বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে করিডোর চায় মেঘালয়
Published: 8th, March 2025 GMT
পশ্চিমবঙ্গ ও ভারতের অন্যান্য অঞ্চলের সঙ্গে ভৌগলিক দূরত্ব হ্রাস করতে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে যাওয়ার করিডোর চেয়েছেন মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাঙমা। খবর এনডিটিভির।
স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাজধানী শিলংয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ প্রসঙ্গে বলেছেন তিনি।
সাঙমার প্রস্তাবিত এই করিডোর করিডোরটির দৈর্ঘ্য হবে ১০০ কিলোমিটার বা তার চেয়ে বেশি। এটি মেঘালয়ের মহেন্দ্রগঞ্জের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বন্দরশহর হিলিকে সংযুক্ত করবে। মহেন্দ্রগঞ্জ ও হিলি দুই শহরেরই সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে বাংলাদেশের।
করিডোরটি নির্মাণ করা গেলে মহেন্দ্রগঞ্জের পাশাপাশি মেঘালয়ের তুরা, বাঘমারা, ডালু ও ডাউকি জেলার সঙ্গও পশ্চিমবঙ্গের সংযোগ স্থাপন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন কনরাড।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যদি বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে হিলি ও মহেন্দ্রগঞ্জের মধ্যে একটি সংযোগ করিডোর নির্মাণ করা হয়, তাহলে মেঘালয়, আসামের বরাক উপত্যকা ও ত্রিপুরার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ৬০০-৭০০ কিলোমিটার কমে যাবে। এটি হবে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক করিডর। তবে কবে নাগাদ এটি হতে পারে, তা বলা একটু কঠিন। কারণ এর সঙ্গে বাংলাদেশের সরকারও যুক্ত। বাংলাদেশের সরকার পরিবর্তনের আগে এ ইস্যুতে ঢাকার সঙ্গে মন্ত্রী পর্যায়ে বৈঠক করেছিল নয়াদিল্লি। আমরা এ ইস্যুটি পুনরুজ্জীবিত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাব।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: কর ড র
এছাড়াও পড়ুন:
গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’
এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’
এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।