বগুড়া অনুর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক শিহাবকে সংবর্ধনা দিলো জামায়াত
Published: 14th, March 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত ইয়ং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ জাতীয় ক্রিকেট প্রতিযোগিতায় রাজশাহী বিভাগীয় চ্যাম্পিয়ন বগুড়া অনুর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক শিহাব আহম্মেদকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
দলটির বগুড়া শহর শাখার পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় শিহাবকে নগদ ১০ হাজার টাকা পুরস্কার দেওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বগুরার শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের কনফারেন্স রুমে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আবিদুর রহমান সোহেল।
আরো পড়ুন:
আক্বিদার বিষয়ে প্রশ্ন তোলা অবান্তর
মাহফুজ আলমের মন্তব্য সম্পূর্ণ অসত্য, ভিত্তিহীন: জামায়াত
জামায়াতের নারী কর্মীদের ওপর হামলা, বিএনপি কর্মী গ্রেপ্তার
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আবিদুর রহমান সোহেল বলেন, “জামায়াতে ইসলামী ক্রিকেট, ফুটবলসহ সব ধরনের খেলাধুলার উন্নয়নে কাজ করছে। আমরা সবসময় বগুড়ার সম্ভাবনাময় খেলোয়াড়দের পাশে থাকব।’
জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস ছালাম তুহিনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল আলম, শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের ভেন্যু ম্যানেজার জামিলুর রহমান জামিল, বগুড়া জেলা ক্রীড়া সংস্থার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য খালেদ মাহমুদ রুবেল, মোস্তফা মোঘল ও হাসান মোল্লা, জামায়াত নেতা নামিরুল হক জার্সিস, শফিকুল ইসলাম, জেলা ক্রিকেট কোচ রিফাত হাসান ও সহকারী কোচ রাশেদ।
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শুধু ঘোষণা নয়, বাস্তবে প্রতিফলিত হোক
রাজধানী শহরসহ দেশের বড় শহরগুলোয় শব্দদূষণের অসহনীয় মাত্রার বিষয়টি কারও অজানা নয়। এটি এখন শুধু শব্দদূষণ নয়, শব্দসন্ত্রাস বলেও অভিহিত হচ্ছে। অতীতে ও বর্তমানে সরকারগুলো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও কার্যকর হচ্ছে না। অতীতের ধারাবাহিকতায় রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান, বনানী, বারিধারা ও নিকেতনকে ‘নীরব এলাকা’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য। এখন এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ।
শহরের শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে নীরব এলাকা ঘোষণা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি অবশ্যই সরকারের সদিচ্ছার প্রকাশ। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই ঘোষণা বাস্তবে কার্যকর হবে, নাকি এটিও অতীতের মতো কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ থাকবে? এর আগে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং এর আশপাশের এলাকাকে নীরব এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু তার ফল তেমন একটা ভালো পাওয়া
যায়নি। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, ঘোষণার পর কিছু এলাকায় শব্দ কিছুটা কমলেও সার্বিকভাবে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি হয়নি। এই অভিজ্ঞতা থেকে বোঝা যায়, শুধু ঘোষণা যথেষ্ট নয়, বরং এর কঠোর বাস্তবায়ন অপরিহার্য।
শব্দদূষণের ক্ষেত্রে আগের তুলনায় সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে বলতেই হয়। যার কারণে সাউন্ডবক্স বা মাইক বাজানোর বিষয়গুলো তুলনামূলকভাবে কমে এসেছে। তবে গাড়ির হর্ন এতটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করছে, যা অকল্পনীয়। এটিই এখন রাজধানীসহ বড় শহরগুলোর শব্দদূষণের সবচেয়ে বড় আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, অতিরিক্ত শব্দ হৃদ্রোগ, উচ্চ রক্তচাপ এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। চিকিৎসকেরা বলছেন, এটিতে শ্রবণশক্তি হ্রাস পায়, মেজাজ খিটখিটে হয়, মানুষ অনিদ্রায় ভোগে এবং শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বিঘ্ন ঘটায়। তাই শুধু অভিজাত এলাকা নয়, পুরো শহরে ধাপে ধাপে কীভাবে নীরব এলাকা ঘোষণা করা যায়, সেই লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে।
তবে এ উদ্যোগ সফল করতে হলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে কঠোর হতে হবে। হর্ন বাজানোর বিরুদ্ধে আইন আছে। তা যদি আইনভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে প্রয়োগ না করা হয়, এ ঘোষণা কখনোই সফল হবে না। কেবল প্রশাসনের ওপর নির্ভর না করে নীরব এলাকা–ঘোষিত এলাকাগুলোর বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, যেমন মসজিদ, মন্দির এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও এখানে গণসচেতনতার কাজে যুক্ত করতে হবে।
গাড়ির হর্ন বাজানো সীমিত করতে পরিবহনের বিভিন্ন ধরনের সমিতি–সংগঠনগুলোর যুক্ততাও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। গাড়ির চালকদের অভ্যাসগত পরিবর্তনের জন্য শব্দদূষণের ক্ষতিকর দিকটি নিয়মিতভাবে তাঁদের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। হাইড্রোলিক হর্নসহ উচ্চমাত্রার যেকোনো হর্ন উৎপাদন, আমদানি ও ব্যবহারের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে। এ ব্যাপারে ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই।