পাবনায় ইছামতী নদী খননের জন্য মাইকিং করা নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় প্রচার মাইক আটকে রাখা হয়। গতকাল সোমবার দুপুরে নদীপারের বসতিরা বিক্ষোভ মিছিল করেন।
সোমবার সকালে জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে বলে মাইকে প্রচার চালানো হয়। মাইকে নদীপারের বসতিদের ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার অনুরোধ করা হয়। এ সময় ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা প্রচার মাইক আটকে দেন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সভা করে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে বিক্ষোভকারীরা মিছিল নিয়ে পাবনা প্রেস ক্লাবের সামনে পথসভা করেন। এ সময় বক্তব্য দেন ইছামতী নদীপারের বৈধ স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মাদুর রহমান মিন্টু, সদস্য শফিউর রেজা নান্না, প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, আমরা বৈধ জমিতে বসবাস করছি। আমাদের কাগজপত্রও আছে। এর পর উচ্ছেদ অভিযান চালালে আদালতে মামলা করি। এরপরও নতুন করে উচ্ছেদের পাঁয়তারা দুঃখজনক। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ, ক্ষতিপূরণ দিয়ে খনন কাজ করা হোক।
মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও খননের জন্য মাইকিং কেন করা হচ্ছে– জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, সবকিছু আইন মেনেই করা হচ্ছে। এর বেশি কিছু বলতে রাজি হননি এ কর্মকর্তা। 
 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে কারখানায় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৩ 

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় মঞ্জু টেক্সটাইলে এন্ড ডাইং কারখানায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে কারখানার দুই নিরাপত্তাকর্মীসহ তিন জন দগ্ধ হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ মে) সকাল পৌনে ৯টার দিকে উপজেলার তারাবো পৌরসভার কাজীপাড়া এলাকায় কারখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন, সিকিউরিটি ইনচার্জ আব্দুল হান্নান, গার্ড কবির হোসেন ও সিনিয়র অফিসার সাইফুল ইসলাম।

কারখানার সুপারভাইজার মিজানুর জানান, নাইট ডিউটি শেষে সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা চলে যাওয়ার ঠিক পরপরই তিতাস গ্যাস সংযোগের আরএমএস রুমে গ্যাসের অতিরিক্ত চাপে বিকট শব্দে একটি দেয়াল ধসে পড়ে এবং আগুন ধরে যায়। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজন দগ্ধ হন। বিস্ফোরণ ও আগুনের তীব্রতায় আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে।

আরো পড়ুন:

গাজীপুরে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ, সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক

মাইক্রোবাসে বিস্ফোরণ, অল্পের জন্য বেঁচে গেলেন ৫ ছাত্রনেতা

তিনি জানান, কারখানায় দায়িত্বে থাকা টেকনিশিয়ান ও অন্যান্য নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত গ্যাসের চাবি বন্ধ করে নিজেরাই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে দগ্ধ তিনজনকে দ্রুত রাজধানীর জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়। আগুনে কারখানার কিছু কাপড় ও আসবাবপত্র পুড়ে গেছে।

নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল আরেফিন জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে ইউনিট সেখানে যায়। তবে তার আগেই কারখানার লোকজন আগুন নিভিয়ে ফেলে। বিস্ফোরণ ও আগুনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, ‘‘খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। শুনেছি তিনজন দগ্ধ হয়েছেন এবং তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/অনিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ