Samakal:
2025-11-03@09:43:54 GMT

সাইফপুত্রের অভিষেক

Published: 6th, March 2025 GMT

সাইফপুত্রের অভিষেক

করণ জোহরের হাত ধরেই বলিউডে পা রাখছেন আরও এক তারকার সন্তান। সাইফ আলি খানের ছেলে ইব্রাহিম আলি খানের বলিউড অভিষেক হবে ‘নাদানিয়া’ সিনেমার মাধ্যমে। বড়পর্দায় নয়, সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে নেটফ্লিক্সে। অর্থাৎ শ্রীদেবীকন্যা খুশি কাপুর, শাহরুখ খানের কন্যা সুহানা খান, অমিতাভ বচ্চনের নাতি অগস্ত্য নন্দার মতো সাইফপুত্রও বলিউডে পা রাখবে ওয়েব মাধ্যমের হাত ধরে, বড়পর্দা নয়। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটির ট্রেলার। যেখানে জানা যায়, অর্জুন এবং পিয়া একই কলেজের ছাত্রছাত্রী।

দুই ভিন্ন মেরুর দুই মানুষের ভালোবাসা নিয়েই সিনেমাটি। ট্রেলারে দেখা যায় খুশির চরিত্রের নাম পিয়া। সে বোল্ড, প্রাণখোলা মেয়ে। দক্ষিণ দিল্লির বাসিন্দা। অন্যদিকে ইব্রাহিমের চরিত্রের নাম অর্জুন। সে থাকে নয়ডায়। সাধারণ মধ্যবিত্ত বাড়ির ছেলে। দু’জনই একেবারে আলাদা পৃথিবীর মানুষ। অর্জুন এবং পিয়ার ভালোবাসা আর চার-পাঁচটা প্রেমের গল্পের মতো নয়। পিয়ার সঙ্গে কোনো এক চুক্তি করেছিল অর্জুন, সে অনুযায়ী পিয়ার বয়ফ্রেন্ড সেজে থাকার দরুন প্রতি মাসে সে ২৫ হাজার টাকা করে পাবে। অর্জুন এবং পিয়ার এই গোপন বোঝাপড়ার কথা যখন সবার সামনে চলে আসে তখন থেকেই শুরু হয় সমস্যা।

প্রেম, সম্পর্ক এই সমস্ত কিছু থেকে দূরে পালিয়ে যায় অর্জুন, নিজের লক্ষ্যে আরও ফোকাস করতে চায়, কিন্তু অজান্তেই সে পিয়ার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। অন্যদিকে নায়িকাও যে নিজের পরিবারকে নিয়ে একেবারে খুশি নয়, সেটিও বোঝা যায় বিভিন্ন দৃশ্য দেখে। তারপর কী ঘটে, তারা কি অবশেষে সমস্ত জটিলতা কাটিয়ে এক হতে পারবে? সেটি নিয়েই এই ছবি। এই সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন শাওনা গৌতম, এটি তাঁর প্রথম পরিচালিত সিনেমা।

পরিচালক জানিয়েছেন, ‘নাদানিয়া আমার জন্য ভীষণ স্পেশাল। এই সিনেমাটি আমার প্রথম পরিচালিত সিনেমা। কারণ, স্যারের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল, যা পূরণ হয়েছে।’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন করণ জোহর। এর আগে তিনি আলিয়া থেকে বরুণ ধাওয়ান, এর আগে একাধিক তারকা সন্তানকে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করিয়েছেন। বরাবরই তিনি তারকা সন্তানদের নিজের ছবিতে কাজ দেওয়ার জন্য পরিচিত। এর জন্য তাঁকে সমালোচনারও শিকার হতে হয়েছে। তা সত্ত্বেও তিনি আরও এক তারকা সন্তানের জন্য বলিউডের দরজা খুলে দিলেন।

ইব্রাহিম প্রসঙ্গে করণ জোহর বলেন, ‘ইব্রাহিমের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাৎ অনেকটা সইফের সঙ্গে দেখা হওয়ার মতো। আমি ওদের পরিবারকে প্রায় ৪০ বছর ধরে চিনি। তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করেছি। আমি জানি এই পরিবারের রক্ত এবং তাদের আবেগে সিনেমা রয়েছে। আমার বিশ্বাস সিনেমার পর্দায় খুব শিগগিরই ঘর করে নেবে ইব্রাহিম। সেই অপেক্ষায় রয়েছি। ‘নাদানিয়া’ সিনেমাটি আরও একটি কারণে ভীষণ স্পেশাল হয়ে উঠেছে, কারণ এই সিনেমায় বহু বছর পর পর্দায় অভিনয় করতে দেখা যাবে সুনীল শেট্টি, দিয়া মির্জা, যুগল হংসরাজ এবং মহিমা চৌধুরীকে। নস্টালজিয়া এবং নতুন প্রজন্ম যে এই সিনেমায় মিলেমিশে একাকার হতে চলেছে, তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল ট্রেলারে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এই স ন ম আরও এক পর চ ল র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দোষ বিয়ারিং প্যাডের নয়, যারা লাগিয়েছে কিংবা বুঝে নিয়েছে, তাদের: ডিএমটিসিএল এমডি

মেট্রোরেল চালুর আগে নিরাপত্তার পূর্ণাঙ্গ নিরীক্ষা (সেফটি অডিট) ছাড়াই যাত্রা শুরু হয়েছিল ঢাকার মেট্রোরেলের। এর মধ্যে বিয়ারিং প্যাড নিচে পড়ে একজন পথচারী মারা গেছেন। এবার নতুন করে নিরাপত্তার নিরীক্ষা করার উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।

বিয়ারিং প্যাড পড়ে পথচারীর মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর আজ সোমবার সকালে উত্তরার দিয়াবাড়িতে মেট্রোরেলের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ফারুক আহমেদ। তিনি বলেন, ‘মেট্রোরেলের আগে সেফটি অডিট হয়নি। তাই সেফটি অডিট করতে চাইছি। যত দ্রুত করা যায়, সেটা আমরা করব। থার্ড পার্টিকে (তৃতীয় পক্ষ) দিয়ে এই অডিট করানো হবে। ইউরোপীয় কোনো প্রতিষ্ঠান দিয়েই করানো হবে। আমাদের কাছে ফ্রান্সের দুটি প্রতিষ্ঠান আবেদন করেছে। সেফটি অডিট করার জন্য আমরা খুব শিগগির টেন্ডারের প্রক্রিয়ায় যাব।’

এক বছর আগে ঢাকার মেট্রোরেলের স্তম্ভের একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ার পর গত ২৬ অক্টোবর ফার্মগেটে আরেকটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে এক পথচারীর মৃত্যু হয়। এরপর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় শাহবাগ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ছিল।

বিয়ারিং প্যাড পড়ে যাওয়ার পর এগুলোর নিরাপত্তা সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, ‘বিয়ারিং প্যাড হঠাৎ করে পড়ে যায়নি। এটা হঠাৎ করে পড়ে যাওয়ার জিনিস নয়। যেহেতু এটা নিয়ে তদন্ত চলছে, ফলে এ বিষয়ে আমি জাজমেন্টাল হতে চাই না। তবে যেটা হতে পারে, সেটা বলতে পারি, ডিজাইন ফল্ট হতে পারে। যে জিনিসের ওপর বসানোর কথা বলা হয়েছিল, যা যা দেওয়ার কথা ছিল, সেটা বসানো হয়নি। যে ডিজাইনে হওয়ার কথা ছিল, সেটা হয়তো ঠিকাদার করেনি। যে পরামর্শককে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তারা হয়তো ঠিক করে জিনিসটা বুঝে নেয়নি। এই চারটা কারণে হতে পারে অথবা এর মধ্যে কোনো একটা কারণেও হতে পারে।’

ফারুক আহমেদ আরও বলেন, ‘দোষ কিন্তু বিয়ারিংয়ের নয়। বিয়ারিং যে লাগিয়েছে, সেটি বাজেভাবে লাগানো হয়েছে কি না? যার আসলে বুঝে নেওয়ার দায়িত্ব ছিল, সে বুঝে নিয়েছে কি না, সেগুলো এখন দেখতে হবে।’

আরও পড়ুনবৃষ্টির পানি ঢোকে, এসি বিকল হয়, মেট্রোরেল ব্যবস্থায় ৪৫ সমস্যা০২ নভেম্বর ২০২৫

এসব কাজ বুঝে নেওয়ার জন্য হাজার কোটি টাকায় বিদেশি পরামর্শক নিয়োগ করা আছে জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘প্রথম ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেবেন পরামর্শক। আমাদের বুঝিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব পরামর্শকদের। তখন এই কাজগুলো কিছুটা তাড়াহুড়া হয়েছে। কেন হয়েছে, সেটার উত্তর তো আমি দিতে পারব না। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছিল, সেই অংশে অনেক ডিফেক্ট আছে। ফলে সেটা এখনো আমরা বুঝে নিইনি।’

ডিএমটিসিএলের এমডি বলেন, যেখানে বিয়ারিং প্যাড পড়ে গিয়েছিল, ওই অংশের ত্রুটি সারিয়ে দেওয়ার সময়সীমা (ডিফেক্ট লায়াবেলিটি) গত জুন পর্যন্ত ছিল। কিন্তু ডিএমটিসিএল তাদের এই সময়সীমা গ্রহণ করেনি। কারণ, এখনো অনেক বড় ত্রুটি রয়ে গেছে। যত সমস্যা আছে, এগুলো ঠিকাদারকে মেরামত করতে হবে। এ জন্য ‘ডিফেক্ট লায়াবেলিটি’ দুই বছর বাড়ানোর জন্য ঠিকাদারকে বলা হয়েছে।

দুর্ঘটনার পর মেট্রোরেলের সব কটি পিলার পরিদর্শন ও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, এর আগে পুরো পথের বিয়ারিং প্যাডের ছবি ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে তোলা হয়েছে। এরপর কর্মকর্তারা সরেজমিনে নিরীক্ষা করেছেন। যেসব স্থানে ত্রুটি শনাক্ত করা হয়েছে, সেগুলোর বিষয়ে পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে জানানো হয়েছে। ডিএমটিসিএলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো, যেখানে ত্রুটি বা সমস্যা পাওয়া যাবে, সেখানে বিয়ারিং প্যাড অবশ্যই পরিবর্তন করা হবে।

আরও পড়ুনমেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড কী, খুলে পড়ার কারণ কী হতে পারে২৬ অক্টোবর ২০২৫

চার বছর আগে তাড়াহুড়া করে ঢাকার মেট্রোরেল চালু করা হয়েছিল দাবি করে ফারুক আহমেদ বলেন, প্রকল্পটি চালুর আগে ন্যূনতম ছয় থেকে নয় মাসের পরীক্ষামূলক চলাচল নিশ্চিত করার প্রয়োজন ছিল। তিন বছরে মেট্রোরেল চালু হবে বা পাঁচ বছরে মেট্রোরেল সম্পূর্ণ হবে—এ ধরনের ধারণা আসলে ভুল। কোনো মেট্রোরেল নির্মাণের জন্য সব ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ার পর ছয় থেকে সাত বছর লাগে। এর আগে প্রকল্প প্রণয়ন, সম্ভাব্যতা যাচাই ও অন্যান্য প্রস্তুতিতে চলে যায় তিন বছর।

২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের যে লক্ষ্যমাত্রা আগে নেওয়া হয়েছিল, তা কিসের ভিত্তিতে হয়েছে, তা তার বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেন ডিএমটিসিএলের এমডি।

নতুন মেট্রোরেল লাইন নির্মাণ প্রকল্প তাহলে মুখ থুবড়ে পড়ছে কি না, এমন প্রশ্ন করা হলে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘মেট্রোরেল প্রকল্প মুখ থুবড়ে পড়েনি। মেট্রোরেল আমাদের লাগবে। আমাদের লক্ষ্য হলো, দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যেন এই প্রকল্পের ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়। সরকারের উদ্দেশ্য হলো একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করা, যাতে একাধিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিতে পারে এবং কম খরচে উন্নত মানের মেট্রোরেল নির্মাণ সম্ভব হয়। মেট্রোরেল আমাদের করতেই হবে; তবে তা হবে স্মার্ট ফাইন্যান্সিংয়ের মাধ্যমে।’

আরও পড়ুনবিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে ফার্মগেটে একজন নিহত, মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ ২৬ অক্টোবর ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ