Samakal:
2025-06-16@08:29:13 GMT

রোজা রেখে ব্যায়াম করা কি ঠিক?

Published: 13th, March 2025 GMT

রোজা রেখে ব্যায়াম করা কি ঠিক?

চলছে রমজান মাস। এদিকে গরমও পড়তে শুরু করেছে। গরমে শরীর থেকে ঘাম ঝরার কারণে পানিশূন্যতা তৈরি হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।  এ কারণে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে রোজা রেখে ব্যায়াম করা ঠিক কিনা? বিশেষজ্ঞদের মতে, রোজা রেখে অতিরিক্ত ব্যায়াম করা ঠিক নয়। এই সময় হালকা ধরনের কিছু ব্যায়াম যেমন- হাঁটাহাটি, হালকা জগিং, সাইক্লিং, হালকা ভারত্তোলন ধরনের ব্যায়াম করতে পারেন। সুস্থ থাকার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজনীয় হলেও রোজার মাসে এই রুটিন কিছুটা আলাদা হবে। যেমন-

১.

দিনের শেষ ভাগে যখন তাপমাত্রা কমে যাবে তখন হালকা ব্যয়াম করতে পারেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, সূর্যাস্তের অন্তত দেড় ঘণ্টা আগে রোজাদাররা ব্যায়াম করতে পারেন। সেক্ষেত্রে হাঁটাহাটি , হালকা জগিং কিংবা ফ্রি হাণ্ড এক্সসারসাইজ করাই ভালো।

২. রোজা থাকা অবস্থার চেয়ে ইফতারির পর ব্যায়াম করাই বেশি ভাল। তবে ইফতারির পর পর ভরা পেটে ব্যায়াম করা ঠিক নয়। ইফতারি খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা পর ব্যায়াম করতে পারেন।ইফতারি করার পর ব্যায়াম করতে চাইলে ইফতারির সময় অতিরিক্ত খাবার খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমাণে পানিও পান করা প্রয়োজন।

৩. যেসব রোজদার অনেক রাত পর্যন্ত জেগে থাকেন তারা রাত ১১ টা থেকে ২ টার মধ্যে ব্যায়ামের সময় নির্ধারন করতে পারেন। বিকালের দিকে যদি বিশ্রাম নেওয়ার সময় পান তাহলে এ সময় ব্যায়াম করতে পারেন।

৪. যারা সেহেরির সময় একটু আগে ওঠেন তারা সেহেরি খাওয়ার আগে ব্যায়াম করতে পারেন। এ সময় আগের রাতের খাবার থেকে শরীরে শক্তি যেমন পাওয়া যায় তেমনি পাকস্থলীও খালি থাকে। ব্যায়াম শেষে এ সময় পরিপূর্ণ ভাবে খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। এতে সারাদিন শরীরও তরতাজা থাকবে।সূত্র : খলিজ টাইমস

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব য য় ম করত ব য য় ম কর র সময় ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ