নওগাঁ শহরের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী স্বামী-স্ত্রী নিহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বেলা দুইটার দিকে নওগাঁ-সান্তাহার বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতেরা হলেন বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতনগ্রাম ইউনিয়নের কোলা পালসা গ্রামের আফাজ উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর স্ত্রী বিলকিস বানু (৫০)।

পুলিশ ও কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শীর সূত্রে জানা যায়, আজ দুপুরে বিলকিসকে নিয়ে নওগাঁ শহর থেকে মোটরসাইকেলে গ্রামের বাড়ি বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার কোলা পালসা গ্রামের উদ্দেশে যাচ্ছিলেন তাঁর স্বামী আফাজ। পথে নওগাঁ-সান্তাহার বাইপাস সড়কের খলিসাকুড়ি মোড় এলাকায় মজুমদার অটো রাইস মিলের সামনে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তাঁদের বহনকারী মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন আফাজ ও বিলকিস।

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল থেকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। পাশাপাশি স্বজনদেরও খবর দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত ট্রাক ও মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ