মিডল্যান্ড ব্যাংকের স্থানান্তরিত নোয়াপাড়া উপশাখা উদ্বোধন
Published: 25th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
যশোরের নোয়াপাড়া উপজেলায় মিডল্যান্ড ব্যাংক পিএলসির স্থানান্তরিত উপশাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) নোয়াপাড়া পৌরসভার কালাহাটাতে (২৬ বুইকারা) উপশাখাটি উদ্বোধন করা হয়। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ আহসান-উজ জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপশাখাটির উদ্বোধন করেন।
এ সময় ব্যাংকের রিটেইল ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগের প্রধান মোঃ রাশদে আকতার, নোয়াপাড়া উপ-শাখার শাখা ব্যবস্থাপক সিদ্ধার্থ ঘোষ, গ্রাহক ও স্থানীয় ব্যবসায়ী ও অন্যান্য ব্যক্তর্বিগ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ব্যাংকের সাধারণ সেবা বিভাগের প্রধান, এরিয়া প্রধান, ক্লাস্টার প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান মোঃ রাশাদুল আনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, সাংবাদিক এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গও উপস্থিত ছিলেন। এসময় তারা ব্যাংকের জন্য শুভেচ্ছা জানান।
আহসান-উজ জামান তার বক্তব্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত শ্রোতাদের ধন্যবাদ জানান । নোয়াপাড়া উপশাখাকে সফল করতে গ্রাহকদের সহযোগিতার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
তিনি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলার মাধ্যমে ব্যাংকের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য উপস্থিত শ্রোতাদের অনুরোধ করেন। এছাড়া গ্রাহকদের সর্বোত্তম পরিষেবা প্রদানের জন্য শাখা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন ।
ব্যবস্থাপনা পরিচালক যে কোনও জায়গা থেকে যে কোনও সময় নিরাপদ এবং আধুনিক ব্যাঙ্কিং পরিষেবা উপভোগ করতে গ্রাহকদেরকে ব্যাংকের বিনামূল্যের ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং অ্যাপ্লিকেশন ‘মিডল্যান্ড অনলাইন’ ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করেন ।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ব্যাংক ও দেশের কল্যাণ, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর রহমত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: উপস থ ত র জন য ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’
সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।