নাট্য পরিচালকদের সংগঠন ডিরেক্টরস গিল্ডের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নির্বাচন শনিবার। বরাবরের মত এবারও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে দুটি প্যানেল। একটি প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী অভিনেতা-নাট্য পরিচালক শহীদুজ্জামান সেলিম এবং অন্য প্যানেলে সভাপতি প্রার্থী অভিনেতা-পরিচালক সালাহউদ্দিন লাভলু।

জানা গেছে, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। মাঝে থাকবে এক ঘণ্টার বিরতি। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৫০১। এবারের নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রয়েছেন নাট্যব্যক্তিত্ব নরেশ ভূঁইয়া। তাঁর সঙ্গে নাট্যকার মাসুম রেজা ও চলচ্চিত্র নির্মাতা আবদুস সামাদ খোকন দায়িত্ব পালন করবেন।  

অভিনেতা ও নির্মাতা শহীদুজ্জামান সেলিম বলেন, ‘সবার ভালোবাসা, সমর্থন ও সমর্থন পেয়ে এর আগেও ডিরেক্টরস গিল্ডের সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছিলাম। আশা করছি, এবারও ভোটারদের সমর্থন পেয়ে বিজয়ী হব। প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি নয়, নির্বাচিত হলে নির্মাতাদের স্বার্থ সংরক্ষণের দায়িত্ব সুচারুরূপে পালন করার ইচ্ছা রয়েছে।

অভিনেতা ও নির্মাতা সালাহউদ্দিন লাভলু বলেন, ‘এবারের নির্বাচন সবচেয়ে উৎসবমুখর হবে। সর্বাধিকসংখ্যক সাধারণ ভোটার ভোট প্রদান করবেন। ভোটার সংখ্যা ৫০১ জন। আমরা চাই সব ভোটারই এবার উপস্থিত থাকুক। তারা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করুক। সাধারণত মিডিয়াসংশ্লিষ্ট নির্বাচনগুলো খুবই উৎসবমুখর হয়। এবারও সে রকমই হবে আশা করছি। বাকিটা দেখা যাক কী হয়। 

নির্বাচন নিয়ে সাধারণ নির্মাতাদের আগ্রহ অনেক। নির্মাতা জুয়েল মাহমুদ বলেন, আমাদের শিল্প, সংস্কৃতিকে বোঝেন এমন একজন মানুষকে চাই। আশা করছি, ভোটাররা তাদের যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেবেন। নির্মাতা কায়সার আহমেদও একই আশা ব্যক্ত করেছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আলিসের ফিরতে হবে পরের বিপিএলে

শেষ বিপিএলে চমক দেখিয়ে আবারো লাইমলাইটে চলে এসেছিলেন আলিস আল ইসলাম। মনে হচ্ছিল, এবার বুঝি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজের জায়গটা পাকাপোক্ত করতে পারবেন। কিন্তু ভাগ্যের কী নির্মমতা। বিপিএলের ফাইনালে নিজের দল চিটাগং কিংসকে তুলে ফাইনাল খেলতে পারেননি। হাঁটুর চোটে ছিটকে যান ফাইনাল থেকে। এরপর তাকে যেতে হয়েছে চিকিৎসকদের ছুরি কাঁচির নিচে। দেশের বাইরে অস্ত্রোপচার শেষ করেছেন। এখন আছেন পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায়। ২২ গজে ফিরতে তাকে অপেক্ষা করতে হচ্ছে আরেকটি বিপিএলের। আগামী নভেম্বর-ডিসেম্বরে হতে পারে বিপিএল। সেই প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখেই মাঠে ফেরার পরিকল্পনা করছেন বৈচিত্র্যময় স্পিনার। 

রাইজিংবিডি-কে মুঠোফোনে আলিস বললেন, ‘‘আগামী বিপিএল দিয়ে আমার মাঠে ফেরার পরিকল্পনা। এর আগে চাইলেও পারব না। কারণ আমার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া লম্বা হবে। এ প্রক্রিয়ায় আমি কেমন করি সেটার ওপর নির্ভর করবে আমার ফেরা। বিপিএলে এখনো সময় আছে। এজন্য চাইচ্ছি ধীর-স্থির গতিতে আগাতে। বোলিং কিংবা রানিং বা হাঁটা কবে শুরু করতে পারবো— এসব কিছুই এখনো ঠিক হয়নি। আপাতত আমাকে প্রপার ডায়েট, কিছু এক্সারসাইজ, কিছু থেরাপি আর মেডিটেশন করতে হবে। এসব করলে আমার ফেরার প্রক্রিয়ায় দ্রুত এগিয়ে যেতে পারব।’’ 

হাঁটুর এসিএল (অ্যান্টেরিয়র ক্রুসিয়েট লিগামেন্ট) চোটে পড়েছেন আলিস। অস্ত্রোপচার বাধ্যতামূলক ছিল। মালয়েশিয়ায় গত মাসে করানো হয় আলিসের অস্ত্রোপচার। ২১ দিন পুরোপুরি বিশ্রামের পর গত সপ্তাহে শুরু হয় তার পুনর্বাসন। এ ধরণের অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে ৯ মাস সময় লাগে। প্রকারভেদে আরো অনেক বেশি ও কম সময় লাগতে পারে। যেমন, ইবাদত হোসেনেরই লেগেছে প্রায় ১৩ মাস। আলিসের কম সময় লাগতে পারে স্পিনার হওয়াতে। দ্বিতীয়ত, কিভাবে নিজেকে যত্ন করছেন সেটাও নির্ভর করছে। 

আরো পড়ুন:

খুলনায় ‘সেরা সাঁতারুর খোঁজে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতা শুরু

টিভিতে আজকের খেলা 

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশিষ চৌধুরি বলেছেন, ‘‘আমাদের টার্গেট নেক্সট বিপিএল। আমরা চাইছি সে যেন বিপিএলটা খেলতে পারে। দেখা যায় এসিএলে ৯ মাস সময় লাগে। আমরা সেটা ওভারকাম করতে চাচ্ছি। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার ওপর নির্ভর করবে, কবে নাগাদ বোলিং শুরু করতে পারবে। বিপিএলটা টার্গেটে রেখে এগোনোর চেষ্টা করছি।” 

২০১৯ সালে  বিপিএলে যাত্রা শুরু করার পর অনেক চড়াই উৎরাই হয়েছে। বোলিং অ্যাকশন শোধরানো লেগেছে। ইনজুরিতে দেড় বছর বাইরে কাটিয়েছেন। তবুও ফিরে এসে বারবার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এবারও বিশ্বাস, ফিরে এসে নিজের ছন্দেই থাকবেন তিনি। 

ঢাকা/ইয়াসিন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ