ই-মেইলের জবাব না দেওয়া ফেডারেল কর্মীদের নতুন হুমকি মাস্কের
Published: 25th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের যেসব কর্মী কর্মবিবরণীর বিষয়ে করা ই-মেইলের জবাব দেবেন না, তাঁদের ব্যাপারে নতুন করে হুমকি দিয়েছেন ইলন মাস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক বলেছেন, ই-মেইলের অনুরোধটি একেবারেই তুচ্ছ ছিল। এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার মানদণ্ড ছিল কিছু শব্দ টাইপ করা, আর তা পাঠিয়ে দেওয়া। তবু অনেকে এই তুচ্ছ পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছেন। কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য কর্মীদের ব্যবস্থাপকেরা জবাব না দিতে বলেছেন।
মাস্ক আরও বলেছেন, প্রেসিডেন্টের বিচক্ষণতা সাপেক্ষে কর্মীদের আরেকটি সুযোগ দেওয়া হবে। দ্বিতীয়বার ই-মেইলের জবাব দিতে ব্যর্থ হলে চাকরিচ্যুত করা হবে।
আরও পড়ুনফেডারেল কর্মীদের মাস্কের ই–মেইল: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কাজের হিসাব দাও, নইলে চাকরি নেই২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫মাস্কের এসব মন্তব্যের বিষয়ে বক্তব্য জানতে হোয়াইট হাউসের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল রয়টার্স। কিন্তু হোয়াইট হাউস তাৎক্ষণিকভাবে এই অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
২৩ লাখের শক্তিশালী ফেডারেল কর্মী বাহিনীর আকার কমানো এবং তা ঢেলে সাজাতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ জন্য তিনি নতুন একটি বিভাগ সৃষ্টি করেছেন। নাম সরকারি দক্ষতা বিভাগ (ডিওজিই)। এই বিভাগের প্রধান মাস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গত শনিবার সন্ধ্যায় দেশটির ফেডারেল সরকারের কর্মীরা একটি ই-মেইল পান। এই ই-মেইলে কর্মীদের আগের সপ্তাহের কাজের হিসাব সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টা ৫৯ মিনিটের মধ্যে দিতে বলা হয়।
মাস্ক এক্সে একটি পোস্ট দেওয়ার কিছুক্ষণ পরই এই ই-মেইলটি পাঠানো হয়। মাস্কের পোস্টে বলা হয়েছিল, ই-মেইলের অনুরোধে সাড়া না দেওয়াকে কর্মীর পদত্যাগ হিসেবে দেখা হবে।
ট্রাম্প তাঁর নিজের ট্রুথ সোশ্যাল নামের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মাথায় মাস্ক তাঁর পোস্টটি দিয়েছিলেন। ট্রাম্প তাঁর পোস্টে বলেছিলেন, ফেডারেল কর্মী বাহিনীর আকার কমানো ও ঢেলে সাজানোর প্রচেষ্টায় ডিওজিইর আরও আগ্রাসী হওয়া উচিত।
আরও পড়ুনমাস্কের ই-মেইলের জবাব না দিতে কর্মীদের পরামর্শ কিছু ফেডারেল সংস্থার২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫কাজের হিসাবসংক্রান্ত ই-মেইলটির বিষয়বস্তুর শিরোনাম ছিল ‘গত সপ্তাহে আপনি কী করেছেন?’ মার্কিন সরকারের অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের মানবসম্পদ ঠিকানা দিয়ে এই ই-মেইল পাঠানো হয়। তবে ই-মেইলে চাকরিচ্যুতির হুমকির উল্লেখ ছিল না।
মাস্ক নতুন করে হুমকি দিলেও তিনি অফিস অব পার্সোনেল ম্যানেজমেন্টের (ওপিএম) নির্দেশনার বিষয়ে ওয়াকিবহাল কি না, তা স্পষ্ট নয়। ওপিএম সোমবারই ফেডারেল সংস্থাগুলোর মানবসম্পদ কর্মকর্তাদের বলেছেন, মাস্কের ই-মেইলের জবাব না দিলে কর্মীদের বরখাস্ত করা হবে না। কর্মীদের এই ই-মেইলের জবাব দেওয়াটা আবশ্যক নয়।
ওপিএমের স্মারকে বলা হয়েছে, ই-মেইলের জবাব দেওয়াটা ঐচ্ছিক বিষয়। যদি কোনো কর্মী ই-মেইলের জবাব দেনও, তাহলে তাঁরা যেন গোপনীয়, সংবেদনশীল বা শ্রেণিবদ্ধ তথ্য না জানান।
আরও পড়ুনইউএসএআইডির প্রায় সব কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার পদ বাতিল হবে২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ড র ল কর ম কর ম দ র বল ছ ন সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
কাশ্মীর নিয়ে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর আলাপ
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন। কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলায় সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এ তথ্য জানিয়েছে রাজনাথ সিংয়ের কার্যালয়।
এক্স পোস্টে বলা হয়েছে, ‘মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভারতের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে এবং ভারতের আত্মরক্ষার অধিকার সমর্থন করে। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের লড়াইয়ে মার্কিন সরকারের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।’
আলাপকালে হেগসেথকে রাজনাথ সিং বলেন, পাকিস্তান একটি ‘দুর্বৃত্ত’ রাষ্ট্র হিসেবে সামনে এসেছে। তারা বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদকে উসকে দিচ্ছে এবং অঞ্চলকে ‘অস্থিতিশীল’ করছে। সন্ত্রাসবাদ এড়িয়ে যেতে পারে না বিশ্ব।
২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এ ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ নয়াদিল্লির। সন্দেহভাজন হামলাকারীদের মধ্যে দুজন পাকিস্তানি বলেও দাবি করেছে তারা। তবে পাকিস্তান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এরপর থেকে দুই দেশ পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপ নিয়েছে।
হেগসেথ–রাজনাথ সিং আলাপের আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করকে ফোন করেন। এ সময় হামলার ঘটনা নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।