রমজানে স্বাভাবিক থাকবে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের দাম
Published: 28th, February 2025 GMT
শুরু হতে যাচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। এবার রমজান মাসেও দিনাজপুরের হিলি বন্দর বাজারে স্বাভাবিক থাকবে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। দেশে পেঁয়াজ ও রসুনের ফলন বৃদ্ধি এবং ভারত থেকে পর্যাপ্ত আদা আমদানি হওয়ায় বাজার দর স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় হিলি বন্দর বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রমজান শুরুর আগেই দাম কমতে শুরু করেছে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের। এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। ৩৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা দরে। এক মাসের ব্যবধানে আদা-রসুনের দাম কমেছে কেজিতে ১০০ টাকা। ২০০ টাকা কেজি দরের আদা-রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দরে। দাম কমে যাওয়ায় খুশি ক্রেতারা।
হিলি বাজারে মসলা কিনতে আসা আব্দুল আজিজ বলেন, “প্রতি বছর রমজান মাস আসার আগেই বাজারে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেতে থাকে। এবারের চিত্র অনেকটাই আলাদা। পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের দাম অনেকটা স্বাভাবিক। দাম কম থাকায় আদা-রসুন ও পেঁয়াজ বেশি করে কিনেছি। কারণ রমজান মাসে ইফতারের জন্য বিভিন্ন খাবার তৈরিতে এই তিনটি পণ্যের দরকার বেশি হয়।”
আরো পড়ুন:
‘টমেটো এখন পাখিদের খাদ্য’
পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান, বেড়েছে লেনদেন
রিকশাচালক আতিয়ার রহমান বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। রমজান মাসে জিনিসপাতির দাম কম বা স্বাভাবিক থাকলে আমাদের জন্য সংসার চালাতে সুবিধা হয়।”
হিলি বাজারে আদা-রসুন ও পেঁয়াজের পাইকারি ব্যবসায়ী ফেরদৌস রহমান বলেন, “রমজানকে ঘিরে এই বন্দরে দিয়ে আদা আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। যে কারণে ২০০ টাকার আদা বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি দর। দেশে বৃদ্ধি পেয়েছে পেঁয়াজ-রসুনের চাষাবাদ। ২২০ টাকার রসুন বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি হিসেবে। আবার ৩৫ টাকার পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজিতে। আশা করছি, রমজান মাসে এই তিনটি পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না।”
ঢাকা/মোসলেম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আমদ ন রমজ ন ম স ১০০ ট ক দ ম কম
এছাড়াও পড়ুন:
বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে
বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক বছরে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়েছে। এর মধ্যে দিয়ে দেশে বিনিয়োগের অনুকূল পরিবেশের প্রতি আন্তর্জাতিক আস্থার প্রতিফলন দেখা গেছে।
বিশ্বব্যাংকের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, সম্প্রতি যেসব দেশে গণঅভ্যুত্থান ঘটেছে, সেসব দেশে পরবর্তী এক বছরে এফডিআই উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালের পর এফডিআই কমেছে ১৯.৪৯ শতাংশ, চিলিতে ২০১৯ সালের পর কমেছে ১৫.৬৮ শতাংশ, সুদানে ২০২১ সালের পর ২৭.৬০ শতাংশ, ইউক্রেনে ২০১৪ সালের পর ৮১.২১ শতাংশ, মিশরে ২০১১ সালের পর ১০৭.৫৫ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ায় ১৯৯৮ সালের পর ১৫১.৪৯ শতাংশ কমেছে। এই ধারাবাহিক হ্রাসের মধ্যে বাংলাদেশে এফডিআইর ১৯.১৩ শতাংশ বৃদ্ধির চিত্র বিশেষভাবে নজরকাড়া।
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গুণ হলো—শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও অর্থনীতিকে পুনরায় চালু করার অদ্ভুত ক্ষমতা। এই পরিসংখ্যান তার দারুন একটা প্রতিফলন। সাধারণত, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিদেশি বিনিয়োগ কমে যায়, কিন্তু আমরা উল্টা দেখছি। সঠিক নীতি নির্ধারণ, বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার আন্তরিকতা এবং প্রাইভেট সেক্টরের অদম্য স্পৃহা কারণে এটি সম্ভব হয়েছে। আমরা সব সময় বিনিয়োগকারীদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছি। সব সমস্যার সমাধান হয়নি, তবে সদিচ্ছার কোনো ত্রুটি ছিল না। শিগগিই সারা বছরের একটি আমলনামা (রিপোর্ট কার্ড) প্রকাশ করা হবে।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে বিদেশি বিনিয়োগ ছিল ৪৮৮ দশমিক ৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ২০২২ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৭০ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালে বিনিয়োগের পরিমাণ হয় ৯২৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার, তবে ২০২৪ সালে কিছুটা কমে দাঁড়ায় ৬৭৬ দশমিক ৬ মিলিয়ন ডলারে। ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে বিদেশি বিনিয়োগ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯২ দশমিক ৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে এই ধারা বজায় থাকা অত্যন্ত ইতিবাচক। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, দীর্ঘমেয়াদি নীতি সহায়তা ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে আরো বড় পরিসরে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে পারবে বলে মনে করছেন তারা।
ঢাকা/নাজমুল/রফিক