গোলাপের বার্তা: রমজানের মর্যাদা রক্ষায় ব্যবসায়ীদের আহ্বান-ও.পি. এ
Published: 4th, March 2025 GMT
সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পাইনাদী এলাকায় রমজানের পবিত্রতা বজায় রাখতে অর্গানাইজেশন অফ পিস অ্যাসোসিয়েটরস (ও.পি.এ) এক ব্যতিক্রমী সচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করেছে।
মঙ্গলবার (৪ মার্চ ২০২৫) দুপুর ২টায় সংগঠনের সদস্যরা স্থানীয় চায়ের দোকান ও খাবারের হোটেলের মালিকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং রমজানের পবিত্রতা রক্ষার আহ্বান জানান।
এই উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য ছিল— রমজান মাসে দিনের বেলা দোকান বন্ধ রাখতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা। দোকান খোলা থাকলে যেন প্রকাশ্যে খাবার গ্রহণ না করা হয়, সে বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। জনসাধারণের মধ্যে তাকওয়া ও সংযমের চেতনা জাগ্রত করা।
ব্যতিক্রমী এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ও.
সংগঠনটির এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণ। অনেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তারা রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় সর্বোচ্চ সচেষ্ট থাকবেন।
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন— যে ব্যক্তি কোনো সৎকর্মে অন্যকে উৎসাহিত করবে, সে তার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে। (সহিহ মুসলিম: ১৮৯৩)
ও.পি.এ-এর সদস্যরা আশাবাদী যে, তাদের এই ছোট্ট প্রচেষ্টা সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং রমজানের মর্যাদা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ রমজ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
খাদি কাপড়ের জিআই স্বীকৃতিতে আনন্দে ভাসছেন কুমিল্লাবাসী
কুমিল্লার ঐতিহ্যের স্মারক খাদি কাপড় ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় আনন্দিত জেলার মানুষ। দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা দাবি জানিয়ে আসছিলেন, অবশেষে পেয়েছেন সেই সুখবর। গতকাল বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে স্বীকৃতির এই সনদ দেওয়া হয়।
কুমিল্লা নগরের কান্দিরপাড় এলাকার রামঘাটলা থেকে শুরু করে রাজগঞ্জ পর্যন্ত অন্তত ৩০০ খাদি পোশাকের দোকান। কান্দিরপাড়ের খাদি বসুন্ধরা দোকানের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, শৈল্পিক ছোঁয়ায় কুমিল্লার খাদি এখন দেশ-বিদেশে বেশ সমাদৃত। ঐতিহ্যের খাদিতে এখন লেগেছে আধুনিকতা ও নান্দনিকতার ছোঁয়া। শত বছরের বেশি পুরোনো খাদির আরও অনেক আগেই জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পাওয়া উচিত ছিল। অবশেষে স্বীকৃতি মিলেছে, এতেই আনন্দিত সবাই।
একই এলাকার খাদি জ্যোৎস্না স্টোরের মালিক তপন পাল বলেন, ‘কুমিল্লার প্রতিটি মানুষ খাদির এমন স্বীকৃতিতে আনন্দিত। শত বছর পার হলেও এখনো দেশ-বিদেশে খাদি কাপড়ের ব্যাপক চাহিদা।’
কুমিল্লার ইতিহাস গবেষক আহসানুল কবীর প্রথম আলোকে বলেন, ১৯২১ সালে মহাত্মা গান্ধীর ডাকে সমগ্র ভারতবর্ষে অসহযোগ আন্দোলনের সময় কুমিল্লায় খাদিশিল্প প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ওই সময় বিদেশি পণ্য বর্জন করার জন্য আওয়াজ ওঠে। সর্বত্র এক আওয়াজ ‘মোটা কাপড়-মোটা ভাত’। সে সময় ভারতবর্ষের মানুষ দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হয়ে খাদি পোশাক ব্যবহার শুরু করেছিলেন। খাদের (গর্তে) চরকায় বসে এ কাপড় তৈরি করা হয় বলে এর নামকরণ হয় ‘খাদি’। শুরুতে মহাত্মা গান্ধী নিজেও কুমিল্লায় এসে খাদের চরকায় বসে খাদি কাপড় তৈরিতে উৎসাহ দেন।
এই গবেষক আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর ভারত পৃষ্ঠপোষকতা প্রত্যাহার করে নিলে কুমিল্লার খাদিশিল্প সংকটে পড়ে। এই শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হাল ধরেন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (বার্ড) প্রতিষ্ঠাতা আখতার হামিদ খান।
কুমিল্লার জেলা প্রশাসক মো. আমিরুল কায়ছার বলেন, জেলা প্রশাসনের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় গত বছর কুমিল্লার রসমালাই জিআই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। কুমিল্লার খাদি ও বিজয়পুরের মৃৎশিল্পের জিআই স্বীকৃতির জন্য তখন থেকেই কাজ শুরু হয়। কুমিল্লার ‘ব্র্যান্ড’ হিসেবে পরিচিত তিনটি পণ্যের মধ্যে দুটি জিআই পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে। যে একটি বাকি আছে, সেটিও দ্রুত সময়ের মধ্যে স্বীকৃতি পাবে বলে তিনি আশাবাদী।