ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের শারীরিক অবস্থার উন্নতি নেই। তাঁকে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের লাইফ সাপোর্টে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ড. সিদ্দিকের মাথায় অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, তবে মস্তিষ্কে কোনো সাড়া মিলছে না। যে কারণে অস্ত্রোপচার বিলম্বিত হচ্ছে।
 
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালের নিউরোসার্জন অধ্যাপক ডা.

নজরুল ইসলাম এসব তথ্য জানান। সাবেক এই উপাচার্য তাঁর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন। 

ডা. নজরুল হোসেন বলেন, ড. সিদ্দিককে হাসপাতালে ভর্তির পর থেকে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি প্রতিবেদন হাতে এসেছে। সে অনুযায়ী তাঁর চিকিৎসা চলমান। স্ট্রোক করার কারণে শুরু থেকেই তাঁকে আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবু অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ভেন্টিলেশন দেওয়া হয়।

ডা. নজরুল জানান, ড. সিদ্দিকের রক্তচাপ স্বাভাবিক রয়েছে। প্ল্যাটিলেট এক লাখ মাইক্রোলিটারের বেশি। ইউরিন আউটপুট স্বাভাবিক, হার্টের অবস্থাও ভালো। মস্তিষ্কের অবস্থা বৃহস্পতিবার রাতের চেয়ে কিছুটা অবনতি হয়েছে। মাঝে মাঝে কোনো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে অস্ত্রোপচার প্রস্তুতি নেওয়া যাচ্ছে না। মস্তিষ্কের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে অস্ত্রোপচারের প্রক্রিয়া শুরু হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে স্বাভাবিক অবস্থায় ব্যাংক থেকে টাকা তোলেন অধ্যাপক আরেফিন সিদ্দিক। এর পর ঢাকা ক্লাবের বেকারিতে কেনাকাটা করতে গিয়ে পড়ে যান। তাৎক্ষণিক তাঁকে বারডেম হাসপাতালে নেওয়া হয়।


 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আহত অবস থ র

এছাড়াও পড়ুন:

পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল

ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।

গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র

গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।

গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।

ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানের

ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।

ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।

ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ