‘অনেক ক্ষমতাশালীর পতন ঘটেছে ক্ষমা চায় নাই বলে’
Published: 13th, March 2025 GMT
এক হাঁটু ভেঙে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে আলো আঁধারের মধ্যে বসে তাকিয়ে আছেন আফরান নিশো। তার লম্বা চুল, মুখভর্তি সাদা কালো দাড়ি। পিছনে লোহার বেড়ি, যেখানে রক্তের ছাপ লেগে আছে। এমন একটি পোস্টার প্রকাশ হয়েছে ‘দাগি’ সিনেমার। যা দেখে চমকে উঠেছে সিনেমাপ্রেমীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টারটি প্রকাশের পর নেটিজেনরা ধারণা করছেন, পোস্টারের মতো দাগি সিনেমাজুড়ে নিশো তার নামের সুবিচার করবেন। দু‘দিন আগে ‘দাগি’র এক মিনিটের টিজার রিলিজ হলেও প্রশংসিত হয়। তবে পোস্টার নিয়ে চলছে বেশী মাতামাতি।
জাকির হোসেন জয় নামের একজন লিখেছেন, আফরান নিশো এমন ভয়ংকর এক্সপ্রেশন একদম কড়া লাগছে। টিজারের পর এমন একটা কড়া পোস্টার আসার খুব দরকার ছিল। সুমাইয়া সাথী লিখেছেন, নিশোর এই লুকটা জাস্ট ওয়াও। নিরব মিয়া লিখেছেন, ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ দিয়ে রাখছি। আশা করি মনেও দাগ কেটে যাবে।
প্রকাশিত অফিশিয়াল পোস্টারের ক্যাপশনে লেখা, ‘ক্ষমা চাইতে সাহস লাগে। অনেক ক্ষমতাশালীর পতন ঘটে গেছে ক্ষমা চায় নাই বলে।’
নাটকে তুমুল জনপ্রিয়তা অর্জন করে ২০২৩ সালে রায়হান রাফী পরিচালিত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার মাধ্যমে বড়পর্দায় অভিষেক হয় আফরান নিশোর। দুবছর বিরতি দিয়ে তিনি ফের সিনেমা করছেন। দাগি নির্মাণ করেছেন শিহাব শাহীন। তিনি জানান, দাগির কেন্দ্রীয় চরিত্রে নিশো। তাকে ঘিরেই এই সিনেমা নির্মিত হয়েছে। এই সময়ের সামাজিক ও প্রাসঙ্গিক সিনেমা ‘দাগি’। এতে আরও অভিনয় করেছেন তমা মির্জা, সুনেরাহ, শহিদুজ্জামান সেলিম, রাশেদ অপু।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আফর ন ন শ
এছাড়াও পড়ুন:
সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের পাল্টাপাল্টি হামলা, আহত ১০
বরিশালের হিজলায় লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের চাদর বিছানো নিয়ে বিরোধের জেরে সাবেক বিএনপি নেতা ও লঞ্চ যাত্রীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০ যাত্রী আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার শৌলা লঞ্চঘাটে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত বিএনপি নেতার নাম খালেক মাঝি। তিনি হরিণাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক।
যাত্রী ও লঞ্চ কর্মচারীরা জানান, সোমবার সকাল ৮টায় মুলাদীর মৃধারহাট থেকে এমভি জানডা নামক একটি লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। লঞ্চটি ৯টায় হিজলার শৌলা লঞ্চঘাটে ভেড়ে। এ স্টেশন থেকে ওঠা যাত্রীরা লঞ্চের ডেকে বসার চেষ্টা করেন। এ সময় ডেকে আগে বিছিয়ে রাখা চাদরে জায়গা পেতে যাত্রীপ্রতি এক হাজার টাকা দাবি করেন খালেক ও তাঁর সহযোগীরা। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে যাত্রীদের ওপর হামলা করা হয়। এতে ১০ জন যাত্রী আহত হন। তখন যাত্রীরা সংঘবদ্ধ হয়ে খালেক ও তাঁর সহযোগীদের ওপর পাল্টা হামলা করেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে খালেক মাঝি বলেন, লঞ্চের মধ্যে গোলযোগ দেখে তিনি তা থামাতে গিয়েছিলেন। এ সময় লঞ্চের যাত্রীরা তাঁর ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক লঞ্চ কর্মচারী জানিয়েছেন, শৌলা লঞ্চঘাট খালেক মাঝিকে চাঁদা না দিলে সাধারণ যাত্রীরা ডেকে বসতে পারেন না। তারা খালেক মাঝির কাছে অনেকটা জিম্মি।