বড় জয় দিয়ে ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখল বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। পাঁচটি লোনাসহ ৫৩-২৯ পয়েন্টে নেপালকে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।

৫১ বছর পর আবারও ঐতিহাসিক মুহূর্ত ফিরে এলো কাবাডিতে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল কাবাডি টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় বারের মতো আবার শুরু হলো কাবাডির এই টেস্ট সিরিজ। পল্টন ময়দানে বিকালে সিরিজের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ।

ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সব দিক দিয়েই নেপালের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। কাবাডিতে নেপাল কখনও হারাতে পারেনি বাংলাদেশকে। সেই ধারাবাহিকতা মিজানরা ধরে রাখলো সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই। শুরু থেকেই নেপালকে চেপে ধরে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ২৮-১১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ। 

আরো পড়ুন:

বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন

চতুর্থবারের মতো ফাইনালে বাংলাদেশ

বিরতির পরও নেপালকে কোন সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকরা। ৫৩-২৯ পয়েন্টে ম্যাচ জিতে লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। নেপালকে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার টার্গেট বাংলাদেশের। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মিজানুর রহমান। আগামীকাল একই ভেন্যুতে বিকাল সাড়ে তিনটায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।

ঢাকা/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ