সমকাল: নতুন বছরে আপনাদের কর্মপরিকল্পনা কী? 

মো. নাজমুচ্ছায়াদাত: অতীতেও দুদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করেছে। এখনও করছে। বিগত সরকারের সময় দুর্নীতি করে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।

সমকাল: দুর্নীতি মামলার বিচার ধীরগতিতে হওয়ার কারণ কী মনে করেন।

মো.

নাজমুচ্ছায়াদাত: চট্টগ্রাম আদালতে বর্তমানে দুদকের হয়ে দুর্নীতি মামলার বিচারিক কার্যক্রম দেখাশোনা করছেন তিনজন বিশেষ পিপি। দুদকের পক্ষে সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া, যুক্তিতর্ক উপস্থাপন, সর্বোপরি আসামিদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে শাস্তি নিশ্চিত করতে কাজ করছেন তারা। বিষয়গুলো আমরা মনিটর করে থাকি। অনেক সময় বিচারকের পদটি খালি থাকা, আসামিদের উচ্চ আদালতে যাওয়াসহ নানা কারণে বিচার বিলম্বিত করার চেস্টা করা হয়ে থাকে। 

সমকাল: দুদকের অনেক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে আসতে গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে, এ প্রসঙ্গে কিছু বলবেন। 

মো. নাজমুচ্ছায়াদাত: সুনির্দিষ্টভাবে আসলে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি প্রসঙ্গে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব। তবে পুরোনো অনেক অফিসার অবসরে যাওয়ায় তার হয়তো আসতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু চাকরিরত অবস্থায় কোনো কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে না আসার সুযোগ নেই।

সমকাল: ক্ষমতার পালাবদলে দুদকের লক্ষ্যও কি পরিবর্তন হয়ে যায়?

মো. নাজমুচ্ছায়াদাত: দেখুন, দুদক একটি স্বাধীন স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। একটি বিশেষায়িত আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে দুদকের কাজের কোনো সম্পর্ক নেই।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল

এছাড়াও পড়ুন:

‘দেশটা তোমার বাপের নাকি’ গাওয়ার পর পালিয়ে থাকতে হয়েছিল

শিল্পীর সৌজন্যে

সম্পর্কিত নিবন্ধ