দুদকের মামলা চলমান থাকায় ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান ও ছেলে ফাহিম সাদেক খানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ২১টি হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ৪ কোটি ২০ লাখ ৭ হাজার ৬৮৬ টাকা জমা রয়েছে। 

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। ২১টি হিসাবের মধ্যে, ফেরদৌসী খানের ১৪টি, সাদেক খানের পাঁচটি ও ফাহিম সাদেক খানের নামে দুইটি হিসাব রয়েছে। 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুদকের সহকারী পরিচালক কে এম মর্তুজা আলী সাগর পৃথক তিন আবেদনে এসব হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ চান। পরে বিচারক সেটি মঞ্জুর করেন।
 
অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক সংসদ সদস্য মো.

সাদেক খান ও তার স্ত্রী ফেরদৌসী খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৫ কোটি ৯৮ লাখ ৩২ হাজার ৫২১ টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জনপূর্বক তা নিজ দখলে রেখে এবং নিজ নামে ১৫১টি ব্যাংক হিসাবে ৩৯ কোটি ৭৭ লাখ ৭০ হাজার ৩২৬ টাকা জমা ও ৩২ কোটি ৫৪ লাখ ৫৮ হাজার ৭৮০ টাকা উত্তোলনসহ মোট ৭২ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ১০৬ টাকার অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন করে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস আড়াল করার উদ্দেশ্যে এর হস্তান্তর, স্থানান্তর করায় তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় ও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারার এবং দন্ডবিধির ১০৯ ধারায় শাক্তিযোগ্য অপরাধে সূত্রে বর্ণিত মামলাটি দায়ের করা হয়।

মামলাটি বর্তমানে তদান্তাধীন রয়েছে। তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খান এবং আসামি মো. সাদেক খানের নামে অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া যায়। 
তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, তদন্তকালে আসামি মিসেস ফেরদৌসী খান এবং আসামি মো. সাদেক খানের নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর বা অন্য কোন পন্থায় মালিকানা পরিবর্তন বা হস্তান্তর করে বাংলাদেশের বাইরে গমন করে আত্মগোপনের সম্ভাবনা রয়েছে। মামলাটি তদন্তের স্বার্থে তদন্তকালে আসামি ফেরদৌসী খান এবং আসামী মো. সাদেক খান এর নামে অর্জিত অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবর দ ধ র তদন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে ছাত্রীর মৃত্যু

রাজধানীর ইডেন কলেজের আবাসিক হোস্টেলের পুকুরে ডুবে সানজিদা খাতুন রুপা (১৮) নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে বেলা ১১টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

সানজিদা অগ্রণী বালিকা স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তিনি কমার্স বিভাগে পড়তেন।

ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে জানানো হয়েছে।

ইডেন কলেজের খোদেজা খাতুন ছাত্রী নিবাসের অফিস সহকারী রিফাত আরা বলেন, কলেজে মোহনা নামের এক শিক্ষার্থীর কাছে সানজিদা এসেছিলেন। পরে পুকুরপাড়ে গিয়ে পানিতে পা ভেজাতে গিয়ে হঠাৎ করে পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করতে গিয়ে মোহনাও পানিতে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছিলেন। আশপাশের লোকজনের সহায়তায় মোহনাকে জীবিত এবং পরে সানজিদাকে টেনে তুলে হাসপাতালে নেওয়া হয়। তবে ততক্ষণে দেরি হয়ে যায়।

সানজিদার বড় ভাই তানভীর ইসলাম বলেন, সকালবেলা বাসা থেকে সে প্র্যাকটিক্যাল পরীক্ষা দিতে যাবে বলে বের হয়েছিল। পরে খবর পাই, ইডেন কলেজের পুকুরে ডুবে মারা গেছে। ঢাকা মেডিকেলে এসে মৃত অবস্থায় পাই।

সানজিদার বাড়ি পুরান ঢাকার চকবাজারের ১২ নম্বর চম্পাকলীতে। তাঁর বাবার নাম সাইজ উদ্দিন। এক ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সানজিদা ছিলেন ছোট।

সম্পর্কিত নিবন্ধ