খুলনা মহানগর বিএনপির সম্মেলন আজ খুলনার সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়ালি যুক্ত থাকবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে এ সম্মেলন শুরু হচ্ছে। আর বিকালে জেলা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়ামে ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক। সংগঠনের প্রধান ৩টি পদে ১২ নেতা প্রার্থী হয়েছেন। নগরীর ৫টি থানার ৫০৫ জন কাউন্সিলর সরাসরি ভোট দিয়ে নেতা নির্বাচন করবেন। তবে, বর্তমান নেতৃত্ব বহাল থাকবে, নাকি পরিবর্তনের মাধ্যমে নগর বিএনপি নতুন নেতৃত্ব পাবে- সেটি নিশ্চিত হতে অপেক্ষা করছেন নেতা-কর্মীরা। 

এদিকে দীর্ঘদিন পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুসহ তার অনুসারীদের কেউ প্রার্থী হচ্ছেন না। কাউন্সিল ঘিরে তাদের কোনো তৎপরতাও চোখে পড়েনি। 

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি পদে বর্তমান আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির এবং দৌলতপুর থানা বিএনপির সদস্য সাহাজী কামাল টিপু প্রার্থী হয়েছেন। সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছেন তিন জন। তারা হলেন খুলনা মহানগর বিএনপির বর্তমান সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মাহমুদ আলী এবং মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা চৌধুরী সাগর।

সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ৬ প্রার্থী হলেন মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাসুদ পারভেজ বাবু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শেখ সাদী, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাহবুব হাসান পিয়ারু, যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শের আলম সান্টু, সাবেক ছাত্রদল নেতা হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ ও তারিকুল ইসলাম তারেক। এর মধ্যে তারেক ছাড়া বাকি সবাই বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক।

সম্মেলন উপলক্ষে রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নগরীর কেডি ঘোষ রোডে বিএনপি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে মহানগর শাখা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন নগর আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।
সংবাদ সম্মেলনে মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেন, খুলনা বিএনপিতে এই প্রথমবার ব্যালটের মাধ্যমে নেতা নির্বাচিত হবে। সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীরা উজ্জীবিত।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন জানান, সার্কিট হাউস মাঠে সোমবার সকাল ১০ টায় সম্মেলন শুরু হবে। বেলা ১২টায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। 

সম্মেলনের প্রথম পর্বের পর বেলা সাড়ে ৩ টায় জেলা স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম ভবনে অনুষ্ঠিত হবে কাউন্সিল অধিবেশন। কাউন্সিলে ভোটার রয়েছেন ৫টি থানার ৫০৫ জন। ইতোমধ্যে ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সম্মেলনে নগরীর ৩১টি ওয়ার্ড বিএনপির ৪ হাজার ডেলিগেট থাকবে। এছাড়া প্রতিটি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ১ হাজার করে নেতাকর্মী উপস্থিত থাকবেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/টিপু

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দাম

উৎপাদন ও বাজারে সরবরাহ কম থাকায় বেড়েছে ডিমের দাম। বিক্রেতারা বলছেন, উৎপাদন কম হওয়ায় খামারিরা মুরগি বিক্রি করে দিচ্ছেন এবং টানা বৃষ্টিপাতের জন্য সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে।

শুক্রবার (১ আগস্ট) রাজধানীর নিউ মার্কেট, রায়েরবাজারসহ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলো ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হয়েছে প্রতি ডজন ১২০ টাকায়, এ সপ্তাহে তা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকায়। সেই হিসেবে ডিমের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা।

সবজির দাম স্বাভাবিক
এ সপ্তাহে বাজারে টমেটো ছাড়া অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক আছে। গত সপ্তাহে টমেটো বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়, এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কাঁচামরিচ ২০০ টাকা, শশা ৭০ টাকা, বেগুন ৭০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৭০ টাকা, গাজর (দেশি) ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, পটল ৫০ টাকা, কাকরোল ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৬০ টাকা, প্রতিটি পিস জালি কুমড়া ৫০ টাকা এবং লাউ ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মুদিবাজারে চালসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল আছে। তবে, পেঁয়াজের দাম সামান্য বেড়েছে। এ সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজি দরে। গত সপ্তাহে ৫৫ টাকায় কেজিতে বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকায়। রসুন ১৮০ থেকে ২০০ টাকা এবং দেশি আদা ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বেড়েছে মাছ ও মুরগির দাম
বিক্রেতারা বলছেন, নদীতে পানি বৃদ্ধির জন্য জেলেদের জালে মাছ কম ধরা পড়ছে এবং উজানের পানিতে খামারিদের পুকুর ও ঘের তলিয়ে যাওয়ায় মাছের দাম বেড়েছে। বাজারে এখন মাঝারি সাইজের চাষের রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে থেকে ৩৫০ টাকায়। চাষের পাঙাসের কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০ থেকে ২২০ টাকা, মাঝারি সাইজ কৈ মাছ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি শিং ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা, বড় সাইজের পাবদা ৬০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, দেশি পাঁচমিশালি ছোট মাছ ৬০০ টাকা এবং এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজার ৬০০ টাকায়।

এ সপ্তাহে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে  ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহ ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ঢাকা/রায়হান/রফিক 

সম্পর্কিত নিবন্ধ