Risingbd:
2025-09-18@05:11:27 GMT

‘চিকিৎসক হিসেবে সম্মান চাই’

Published: 2nd, March 2025 GMT

‘চিকিৎসক হিসেবে সম্মান চাই’

“এক সময় উপমহাদেশে এলএমএফ ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবার উপর সবাই নির্ভর করত। পরবর্তী তা বাতিল করে ডাক্তারদের কনডেন্স কোর্সের মাধ্যমে এমবিবিএস কোর্স করিয়ে গ্রাম থেকে শহরের হাসপাতাল ও প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়। ফলে গ্রাম এলাকার রোগীরা চিকিৎসক সংকটে ধুঁকতে থাকে। 

‘এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অধিক চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে সরকার ১৯৭৬ সালে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল চালু করেন। এই সকল চিকিৎসকদের দিয়ে থানা হেলথ কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে সেবা দিয়ে মানুষের জীবন রক্ষা করেছে। কিন্তু ওই চিকিৎসকরা বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পরেও ডাক্তার লেখা নিয়ে হয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার। 

‘সম্প্রতি গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী কর্তৃক ম্যাটস কোর্স কারিকুলাম, চার দফা নিয়ে মিথ্যাচার, কটুক্তি করেছেন যা আমাদের জন্য মানহানিকর। আমরা কারো প্রতিপক্ষ নই, চিকিৎসক হিসেবে আমরা সম্মান চাই।”

রবিবার (২ মার্চ) দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী কর্তৃক ম্যাটস কোর্স কারিকুলাম, চার দফা নিয়ে মিথ্যাচার, কটুক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ মানিকগঞ্জ জেলা শাখা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। 

বিডিএমএ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা.

মো. আবুল হাসান বলেন, “শূন্য পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া,কোর্সের নাম ও কারিকুলামে অসংগতির সমাধানসহ একাধিক দাবি যখন সরকার পক্ষ মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন বা কাজ শুরু করেন। ঠিক তখনই একটি গোষ্ঠী সরকারকে চাপে রাখতে নানা কর্মসূচি পালন করেন।” 

এসময় বিডিএমএ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এ কাদের বলেন, “মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টরা গ্রাম বাংলার ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। তারা যাতে নামের আগে ডাক্তার লিখতে না পারে সেজন্য অপশক্তি কাজ করছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা আছে। রায় প্রদানের আগ পর্যন্ত ডাক্তার লিখতে সমস্যা নেই। তবে আমাদের প্রশাসনিকভাবে মর্যাদা দেওয়া হয় না।” 

এসময় বিডিএমএ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি ডা. আব্দুল আওয়াল, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্যপরিষদের সমন্বয়ক মো. নাজমুল হাসান, ম্যাটস শিক্ষার্থী মো. আশ্রাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/চন্দন/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ জ ল চ ক ৎসক ম য টস

এছাড়াও পড়ুন:

ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পাড়ে সীতা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে বিগত এক মাস ধরে অবস্থান করছেন একদল বন্যহাতি। ১৭ (সতের) দলের এই বন্যহাতির তাণ্ডবে এরইমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগান শ্রমিকদের ঘরবাড়ি, গাছপালা এবং বাগানের অভ্যন্তরে অবস্থিত কাঁচা সড়ক। 

 এদের তাণ্ডবে বাগানের ২নং সেকশনে বসবাসকারী চা শ্রমিকরা এরইমধ্যে নিজ নিজ বসতবাড়ি ছেড়ে কর্ণফুলি নদীর উত্তর পাড়ে অবস্থান নিয়েছে। এই সেকশনে থাকা বহু ঘর হাতির আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ওয়াগ্গা টি লিমিটেডের পরিচালক খোরশেদুল আলম কাদেরী বলেন, “হাতির তাণ্ডবে মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাগানের নিজস্ব বোট চালক সানাউল্লাহর বসতবাড়ি। এসময় তিনিসহ তার স্ত্রী-সন্তানেরা ঘর হতে বের হয়ে কোনরকমে প্রাণে রক্ষা পেয়েছে।”

বোট চালক সানাউল্লাহ বলেন, “সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে আমি হাতির গর্জন শুনতে পাই। এসময় একটি বড় হাতি আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা চালায়। আমি হতবিহ্বল হয়ে যাই। সেসময় স্ত্রী-পুত্রকে নিয়ে ঘরের পেছন দিয়ে কোন রকমে পালিয়ে বোটে করে এপারে চলে আসি।” 

চা বাগানের টিলা বাবু চাথোয়াই অং মারমা বলেন, “বিগত এক মাস ধরে ১৭টি হাতির একটি দল বাগানে অবস্থান করছে। মাঝে মাঝে দলটি সীতা পাহাড়ে চলে গেলেও হঠাৎ বাগানে চলে এসে আসে এবং বাগানের গাছপালা, বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করে। আমাদের চা শ্রমিকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।”

ওয়াগ্গা চা বাগানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিশিষ্ট প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, “বিগত এক মাস ধরে হাতির একটি দল ওয়াগ্গা চা বাগানে অবস্থান নিয়েছে। তাদের দলে সদস্য সংখ্যা সতেরো ১৭টি। সম্প্রতি দুটি নতুন শিশু জন্ম নিয়েছে। শিশু হস্তী শাবককে আশীর্বাদ করার জন্য সীতা পাহাড়ের গভীর অরণ্য থেকে আরো একদল হাতি যোগদান করেছে।” 

হাতি খুবই শান্তিপ্রিয় জীব। নিরিবিলি পরিবেশ পছন্দ করে। অনেকে বলে থাকেন, মামারা বেরসিক বাদ্য বাজনা, বাঁশির সুর, গলাফাটা গান, গোলা বারুদ, ড্রামের শব্দ পছন্দ করে না। তারা কোলাহল এড়িয়ে চলে। 

গতকাল সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্বচক্ষে দেখা হলো। আমাদের টিলা বাবু চাই থোয়াই অং মারমা শ্রমিকদের নিয়ে পাহাড়ের উপর বাঁশির সুর তুলেছে। সুর ও বাদ্য বাজনা এড়িয়ে মামারা (হাতি) চা বাগান পেরিয়ে সদলবলে বাঁশবনের গভীর থেকে গভীরে হারিয়ে গেলো। হয়তো আবার ফিরে আসবে।

কাপ্তাই বন বিভাগের কাপ্তাই রেঞ্জ অফিসার ওমর ফারুক স্বাধীন বলেন, “দিন দিন হাতির আবাসস্থল ধ্বংস হওয়ার ফলে হাতি খাবারের সন্ধানে প্রায়ই লোকালয়ে এসে হানা দিচ্ছে। আমাদের উচিত হাতির আবাসস্থল ধ্বংস না করা।”

ঢাকা/রাঙামাটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ১৩ ঘণ্টা পর রংপুরের রেল যোগাযোগ সচল
  • ওয়াগ্গাছড়া চা বাগানে হাতির তাণ্ডব
  • হেরোইন বিক্রির অভিযোগে ধামরাইয়ে গ্রেপ্তার ৩
  • টেকনাফে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ২