আজও বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা
Published: 23rd, February 2025 GMT
দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল শনিবার বৃষ্টি হয়। এর মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ঢাকার কাছের মানিকগঞ্জের আরিচায়। রাজধানীতেও আট মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আজও ঢাকা বিভাগসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল বৃষ্টি হওয়ায় আজ দেশের অনেক স্থানে তাপমাত্রা কিছুটা কমে এসেছে। তবে আগামীকাল থেকেই তা আবার বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সেই ডিসেম্বর মাস থেকেই বৃষ্টি প্রায় নেই বললেই চলে। রাজধানীতে আগের মতোই এবারও বৃষ্টি কম। এর মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি কেন? আবহাওয়া অধিদপ্তরের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক প্রথম আলোকে বলেন, পশ্চিম বায়ুপ্রবাহের সঙ্গে দক্ষিণ–পশ্চিম দিক থেকে আসা জলীয় বাষ্পসমৃদ্ধ বায়ুর সঙ্গে একধরনের ধাক্কায় এ বৃষ্টি হচ্ছে। এ সময় এমনটাই হয়। আর এর প্রভাবে আজও দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানাচ্ছে, গতকাল দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয় মানিকগঞ্জের আরিচায়, ৪৭ মিলিমিটার। ঢাকায় বৃষ্টি হয় আট মিলিমিটার। আবহাওয়া অধিদপ্তর প্রতিদিন ৫১টি স্টেশনের আবহাওয়া পরিস্থিতি তুলে ধরে। দেখা গেছে, গতকাল এর মধ্যে ১১টি স্টেশনে বৃষ্টি হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানা আজ প্রথম আলোকে বলেন, আজ দেশের আট বিভাগের দুয়েক স্থানে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। ইতিমধ্যে রংপুর বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী বা এর আশপাশেও বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে।
এদিকে বৃষ্টির পর আজ রাজধানীর তাপমাত্রা সামান্য কমেছে। আজ এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ২০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তবে আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা গতকালের চেয়ে বেড়েছে। আজ দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে কুড়িগ্রামের রাজারহাটে, ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়, ১৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স লস য় স আজ দ শ র গতক ল
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবের পথে হাঁটছেন মিরাজ
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে নিজের তুলনাকে মেহেদী হাসান মিরাজ হয়তো উপভোগই করেন। কারণ, তাঁর স্বপ্ন সাকিবের মতো বিশ্বনন্দিত অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা। সেই পথে বোধ হয় গুটি গুটি পায়ে এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে টেস্টে দেশে-বিদেশে সম্প্রতি ভালো করছেন। পাকিস্তানে দারুণ প্রশংসিত ছিলেন অলরাউন্ড পারফরম্যান্স করে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই টেস্টের হোম সিরিজে উভয় টেস্টে নিজেকে ছাপিয়ে গেলেন। সিলেটের হারের ম্যাচেও ১০ উইকেট ছিল তাঁর। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট নিয়ে সাকিব ও সোহাগ গাজীর কাতারে নাম লেখালেন। মূলত মিরাজের অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ইনিংস ব্যবধানে টেস্ট জেতা সম্ভব হয়।
গতকাল শতকের ঘরে যেতে কম কসরত করতে হয়নি তাঁর। নব্বইয়ের ঘরে গিয়ে তো অনিশ্চয়তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাসানের আউটের শঙ্কায়। ভাগ্য সুপ্রসন্ন হওয়ায় দ্বিতীয় শতকের দেখা পান তিনি। ২০২১ সালে এই চট্টগ্রামেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি ছিল মিরাজের। গতকালের পারফরম্যান্স নিয়ে টাইগার এ অলরাউন্ডার বলেন, ‘ব্যাটিংয়ের সময় চেষ্টা করেছিলাম ২ রান নিয়ে ১০০ রানে যেতে। সেভাবে দৌড় দিয়েছিলাম। কিন্তু ফিল্ডারের হাতে বল চলে গিয়েছিল (হাসি)। তার পর তো আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছিলাম। হাসান অনেক ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তানজিমও ভালো সাপোর্ট দিয়েছে। তাইজুল ভাইও। এই তিনজনকেই অনেক অনেক ধন্যবাদ। কারণ, ওদের জন্যই আমি ১০০ রান করতে পেরেছি।’
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট প্রাপ্তিকে নিজের সেরা পারফরম্যান্স দাবি মিরাজের, ‘ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে ১০০ করেছিলাম, ৩ উইকেট নিয়েছিলাম। অল্পের জন্য ৫ উইকেট হয়নি। হলে ভালো লাগত। ওই ম্যাচ হেরেছিলাম এই মাঠে। সে জিনিসটা মাথায় ছিল। ভালো লাগছে ম্যাচটি জিতেছি।’ মিরাজ ১৬২ বলে ১১টি চার ও একটি ছয় মেরে ১০৪ রান করেন। ২১ ওভারে ৩২ রান দিয়ে নেন পাঁচ উইকেট।
টেস্টে এ রকম অলরাউন্ড পারফরম্যান্স বাংলাদেশে আর দু’জনের আছে। সাকিব আল হাসান দু’বার ম্যাচে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট পেয়েছেন ২০১১ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুরে আর ২০১৪ সালে খুলনায়। সোহাগ গাজী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ও পাঁচ উইকেট শিকার করেন চট্টগ্রামে। সেই মাইলফলক ছোঁয়া মিরাজকে সম্প্রতি অলরাউন্ডার ক্যাটেগরিতে ফেলা হয়। সাকিবের বিকল্প ভাবা হয় তাঁকে এখন।
এ ব্যাপারে মিরাজের অভিমত, ‘দেখেন একটা জিনিস, যখন সাকিব ভাই ছিলেন, ভিন্ন রোল ছিল। এখন ভিন্ন রোল। যেহেতু টিম ম্যানেজমেন্ট, সবাই ব্যাটিংয়ে আস্থা রাখে। আমিও ভেবেছি আমার ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ। এখন হয়তো আমি লিডিং রোল প্লে করছি, আগে সাকিব ভাই করত। এখন আমাদের দায়িত্ব আরও বেশি।’
সিলেটে দুই ইনিংসে পাঁচ উইকেট করে নিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি মিরাজ। চট্টগ্রামে সাদমান, তাইজুলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ম্যাচ জয়ের নায়ক হন। এই সাফল্য নিয়ে বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, প্রথম ম্যাচ হারার পর যেভাবে কামব্যাক করেছি, এটা খুবই দরকার ছিল। আমাদের সবাই ভেবেছিল, আমরা ভালো করব।’ মিরাজ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন কোচিং স্টাফ ও সতীর্থের কাছে। আর তাঁর কাছে কৃতজ্ঞতা পুরো দলের।