রাজধানীর মসজিদে মসজিদে তারাবির জামাতে মুসল্লিদের ঢল
Published: 1st, March 2025 GMT
পবিত্র মাহে রমজানের সূচনার সঙ্গে সঙ্গে দেশের মসজিদগুলোতে শুরু হয়েছে তারাবির নামাজ। এতে রাজধানীজুড়ে মসজিদগুলোতে মুসল্লিদের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
শনিবার (১ মার্চ) রাতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে তারাবির প্রথম রাতে বিপুলসংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
এশার নামাজের আগেই মুসল্লিরা দলে দলে মসজিদে আসতে শুরু করেন। জায়নামাজ ও তসবিহ হাতে মুসল্লিরা সারিবদ্ধভাবে বসে নামাজের জন্য অপেক্ষা করেন। মসজিদের প্রবেশমুখে দেখা গেছে অস্থায়ী আতর ও টুপির দোকান, যেখানে নামাজে অংশ নিতে আসা অনেকে আতর কিনছেন ও পরিচিতদের দিচ্ছেন।
শুধু বায়তুল মোকাররম নয়, রাজধানীর অন্যান্য মসজিদেও তারাবির নামাজে ছিল বিপুলসংখ্যক মুসল্লির উপস্থিতি। জায়গা না পেয়ে অনেকে মসজিদের বাইরে চট বিছিয়ে নামাজ আদায় করেন।
এদিকে, ইসলামিক ফাউন্ডেশনে ধর্ম উপদেষ্টা ড.
রমজান মাস মুসলমানদের জন্য সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ত্যাগের শিক্ষা দেয়। এই মাসে সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। মাসের শেষ ভাগে রয়েছে কদরের রাত, যা হাজার মাসের ইবাদতের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। এক মাসের সিয়াম সাধনার পর মুসলিম উম্মাহ উদযাপন করবে ঈদুল ফিতর।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর রমজ ন মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫