সেই আলোচিত পর্ন তারকা জুটি গ্রেপ্তার
Published: 20th, October 2025 GMT
আলোচিত বাংলাদেশি পর্ন তারকা জুটি বৃষ্টি ও আজিমকে বান্দরবান থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে তাদেরকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান।
সিআইডি জানিয়েছে, ওই জুটি বিদেশি একটি ওয়েবসাইটে নিয়মিত পর্ন কনটেন্ট আপলোড করতেন। তাদের পরিচালিত চ্যানেলটি বিশ্বের জনপ্রিয় পর্ন সাইটগুলোর মধ্যে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে।
বাংলাদেশে বসেই আন্তর্জাতিক অ্যাডাল্ট কনটেন্ট প্ল্যাটফর্মের জন্য ভিডিও তৈরির অভিযোগ আছে তাদের বিরুদ্ধে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তারা নিজেদের ‘মডেল‘ হিসেবে পরিচয় দেন। বিশ্বের অন্যতম বড় ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভিডিও প্রকাশের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছেন তারা।
গবেষণাভিত্তিক অনুসন্ধানী প্ল্যাটফর্ম দ্য ডিসেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই যুগল ২০২৪ সালের মে মাস থেকে অনলাইনে সক্রিয়। এক বছরের মধ্যে তারা শতাধিক ভিডিও প্রকাশ করে বিপুল দর্শক ও অনুসারী অর্জন করেছেন।
বৃষ্টি ও আজিমের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, পাঁচ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার
কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে আসা এক পর্যটককে জিম্মি করে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে শহরের কলাতলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারী অটোরিকশাযোগে সৈকত থেকে হোটেলের দিকে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের পর্যটক সাইফুল্লাহকে জিম্মি করে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা সাইফুল্লাহকে ছুরিকাঘাত করে মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত পর্যটককে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপর পুলিশ ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযানে নামে। রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত পাঁচজন তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ১০টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে, মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ছিনতাইকারীদেরও শনাক্তের কাজ চলছে।
গ্রেপ্তার পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ডিককুল গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে মো. বাবুল (২৮), কক্সবাজার পৌরসভার পিটি স্কুল এলাকার মো. সেলিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১), নতুন বাহারছড়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে মো. সোহেল (২২), কলাতলীর কালা পুতুর ছেলে মো. সিদ্দিক (৪০) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মো. সারোয়ারের ছেলে ইমরান সারোয়ার (২৫)।
ছুরিকাঘাতে আহত পর্যটক সাইফুল্লাহর বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাহালি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সিদ্দিক সিকদার। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।