স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে ৬৬ পদে পুনর্নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি
Published: 4th, March 2025 GMT
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অধীন মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে রাজস্ব খাতে বিভিন্ন গ্রেডে কর্মী পুনর্নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। ৮ ক্যাটাগরির পদে ৬৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী প্রার্থীদের অনলাইনে আবেদন করতে হবে।
১. পদের নাম: কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৩
আবেদনের যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক (সম্মান) বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরে প্রতি মিনিটে বাংলায় সর্বনিম্ন ২৫, ইংরেজিতে ৩০ শব্দের গতি থাকতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি ও টাইপিংসহ ই–মেইল, ফ্যাক্স, ব্রাউজিং ইত্যাদি চালনায় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
২.
পদের নাম: পরিসংখ্যানবিদ
পদসংখ্যা: ৩
আবেদনের যোগ্যতা: স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান, গণিত অথবা অর্থনীতি বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে। কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৩. পদের নাম: অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ৩
আবেদনের যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস। কম্পিউটারে ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি, টাইপিংসহ ই-মেইল, ফ্যাক্স, ব্রাউজিং ইত্যাদি চালনায় অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা থাকতে হবে। টাইপিংয়ে প্রতি মিনিটে বাংলায় অন্যূন ২০ ও ইংরেজিতে ২০ শব্দের গতি থাকতে হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৪. পদের নাম: স্টোরকিপার
পদসংখ্যা: ৫
আবেদনের যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৫. পদের নাম: স্বাস্থ্য সহকারী
পদসংখ্যা: ৪৭
আবেদনের যোগ্যতা: এইচএসসি বা সমমান পাস
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
আরও পড়ুনবেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ৪০০ জনকে নিয়োগ১৬ ঘণ্টা আগে৬. পদের নাম: কোল্ড চেইন টেকনিশিয়ান
পদসংখ্যা: ১
আবেদনের যোগ্যতা: রেফ্রিজারেশন বা এয়ার কন্ডিশনিং ট্রেডে এইচএসসি (ভোকেশনাল) পাস।
বেতন স্কেল: ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা (গ্রেড ১৫)
৭. পদের নাম: ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ৩
আবেদনের যোগ্যতা: জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট বা সমমানের পরীক্ষায় পাস হতে হবে। হালকা গাড়ি চালনার বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। অধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চালকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
৮. পদের নাম: ল্যাব অ্যাটেনডেন্ট
পদসংখ্যা: ১
আবেদনের যোগ্যতা: এসএসসি বা সমমান পাস।
বেতন স্কেল: ৮,৫০০-২০,৫৭০ টাকা (গ্রেড-১৯)
আবেদনের বয়স—
৩ মার্চ ২০২৫ তারিখে আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ১৮ ও সর্বোচ্চ ৩২ বছর।
আবেদন যেভাবে—
আগ্রহী প্রার্থীদের এই ওয়েবসাইটে ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে পাওয়া যাবে।
আবেদন ফি—
১৩তম থেকে ১৬তম গ্রেড পদের জন্য ১১২ টাকা এবং বাকি পদগুলোর জন্য ৫৬ টাকা জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ সময়
২৪ মার্চ ২০২৫
আরও পড়ুনবিনা মূল্যে ফ্রিল্যান্সিং প্রশিক্ষণ, আছে দৈনিক ২০০ টাকা ভাতা২০ ঘণ্টা আগেউৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: সমম ন প স গ র ড ১৬ পদ র ন ম
এছাড়াও পড়ুন:
গণঅভ্যুত্থানে আহত সামিউলের দিন কাটছে অনিশ্চয়তায়
কোটা সংস্কার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় ভূমিকা রাখা বাগেরহাটের ছাত্র সামিউল ইসলাম এখন চরম অসহায়ত্ব ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিন পার করছেন। হামলায় গুরুতর আহত হওয়ায় তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না। এমনকি, ঠিকভাবে বসতেও পারেন না সামিউল।
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট বাগেরহাট কোর্ট চত্বরে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের কর্মীদের হামলার শিকার হন সামিউল ইসলাম। এতে তার হাতের পেশি কেটে যায় এবং মাথা ও পিঠে গুরুতর আঘাত লাগে। নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পরও পুরোপুরি সুস্থ হননি তিনি।
এবার এইচএসসি পরীক্ষা দেওয়ার কথা সামিউল ইসলামের। ২৬ জুন শুরু হতে যাওয়া পরীক্ষায় অংশ নেওয়া নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। তার পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা দাবি জানিয়েছেন, অসুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য যেমন পরীক্ষায় বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, সেরকম ব্যবস্থা করা হোক সামিউলের জন্যও।
সামিউলের প্রতিবেশী শামসুদ্দোহা বলেছেন, “সামিউল হামলায় আহত হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যায় ভুগছে। সরকারিভাবে যেভাবে অসুস্থদের সহায়তা দিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হয়, সেভাবে তাকেও সুযোগ দেওয়া হোক।”
সামিউলের বাবা আইয়ুব আলী শেখ বলেছেন, “আমার একমাত্র ছেলে এখনো স্বাভাবিক হতে পারেনি। এখনো তার পিঠ ও হাতে ব্যথা আছে। অনেক খরচ করে চিকিৎসা করালেও উন্নতি হয়নি। সরকার যেন উন্নত চিকিৎসা ও পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেয়।”
সামিউলের মা রুবিয়া বেগম বলেছেন, “ছাত্রলীগের হামলায় ওর যা অবস্থা হয়েছে, তা বলার মতো না। আমরা ওকে ভয়ে কোথাও নিতে পারিনি। এখন সে কিছুই করতে পারে না। পরীক্ষা দিতে পারলে হয়ত ভবিষ্যতের একটা রাস্তায় পৌঁছাতে পারত।”
সামিউল ইসলাম বলেছেন, “আমি এখনো স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি না। খেতেও কষ্ট হয়। লেখালেখি করতে পারি না। এইচএসসি পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার স্বপ্ন ছিল, কিন্তু এখনো সুস্থ না হওয়ায় সব অনিশ্চিত হয়ে গেছে। আমি চাই, সরকার যেন আমাকে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেয় এবং উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করে।”
আন্দোলনের সহযোদ্ধা মো. রেজুয়ান শেখ বলেন, “ছাত্রলীগ রামদা ও হকিস্টিক দিয়ে সামিউলের ওপর হামলা চালায়। সে এখন পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়েই শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা সরকারের সহযোগিতা চাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাগেরহাট জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক নাঈম শেখ বলেছেন, “সামিউলের চিকিৎসা এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহণের বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। সে আমাদের আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। তার বর্তমান অবস্থা আমাদের ব্যথিত করে।”
রাংদিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন বলেছেন, “সামিউল মেধাবী শিক্ষার্থী। সরকার যদি তাকে বিশেষ সুবিধা দেয়, তাহলে সে ভালো ফল করতে পারবে।”
ঢাকা/শহিদুল/রফিক