করণ জোহরের হাত ধরেই বলিউডে পা রাখছেন আরও এক তারকার সন্তান। সাইফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের বলিউড অভিষেক হবে ‘নাদানিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে। বড়পর্দায় নয়, সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে নেটফ্লিক্সে। অর্থাৎ শ্রীদেবীকন্যা খুশি কাপুর, শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান, অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দার মতো সাইফপুত্রও বলিউডে পা রাখবে ওয়েব মাধ্যমের হাত ধরে, বড়পর্দা নয়। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। যেখানে জানা যায়, অর্জুন এবং পিয়া একই কলেজের ছাত্রছাত্রী।
দুই ভিন্ন মেরুর দুই মানুষের ভালোবাসা নিয়েই সিনেমাটি। ট্রেলারে দেখা যায় খুশির চরিত্রের নাম পিয়া। সে বোল্ড, প্রাণখোলা মেয়ে। দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা। অন্যদিকে ইব্রাহিমের চরিত্রের নাম অর্জুন। সে থাকে নয়ডায়। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে। দু’জনই একেবারে আলাদা পৃথিবীর মানুষ। অর্জুন এবং পিয়ার ভালোবাসা আর চার-পাঁচটা প্রেমের গল্পের মতো নয়। পিয়ার সঙ্গে কোনো এক চুক্তি করেছিল অর্জুন, সে অনুযায়ী পিয়ার বয়ফ্রেন্ড সেজে থাকার দরুন প্রতি মাসে সে ২৫ হাজার টাকা করে পাবে। অর্জুন এবং পিয়ার এই গোপন বোঝাপড়ার কথা যখন সবার সামনে চলে আসে তখন থেকেই শুরু হয় সমস্যা।
প্রেম, সম্পর্ক এই সমস্ত কিছু থেকে দূরে পালিয়ে যায় অর্জুন, নিজের লক্ষ্যে আরও ফোকাস করতে চায়, কিন্তু অজান্তেই সে পিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে নায়িকাও যে নিজের পরিবারকে নিয়ে একেবারে খুশি নয়, সেটিও বোঝা যায় বিভিন্ন দৃশ্য দেখে। তারপর কী ঘটে, তারা কি অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে এক হতে পারবে? সেটি নিয়েই এই ছবি। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শাওনা গৌতম, এটি তাঁর প্রথম পরিচালিত সিনেমা।
পরিচালক জানিয়েছেন, ‘নাদানিয়া আমার জন্য ভীষণ স্পেশাল। এই সিনেমাটি আমার প্রথম পরিচালিত সিনেমা। কারণ, স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল, যা পূরণ হয়েছে।’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন করণ জোহর। এর আগে তিনি আলিয়া থেকে বরুণ ধাওয়ান, এর আগে একাধিক তারকা সন্তানকে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করিয়েছেন। বরাবরই তিনি তারকা সন্তানদের নিজের ছবিতে কাজ দেওয়ার জন্য পরিচিত। এর জন্য তাঁকে সমালোচনারও শিকার হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি আরও এক তারকা সন্তানের জন্য বলিউডের দরজা খুলে দিলেন।
ইব্রাহিম প্রসঙ্গে করণ জোহর বলেন, ‘ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ অনেকটা সইফের সঙ্গে দেখা হওয়ার মতো। আমি ওদের পরিবারকে প্রায় ৪০ বছর ধরে চিনি। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমি জানি এই পরিবারের রক্ত এবং তাদের আবেগে সিনেমা রয়েছে। আমার বিশ্বাস সিনেমার পর্দায় খুব শিগগিরই ঘর করে নেবে ইব্রাহিম। সেই অপেক্ষায় রয়েছি। ‘নাদানিয়া’ সিনেমাটি আরও একটি কারণে ভীষণ স্পেশাল হয়ে উঠেছে, কারণ এই সিনেমায় বহু বছর পর পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যাবে সুনীল শেট্টি, দিয়া মির্জা, যুগল হংসরাজ এবং মহিমা চৌধুরীকে। নস্টালজিয়া এবং নতুন প্রজন্ম যে এই সিনেমায় মিলেমিশে একাকার হতে চলেছে, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল ট্রেলারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এই স ন ম আরও এক পর চ ল র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?