“এক সময় উপমহাদেশে এলএমএফ ডাক্তারদের চিকিৎসা সেবার উপর সবাই নির্ভর করত। পরবর্তী তা বাতিল করে ডাক্তারদের কনডেন্স কোর্সের মাধ্যমে এমবিবিএস কোর্স করিয়ে গ্রাম থেকে শহরের হাসপাতাল ও প্রশাসনিক দায়িত্বে নিয়োগ করা হয়। ফলে গ্রাম এলাকার রোগীরা চিকিৎসক সংকটে ধুঁকতে থাকে।
‘এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় অধিক চিকিৎসক তৈরির লক্ষ্যে সরকার ১৯৭৬ সালে মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল চালু করেন। এই সকল চিকিৎসকদের দিয়ে থানা হেলথ কমপ্লেক্সসহ ইউনিয়ন উপ স্বাস্থ্যকেন্দ্র, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণকেন্দ্রে সেবা দিয়ে মানুষের জীবন রক্ষা করেছে। কিন্তু ওই চিকিৎসকরা বিএমডিসির রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার পরেও ডাক্তার লেখা নিয়ে হয়েছেন ষড়যন্ত্রের শিকার।
‘সম্প্রতি গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী কর্তৃক ম্যাটস কোর্স কারিকুলাম, চার দফা নিয়ে মিথ্যাচার, কটুক্তি করেছেন যা আমাদের জন্য মানহানিকর। আমরা কারো প্রতিপক্ষ নই, চিকিৎসক হিসেবে আমরা সম্মান চাই।”
রবিবার (২ মার্চ) দুপুরের দিকে মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গ্রাজুয়েট চিকিৎসক ও মেডিকেল শিক্ষার্থী কর্তৃক ম্যাটস কোর্স কারিকুলাম, চার দফা নিয়ে মিথ্যাচার, কটুক্তির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ডিপ্লোমা মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন ও সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ মানিকগঞ্জ জেলা শাখা এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
বিডিএমএ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা.
এসময় বিডিএমএ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এম এ কাদের বলেন, “মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টরা গ্রাম বাংলার ৮০ ভাগ জনগোষ্ঠীর চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। তারা যাতে নামের আগে ডাক্তার লিখতে না পারে সেজন্য অপশক্তি কাজ করছে। এ বিষয়ে উচ্চ আদালতে রিট করা আছে। রায় প্রদানের আগ পর্যন্ত ডাক্তার লিখতে সমস্যা নেই। তবে আমাদের প্রশাসনিকভাবে মর্যাদা দেওয়া হয় না।”
এসময় বিডিএমএ মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সহসভাপতি ডা. আব্দুল আওয়াল, ডা. মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্যপরিষদের সমন্বয়ক মো. নাজমুল হাসান, ম্যাটস শিক্ষার্থী মো. আশ্রাফ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/চন্দন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম ন কগঞ জ জ ল চ ক ৎসক ম য টস
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।
এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।
অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।
এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।