মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বিয়ের অনুষ্ঠানে তিন বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা সদর থানায় মামলা করেছেন। অভিযুক্ত এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এজাহার ও শিশুটির পরিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির বাবার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায়। চাকরির সুবাদে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে তিনি টাঙ্গাইলের সফিপুর উপজেলায় থাকেন। গত শুক্রবার দুপুরে ভাতিজির বিয়ের অনুষ্ঠানে তিনি দুই মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে গ্রামের বাড়িতে আসেন। ওই দিন বিকেলে চকলেট কিনে দেওয়ার কথা বলে তিন বছরের মেয়েকে বাড়ির পাশে খেতে নিয়ে ধর্ষণ করে এক কিশোর (১৫)। সে শিশুটির আত্মীয়। পরে শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। গত রোববার সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক পরিবারকে জানান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

শিশুটির বাবা প্রথম আলোকে বলেন, টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গতকাল দুপুরে মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় গতকাল রাতে তিনি বাদী হয়ে ওই কিশোরকে আসামি করে মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেছেন।

এ বিষয়ে আজ বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় টাঙ্গাইল পৌর এলাকা থেকে এক কিশোরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে কিশোর আদালতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ সদর গতক ল উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস

আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়

সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।

সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।

সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।

সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।

সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।

সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।

সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।    

সম্পর্কিত নিবন্ধ