ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে দুদকের কাজের কোনো সম্পর্ক নেই
Published: 22nd, February 2025 GMT
সমকাল: নতুন বছরে আপনাদের কর্মপরিকল্পনা কী?
মো. নাজমুচ্ছায়াদাত: অতীতেও দুদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নিয়ে কাজ করেছে। এখনও করছে। বিগত সরকারের সময় দুর্নীতি করে বিপুল অবৈধ সম্পদ অর্জন করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। ব্যাংকিং খাতের দুর্নীতির ওপর বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
সমকাল: দুর্নীতি মামলার বিচার ধীরগতিতে হওয়ার কারণ কী মনে করেন।
মো.
সমকাল: দুদকের অনেক কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে আসতে গড়িমসি করেন বলে অভিযোগ রয়েছে, এ প্রসঙ্গে কিছু বলবেন।
মো. নাজমুচ্ছায়াদাত: সুনির্দিষ্টভাবে আসলে এ সংক্রান্ত কোনো তথ্য আমার জানা নেই। আমি বিষয়টি প্রসঙ্গে খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব। তবে পুরোনো অনেক অফিসার অবসরে যাওয়ায় তার হয়তো আসতে সময় লাগতে পারে। কিন্তু চাকরিরত অবস্থায় কোনো কর্মকর্তা সাক্ষ্য দিতে না আসার সুযোগ নেই।
সমকাল: ক্ষমতার পালাবদলে দুদকের লক্ষ্যও কি পরিবর্তন হয়ে যায়?
মো. নাজমুচ্ছায়াদাত: দেখুন, দুদক একটি স্বাধীন স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। একটি বিশেষায়িত আইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। ক্ষমতার পালাবদলের সঙ্গে দুদকের কাজের কোনো সম্পর্ক নেই।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: সমক ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক