পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে খুলনা নগরীতে প্রতিকেজি খাশির মাংস ১১০০ টাকা থেকে ১১৫০ টাকা এবং গরুর মাংস ৭০০ টাকা থেকে ৭৫০ টাকা বিক্রি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

রমজানের পবিত্রতা রক্ষা এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে নগরীর ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে কেসিসির সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার ও কেসিসির প্রশাসক ফিরোজ সরকার।

সভায় কেসিসি প্রশাসক রমজানের গুরুত্ব অনুধাবণ করে ব্যবসায়ীদের দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে অনুরোধ করেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দেশে রোজার সময় দ্রব্যমূল্য উর্ধ্বমুখী হয়, যেখানে অন্যদেশে দ্রব্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা হয়। দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা বজার রেখে ক্রেতাকে রশিদ দিতে হবে। বিক্রেতা যাতে পচাদ্রব্য বিক্রি না করে সেদিকে ব্যবসায়ীদের নজর রাখতে হবে। এছাড়া ক্রেতা যাতে অযথা হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।’’

আরো পড়ুন:

এভাবে গরুর মগজ ভুনা করেছেন?

সভায় কেসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লস্কার তাজুল ইসলাম, খুলনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার দপ্তরের উপপরিচালক ইউসুপ আলী, কেসিসির সচিব শরীফ আসিফ রহমান, প্রধান প্রকৌশলী (চলিত দায়িত্ব) মশিউজ্জামান খান, বাজার সুপার শেখ শফিকুল হাসান, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-সহ নগরীর পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর গর ব যবস য় রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক এক কাউন্সিলরের মৃত্যু হয়েছে। পরিবার বলছে, পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে তিনি মারা যান। তবে পুলিশ বলছে, তারা অন্য কাজে এলাকায় গিয়েছিল, ওই কাউন্সিলরকে ধরতে যায়নি। গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া ওই কাউন্সিলরের নাম কামাল হোসেন (৫৫)। তিনি নগরের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতি করতেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। তবে দলে তাঁর কোনো পদ–পদবি ছিল না।

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। তিনি এলাকায় থাকলেও গা ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পরিবারের ধারণা, মামলা থাকায় পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে কিংবা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

কামালের ছেলে সোহান শাকিল প্রথম আলোকে বলেন, ‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে উঠতে যান। তখন সিঁড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’

ওসি বলেন, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামালকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হৃদ্‌রোগে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ