জয় দিয়ে নেপালের বিপক্ষে ঐতিহাসিক কাবাডি সিরিজ শুরু
Published: 22nd, February 2025 GMT
বড় জয় দিয়ে ঐতিহাসিক মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখল বাংলাদেশ জাতীয় কাবাডি দল। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম ম্যাচে নেপালকে ২৪ পয়েন্টের ব্যবধানে হারিয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। পাঁচটি লোনাসহ ৫৩-২৯ পয়েন্টে নেপালকে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ।
৫১ বছর পর আবারও ঐতিহাসিক মুহূর্ত ফিরে এলো কাবাডিতে। ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশে প্রথমবার অনুষ্ঠিত হয়েছিল কাবাডি টেস্ট সিরিজ। দ্বিতীয় বারের মতো আবার শুরু হলো কাবাডির এই টেস্ট সিরিজ। পল্টন ময়দানে বিকালে সিরিজের উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব আমিনুল ইসলাম। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কাবাডি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এস এম নেওয়াজ সোহাগ।
ইতিহাস ও পরিসংখ্যান সব দিক দিয়েই নেপালের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ। কাবাডিতে নেপাল কখনও হারাতে পারেনি বাংলাদেশকে। সেই ধারাবাহিকতা মিজানরা ধরে রাখলো সিরিজের প্রথম ম্যাচ থেকেই। শুরু থেকেই নেপালকে চেপে ধরে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা। ২৮-১১ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে বাংলাদেশ।
আরো পড়ুন:
বঙ্গবন্ধু কাপ আন্তর্জাতিক কাবাডিতে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন
চতুর্থবারের মতো ফাইনালে বাংলাদেশ
বিরতির পরও নেপালকে কোন সুযোগ দেয়নি স্বাগতিকরা। ৫৩-২৯ পয়েন্টে ম্যাচ জিতে লক্ষ্য পূরণের পথে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। নেপালকে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করার টার্গেট বাংলাদেশের। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মিজানুর রহমান। আগামীকাল একই ভেন্যুতে বিকাল সাড়ে তিনটায় সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু
চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।
নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’
আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।