চলন্তবাসে নারীদের শ্লীলতাহানি: ২ ডাকাতের আদালতে স্বীকারোক্তি
Published: 22nd, February 2025 GMT
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের রাজশাহীগামী বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনার গ্রেপ্তার আন্তঃজেলা ডাকাত দলের দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তবে স্বীকারোক্তি দিতে রাজি না হওয়ায় গ্রেপ্তার অপর একজনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দুইজনের স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট নওরিন করিম।
স্বীকারোক্তি দেওয়া দুইজন হলেন, শরিয়তপুরের জাজিরা উপজেলার রামকৃষ্ণপুর গ্রামের মো.
গ্রেপ্তার মানিকগঞ্জের দৌলতপুর সদর উপজেলার লাউতারা গ্রামের মো. বদর উদ্দিন শেখের ছেলে মো. শহিদুল ইসলাম মুহিতকে (৩০) পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) এসআই আহসানুজ্জামান জানান, স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেওয়া সবুজ ও শরীফের এটাই তাদের প্রথম ডাকাতির ঘটনা। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তিতে জানায়, রিমান্ডে থাকা মুহিত এবং তারা দুইজন ছাড়াও ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় শ্যালক-দুলাভাইসহ আরো চারজন জড়িত। বাসে ডাকাতির সময় দুইজন নারী যাত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন অলংকার জোর করে নেওয়ার সময় তাদের শ্লীলতাহানি করেন তারা। গ্রেপ্তার মুহিত দুটি বাসসহ ৫টি ডাকাতি মামলার আসামি।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে ঢাকার সাভার থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে লুন্ঠিত হওয়া ৩টি মোবাইল ফোন, ১টি ছুরি ও ২৯ হাজার ৩৭০ টাকা উদ্ধার করা হয়।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান জানান, ডাকাতির ঘটনায় মামলা হওয়ার ১৪ ঘণ্টার মধ্যে তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার মুহিতকে পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সবুজ ও শরীফুজ্জামান শরীফ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেওয়ায় তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ঢাকা/কাওছার/বকুল
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ র কর র ঘটন দ ইজন
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।
ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।
জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।
ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।
আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’
জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।
ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল