আমার বাংলাদেশ (এবি) যুব পার্টির কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক শাহাদাতুল্লাহ টুটুল বলেছেন, বাংলাদেশে ক্রিয়াশীল রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির অনেক ভালো দিক আছে। কিন্তু আমরা মনে করি পরিপুর্ণ দুর্নীতি ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সে দলগুলো পরিপুর্ণ কাজ করতে পারেনি। যার কারণে আমরা দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছি। 

একটা গবেষণায় দেখা গেছে, সারা পৃথিবীর মধ্যে সবচাইতে বসবাসের অযোগ্য শহর হচ্ছে ঢাকা। আমাদের পরিবেশ এত বেশি খারাপ হয়েছে যে, ঢাকার বাতাসে সিসা রয়েছে। যার কারণে পরিবেশবিদরা বলছেন, ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখতে। এর পেছনে মূল সমস্যা হচ্ছে পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি আমাদের দেশে গড়ে উঠেছে। বাবার মৃত্যুর পরই কন্যা দায়িত্ব নেয়। স্বামীর মৃত্যুর পরই স্ত্রী দায়িত্ব নেয়। মায়ের পরে সন্তান, সন্তানের পর আবার মা আসে। 

কিন্তু এখান থেকে বের করে যোগ্যতা ভিত্তিতে মানুষের অধিকার নিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের যাত্রা শুরু করেছে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি।  আমরা মনে করি বাংলাদেশের যুবকদের সমস্যা দুইটি। একটা হচ্ছে বেকারত্ব আরেকটা হচ্ছে মাদকাসক্ত। এই সমস্যার সমাধান যদি দ্রুত করা যায়, বাংলাদেশের যুব সমাজ পৃথিবীর যেকোন দেশের যুবসমাজের সাথে প্রতিযোগিতায় সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।

 আমাদের সতের কোটি মানুষের চৌত্রিশ কোটি হাত। সেগুলো কিন্তু কর্মের হাত। প্রত্যেকটা মানুষ কাজ করতে চায়, অলস থাকতে চায় না। কাজ নেই বলেই এখানে অলসতা। কাজ নেই বলে যুবকরা আড্ডা দিচ্ছে। কাজ নেই বলে রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকছে। আমরা যদি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারি, কর্মসংস্থান প্রত্যেকটা যুবকের অধিকার। 

এই অধিকার নিশ্চিত করার অন্দোলন হচ্ছে এবি যুব পার্টির কাজ। পাশাপাশি মাদকের যে করাল গ্রাস, বিভিন্ন নামে মাদক আমাদের সমাজে বিস্তার করে রেখেছে এক শ্রেণির কালো টাকার ব্যবসায়ীরা। এই সিস্টেমটাকে যদি আমরা মূলোৎপাটন করতে পারি, তাহলেই এখান থেকে যুবকদেরকে আমরা নিয়ে আসতে পারবো।  

শুক্রবার (৭ মার্চ) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জালকুড়ি খোলামার্কেট এলাকায় সংগঠনটির  আহ্বায়ক  কমিটি গঠন  উপলক্ষ্যে যুব সমাবেশ ও ইফতার পার্টিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এসময় প্রধান অতিথি শাহাদাতুল্লাহ টুটুল এবি যুব পার্টির নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটিতে আরিফুল ইসলামকে আহ্বায়ক এবং ফরহাদ হোসেনকে সদস্য সচিব করে আগামী এক বছর মেয়াদী ২১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়। 

কমিটির অন্যান্যরা হলেন যুগ্ম আহ্বায়ক- সাজ্জাদ কবির সুজন, মো.

মামুন রহমান, আদিল মাহমুদ, মো. জহির, যুগ্ম সদস্য সচিব- জহিরুল ইসলাম, দিদারুল ইসলাম, মো. সবুজ, মো. গোলাম মোস্তফা, তরিকুল হাসান, কামরুন নাহার মাহফুজা অনামিকা, সহকারী সদস্য সচিব বাবর আলী, মো. রুবেল, কার্যকরী সদস্য মো. আলাউদ্দিন, টিপু সুলতান, মো. শাকিল, রেজোয়ার আহমেদ শাকিল, সৌরভ খান, আব্দুল্লাহ আল মারুফ, শাহজালাল ইসলাম। 
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ র জন ত ন র য়ণগঞ জ ল ইসল ম আম দ র সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ