চীনের কুনমিংয়ে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের উদ্যোগে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিদের অংশগ্রহণে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) প্রথম প্রহরে কনসাল জেনারেল মো. খালেদ কনস্যুলেটের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতিতে কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মাধ্যমে শহীদ দিবসের কর্মসূচির সূচনা করেন।
কনসাল জেনারেল ও কনস্যুলেট পরিবারের সদস্যরা কনস্যুলেট প্রাঙ্গণে স্থাপিত অস্থায়ী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এর পর ইউনানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিদেশিরা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
কর্মসূচির দ্বিতীয় ভাগে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, ভাষা শহীদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
ভাষা শহীদ ও জুলাই গণঅভুত্থানের শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
উপস্থিত অতিথিরা ভাষা আন্দোলন ও জুলাই গণঅভুত্থানের ওপর নির্মিত ভিডিওচিত্র উপভোগ করেন। ইউনান বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পরিবেশিত বাংলা গান সবাইকে আপ্লুত করে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে ইউনান মিনজু বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক গান লুটিং ভাষা আন্দোলন ও ক্ষুদ্র ভাষাভাষিদের সংস্কৃতি রক্ষায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে বিশেষ প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
কনসাল জেনারেল মো.
তিনি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষায় সবাইকে সজাগ ও সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে আগত অতিথিদের বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী খাবার ও পানীয় দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।
ঢাকা/হাসান/রফিক
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কনস য ল ট
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।