চিত্রনায়িকা ইরা শিকদার অভিনীত ‘কন্যা’ সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। রফিকুল ইসলাম খান পরিচালিত সিনেমাটি আগামী ২৪ অক্টোবর সারা দেশে মুক্তি পাবে। এতে ইরাকে সংগ্রামী নারীর চরিত্রে দেখা যাবে। 

চরিত্রটি নিয়ে ইরা বলেন, “আমি রেখা চরিত্রে অভিনয় করেছি। দরিদ্র পরিবারের মেয়ে হিসেবে ছোট ভাইবোন আর অসুস্থ মায়ের দায়িত্ব নিতে গিয়ে জীবনের কঠিন সংগ্রামের মুখোমুখি হয় সে। কখনো শ্রমিক, কখনো ক্লিনারের কাজ করে পরিবারের হাল ধরতে হয়। গল্পের শেষভাগে জীবনের মোড় ঘুরে যায় অন্যদিকে।”

ইরা শিকদার এর আগে অভিনয় করেছেন—‘পুড়ে যায় মন’, ‘মিলন সেতু’, ‘বেগমজান’, ‘টোকাই’, ও ‘ময়নার শেষ কথা’ সিনেমায়। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তার অভিনীত ‘অন্তরে আছো তুম’। এছাড়া শুটিং শেষ করে সেন্সরে যাচ্ছে ‘ভালোবাসি তোমায়’ ও ‘লগআউট’। বর্তমানে তিনি কাজ করছেন সরকারি অনুদানের দুই সিনেমা—‘দেনা পাওনা’ ও ‘বন্ধু তুই আমার’।

চলচ্চিত্রের পাশাপাশি ইরা অভিনয় করেছেন অর্ধ শতাধিক নাটকে, তিনটি বিজ্ঞাপনচিত্রে ও প্রায় ২০টি মিউজিক ভিডিওতে মডেল হিসেবে।

‘কন্যা’ সিনেমায় ইরার বিপরীতে আছেন নবাগত হারুন শেখ। আরও অভিনয় করেছেন কাজী হায়াৎ, রেবেকা, নিশো, শামীম সরকার, আরিয়ান, এলিন, ও মারুফ আকিব প্রমুখ। সিনেমার গানগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন প্রয়াত অ্যান্ড্রু কিশোর, মিতা মল্লিক, অনামিকা, মুক্তি, কলি সরকার ও মিতালী মল্লিক।

ঢাকা/রাহাত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ডোপামিন ডিটক্স কী? অতিরিক্ত চিন্তার জাল থেকে বেরোতে কি এটি কাজে দেয়

ডোপামিন ডিটক্স কী

ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে যেসব হরমোন যুক্ত, তার মধ্যে অন্যতম ডোপামিন। অর্থাৎ দেহে ডোপামিনের মাত্রা বাড়লে আমাদের ভালো লাগে।

তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভালো লাগার একটা অনুভূতি পেতে অনেকেই এমন কাজে ডুবে থাকেন, যাতে অস্থিরতা বাড়তে পারে। এই বিষয়টা মনের জন্য ক্ষতিকর।

যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করা কিংবা তা করতে না পারলেই অস্থির হয়ে পড়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ডোপামিনের ব্যাপারস্যাপার।

একই রকম ব্যাপার যুক্ত থাকে বারবার মুঠোফোনের নোটিফিকেশন দেখা, রিল দেখা, গেম খেলা, চা-কফি খাওয়া কিংবা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার সঙ্গেও।

এ ধরনের যেকোনো অভ্যাসে কারও জড়িয়ে পড়ার কারণই হলো, ওই কাজটি থেকে তিনি অনেক বেশি মাত্রায় ডোপামিন পান। তাই ওই কাজটি করতে না পারলেই অস্থির হয়ে পড়েন।

এ ধরনের যেকোনো কাজের প্রতি অতিনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার পদ্ধতিকেই বলা হয় ডোপামিন ডিটক্স।

আরও পড়ুনপ্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে মেনে চলুন ৮টি উপায়১০ ঘণ্টা আগেযেভাবে করা যায় এই ডিটক্স

ডোপামিন ডিটক্স মানে কিন্তু এই নয় যে দেহ থেকে ডোপামিন বের করে দিতে হবে। সুস্থ থাকতে দেহে ডোপামিনের ভারসাম্য তো ঠিকঠাক থাকতেই হবে। ডোপামিন ডিটক্সের অর্থ হলো আপনি এমন কাজের চর্চা করবেন, যাতে দেহে ডোপামিনের মাত্রা বাড়বে ধীরে ধীরে।

প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো, বাগান করা, ধ্যান করা, নীরবতা উপভোগ করা, বই পড়া, মনের কথা লিখে রাখা কিংবা পছন্দের কাজ শেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ডোপামিন বাড়ে। তাই প্রশান্তিদায়ক আনন্দ পাওয়া যায়। কার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন কাজটা উপকারে আসবে, তা তিনি নিজেই ভেবে বের করতে পারবেন।

ধাপে ধাপে এগোন

এ ধরনের কাজের অভ্যাস করার কথা বলা যতটা সহজ, করা ততটা সহজ নয়। তাই এগোতে হবে ধাপে ধাপে।

সপ্তাহের একটা দিন দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। সেদিন আপনি ওসব কাজ করবেন না, যেসবের প্রতি আপনি অতিনির্ভরশীল; অর্থাৎ যেসব কাজে উচ্চমাত্রার ডোপামিন পাওয়া যায়। বরং কাটাবেন প্রশান্তির সময়।

ডিটক্সের জন্য যে ধরনের কাজ করা প্রয়োজন, তেমন কিছুতে সময় কাটান। ঘুরে আসতে পারেন ধারেকাছে কোথাও।

প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো, বাগান করা, ধ্যান করা, নীরবতা উপভোগ করা, বই পড়া, মনের কথা লিখে রাখা কিংবা পছন্দের কাজ শেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ডোপামিন বাড়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ