্বলন্ত চুলার মধ্যে ফেলে দেয়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে শান্তার মা হোসনে আরা বেগম শিশুটিকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসেন। এ সময় শান্তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে সজোরে তার মায়ের মাথায় আঘাত করলে ঘটনাস্থলে মারা যায় হোসনে আরা। এরই মধ্যে চুলার আগুনে পুড়ে মারা যায় শিশু আশরাফী। পরিস্থিতি ভয়াবহতা বিবেচনা করে স্থানীয়রা শান্তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার ব্রক্ষরাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন জানান, তিনি এলাকায় না থাকায় বিষয়টি জেনে সেখানে এক ইউপি সদস্যকে পাঠিয়েছেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীমুল হক বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, শান্তাকে পুলিশ হেফাজতে আনা হয়েছে।
তিনি আরো জানান, মরদেহ দুটি উদ্ধার ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ঢাকা/শাহীন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।
গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’
নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’
ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।