Samakal:
2025-06-16@19:51:42 GMT

সাইফপুত্রের অভিষেক

Published: 6th, March 2025 GMT

সাইফপুত্রের অভিষেক

করণ জোহরের হাত ধরেই বলিউডে পা রাখছেন আরও এক তারকার সন্তান। সাইফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের বলিউড অভিষেক হবে ‘নাদানিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে। বড়পর্দায় নয়, সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে নেটফ্লিক্সে। অর্থাৎ শ্রীদেবীকন্যা খুশি কাপুর, শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান, অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দার মতো সাইফপুত্রও বলিউডে পা রাখবে ওয়েব মাধ্যমের হাত ধরে, বড়পর্দা নয়। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। যেখানে জানা যায়, অর্জুন এবং পিয়া একই কলেজের ছাত্রছাত্রী।

দুই ভিন্ন মেরুর দুই মানুষের ভালোবাসা নিয়েই সিনেমাটি। ট্রেলারে দেখা যায় খুশির চরিত্রের নাম পিয়া। সে বোল্ড, প্রাণখোলা মেয়ে। দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা। অন্যদিকে ইব্রাহিমের চরিত্রের নাম অর্জুন। সে থাকে নয়ডায়। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে। দু’জনই একেবারে আলাদা পৃথিবীর মানুষ। অর্জুন এবং পিয়ার ভালোবাসা আর চার-পাঁচটা প্রেমের গল্পের মতো নয়। পিয়ার সঙ্গে কোনো এক চুক্তি করেছিল অর্জুন, সে অনুযায়ী পিয়ার বয়ফ্রেন্ড সেজে থাকার দরুন প্রতি মাসে সে ২৫ হাজার টাকা করে পাবে। অর্জুন এবং পিয়ার এই গোপন বোঝাপড়ার কথা যখন সবার সামনে চলে আসে তখন থেকেই শুরু হয় সমস্যা।

প্রেম, সম্পর্ক এই সমস্ত কিছু থেকে দূরে পালিয়ে যায় অর্জুন, নিজের লক্ষ্যে আরও ফোকাস করতে চায়, কিন্তু অজান্তেই সে পিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে নায়িকাও যে নিজের পরিবারকে নিয়ে একেবারে খুশি নয়, সেটিও বোঝা যায় বিভিন্ন দৃশ্য দেখে। তারপর কী ঘটে, তারা কি অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে এক হতে পারবে? সেটি নিয়েই এই ছবি। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শাওনা গৌতম, এটি তাঁর প্রথম পরিচালিত সিনেমা।

পরিচালক জানিয়েছেন, ‘নাদানিয়া আমার জন্য ভীষণ স্পেশাল। এই সিনেমাটি আমার প্রথম পরিচালিত সিনেমা। কারণ, স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল, যা পূরণ হয়েছে।’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন করণ জোহর। এর আগে তিনি আলিয়া থেকে বরুণ ধাওয়ান, এর আগে একাধিক তারকা সন্তানকে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করিয়েছেন। বরাবরই তিনি তারকা সন্তানদের নিজের ছবিতে কাজ দেওয়ার জন্য পরিচিত। এর জন্য তাঁকে সমালোচনারও শিকার হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি আরও এক তারকা সন্তানের জন্য বলিউডের দরজা খুলে দিলেন।

ইব্রাহিম প্রসঙ্গে করণ জোহর বলেন, ‘ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ অনেকটা সইফের সঙ্গে দেখা হওয়ার মতো। আমি ওদের পরিবারকে প্রায় ৪০ বছর ধরে চিনি। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমি জানি এই পরিবারের রক্ত এবং তাদের আবেগে সিনেমা রয়েছে। আমার বিশ্বাস সিনেমার পর্দায় খুব শিগগিরই ঘর করে নেবে ইব্রাহিম। সেই অপেক্ষায় রয়েছি। ‘নাদানিয়া’ সিনেমাটি আরও একটি কারণে ভীষণ স্পেশাল হয়ে উঠেছে, কারণ এই সিনেমায় বহু বছর পর পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যাবে সুনীল শেট্টি, দিয়া মির্জা, যুগল হংসরাজ এবং মহিমা চৌধুরীকে। নস্টালজিয়া এবং নতুন প্রজন্ম যে এই সিনেমায় মিলেমিশে একাকার হতে চলেছে, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল ট্রেলারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই স ন ম আরও এক পর চ ল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসির ভূমিকা তদন্তে কমিটি গঠন করার নির্দেশ

বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে জড়িত নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও সচিবালয়ের সচিবদের ভূমিকা তদন্তে অবিলম্বে কমিটি গঠনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

গতকাল সোমবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের এক বৈঠকে এ-সংক্রান্ত আলোচনা শেষে এমন নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা। পরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ।

এই বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান, সফররাজ হোসেন ও মোহাম্মদ আইয়ুব মিয়া। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।

বৈঠকে নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সব রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে যে অতীতের তিনটি বিতর্কিত নির্বাচন আয়োজনে কর্মকর্তাদের ভূমিকা তদন্ত করা এবং তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।

জুলাইয়ের মধ্যে জুলাই সনদ

বৈঠকে কমিশন সদস্যরা জুলাই সনদ তৈরির কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে প্রধান উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, বেশ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। শিগগিরই সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সনদ চূড়ান্ত করা সম্ভব হবে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সবাই জুলাই সনদের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। আশা করি, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে আমরা এটি জাতির সামনে উপস্থাপন করতে পারব।’

‘প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে হবে’

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তাঁর লন্ডন সফরের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন। অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির যাঁদের সঙ্গেই দেখা হয়েছে, তাঁরা সংস্কার নিয়ে জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা খুব আগ্রহী। তাঁরা বিস্তারিতভাবে ঐকমত্য কমিশনের কাজ নিয়ে তাঁর (প্রধান উপদেষ্টা) সঙ্গে আলোচনা করেছেন, মতামত দিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যেখানেই গিয়েছি, সেখানকার প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাকে জিজ্ঞেস করছেন, “আমরা আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে পারব তো?” আমাদের প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। পোস্টাল ব্যালট এবং আর কী কী অপশন আছে, সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে, সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ