দুই বদলির গোলে আতলেতিকোর আড়াই ঘণ্টার ‘রাজত্ব’ কাড়ল বার্সেলোনা
Published: 23rd, February 2025 GMT
লা লিগার শীর্ষস্থান নিয়ে অনেক দিন ধরেই চলছে ত্রিমুখী লড়াই। শীর্ষে থেকে ২০২৫ সাল শুরু করা আতলেতিকো মাদ্রিদকে জানুয়ারিতেই পেছনে ফেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু বার্সেলোনা ‘দুই মাদ্রিদকে’ টপকে যায় গত সপ্তাহে; ৫৮ দিন পর উঠে আসে শীর্ষে।
সেই বার্সাকে কাল দুইয়ে নামিয়ে এক নম্বরে উঠেছিল আতলেতিকো। কিন্তু আড়াই ঘণ্টা পরেই শীর্ষস্থান পুনরুদ্ধার করেছে হান্সি ফ্লিকের দল। লাস পালমাসের বিপক্ষে বদলি নেমে বার্সাকে জিতিয়েছেন দানি ওলমো ও ফেরান তোরেস।
২৫ ম্যাচ শেষে বার্সার পয়েন্ট ৫৪, আতলেতিকোর ৫৩। তিনে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৫১। রিয়াল অবশ্য এক ম্যাচ কম খেলেছে। আজ রাতে জিরোনার বিপক্ষে রিয়াল জিতলে তাদের পয়েন্ট হবে বার্সার সমান (৫৪)। কিন্তু গোল পার্থক্যের কারণে বার্সাই হয়তো চূড়ায় থাকবে। লা লিগার এই মৌসুমে গোল করা ও খাওয়া মিলিয়ে যে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়ালের চেয়ে যে ১৩ গোলে এগিয়ে বার্সা!
ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে জোড়া গোল করেছেন আতলেতিকোর হুলিয়ান আলভারেজ.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আতল ত ক
এছাড়াও পড়ুন:
একজন চা শ্রমিকের দিনে আয় ১৭৮ টাকা
হবিগঞ্জে ছোট-বড় মিলেয়ে চা বাগানের সংখ্যা প্রায় ৪১টি। এসব বাগানের বাসিন্দা প্রায় দেড় লাখ। এর মধ্যে, স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে ৩২ থেকে ৩৫ হাজার মানুষ চা পাতা উত্তোলনে জড়িত।
চা বাগানে একজন শ্রমিককে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়। এর বিনিময়ে মজুরি পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। অভিযোগ রয়েছে, কোনো কোনো বাগানে নিয়মিত এই মজুরিও দেওয়া হয় না।
শ্রমিকদের দাবি, দৈনিক মজুরি ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করতে হবে। বর্তমানে যে মজুরি পাওয়া যায় তা দিয়ে সংসার চলে না। প্রতিদিনই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। সেই সঙ্গে চা শ্রমিকদের নৈমিত্তিক ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে।
আরো পড়ুন:
বৈষম্য কেন? নারী শ্রমিকেরা পান না সমান মজুরি
ধান কাটায় আধুনিক যন্ত্রের ব্যবহার, পেশা বদলাচ্ছেন কৃষি শ্রমিকেরা
সরেজমিনে কয়েকটি বাগান ঘুরে দেখা যায়, শ্রমিকরা ছোট্ট কুঠুরিতে গাদাগাদি করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বসবাস করেন। পুষ্টিকর খাবার তো দূরের কথা, দু-বেলা পেটভরে খেতে পারেন না।
শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল বলেন, ‘‘দুই বছর অন্তর চা শ্রমিকদের বিভিন্ন দাবি ও সমস্যা নিয়ে চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠনের সঙ্গে চা শ্রমিক ইউনিয়ন প্রতিনিধির বৈঠক হয়। সর্বশেষ গত বছরের আগস্টে বৈঠক হয়েছে। সে সময় ৮ টাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধি পেয়ে মজুরি ১৭৮ টাকা ৫০ নির্ধারিত হয়েছে।’’
শ্রমিকদের কষ্টের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে এই টাকায় চলা যায় না। দেশের কোথাও এতো সস্তা শ্রমের দাম নেই। বর্তমানে একজন কৃষিশ্রমিক দিনে ৫০০-১০০০ টাকা আয় করেন, একজন রিকশাচালকের প্রতিদিনের আয় ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা। সেখানে একজন চা শ্রমিক পান ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা। এজন্য তাকে প্রতিদিন ২৩ কেজি পাতা তুলতে হয়।’’
চা শ্রমিকদের অধিকার আদায়ে নাটক ও গানের মাধ্যমে দাবি জানিয়ে আসা জেলার চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি প্রতীক থিয়েটারের সভাপতি সুনীল বিশ্বাস বলেন, ‘‘দৈনিক ১৭৮ টাকা ৫০ পয়সা মজুরিতে শ্রমিকদের চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। অচিরেই মজুরি ৬০০ টাকা নির্ধারণ করা হোক। এছাড়া, শ্রমিকদের আরো সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।’’
ঢাকা/রাজীব