গাজীপুরে হামলায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে আল্টিমেটাম জামায়াতের
Published: 14th, March 2025 GMT
গাজীপুরের কালীগঞ্জে জামায়াতের ইফতার মাহফিলে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে উপজেলা জামায়াতে ইসলামী।
এ সময় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন জামায়াত নেতারা। অন্যথায় আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া দেন তারা।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) জুমার নামাজের পর কালীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
নাটোরে বিএনপি-জামায়াত সংঘর্ষে আহত ৫
জামায়াতের ইফতার মাহফিলে বিএনপির বাধা, মামলা
জাময়াত নেতাকর্মীরা জানানা, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জামায়াতের ইফতার মাহফিলে বাধা দেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। পরে এ নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জামায়াতের অন্তত ১০ কর্মী আহত হন।
এ ঘটনায় শুক্রবার ভোরে বাহাদুরসাদী ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি সোহরাব হোসেন বাদী হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত পুলিশ কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
একদিকে হামলার প্রতিবাদে এবং আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে জুমার নামাজের পর গাজীপুর মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য খায়রুল হাসানের নেতৃত্বে কালীগঞ্জ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিএনপির পার্টি অফিস ও কালীগঞ্জ থানা অতিক্রম করে খোদেজা কমপ্লেক্সের সামনে এসে শেষ হয়।
পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জামায়াত নেতারা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে উপজেলা সেক্রেটারি তাজুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য আইন বিষয়ক সম্পাদক মোখলেছুর রহমান।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নায়েবে আমির মো.
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “শুনেছি তারা (জাময়াতে ইসলামি) ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছে। তারা আল্টিমেটাম কেন যা খুশি তাই দিতে পারে।”
গাজীপুর/রেজাউল/এসবি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আল ট ম ট ম ত র কর ব এনপ উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
করিডর নিয়ে যা বলছে, তার প্রতিটি কথার জবাব দিতে হবে: আমীর খসরু
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের জন্য মানবিক সহায়তা পাঠাতে যে করিডরের কথা বলা হচ্ছে, তা বুঝে বলা হচ্ছে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বলেন, যদি বুঝে বলে থাকে, তাহলে প্রত্যেকটা কথার জবাব দিতে হবে।
আমীর খসরু বলেন, যদি দেশে একটি নির্বাচিত সরকার থাকত, তাহলে এমন একটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা–সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে সংসদে আলোচনা হতো, জনগণের মতামত বিবেচনা করা হতো। অথচ এখন এমন সিদ্ধান্ত কে নিচ্ছে, কাদের সঙ্গে বসে নিচ্ছে, তা জাতি জানে না।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের কাজীর দেউড়ি নাসিমন ভবনস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে মহান মে দিবস উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথাগুলো বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দল এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আমীর খসরু নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনারা দেখছেন একটা সুবিধাবাদী শক্তি সৃষ্টি হয়েছে। এদের কোনো অবদান নেই। তাদের বেশির ভাগকে রাস্তায় দেখিনি। এখন এরা মজা মারছে। ক্ষমতার মজা মারছে। এটা কি ছাড়া যায়। এখন তারা নির্বাচনে যেতে চায় না। নির্বাচনে গেলে তো জনগণের নির্বাচিত সরকার হবে। তাদের ওই মজা তখন আর থাকবে না।’
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য একেক দিন একেক দিন একেক কথা বলে। এটা না হলে নির্বাচন হবে না, ওটা না হলে নির্বাচন হবে না। প্রতিনিয়ত তারা একেকটা বয়ান শুরু করেছে। কারণ, তারা তো আনন্দে আছে। এখন এই বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষিতে তারা লাভবান আছে। কাদের কথা বলছি বোঝানোর দরকার আছে? বুঝছেন তো কাদের কথা। সুতরাং এটা বেশি দিন চলতে গেলে জনগণের কাছে জবাবদিহি হতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘যারা জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে আন্দোলনে ছিল না, এখন তারাই বলছে, নির্বাচন না হলেই ভালো। তারা একধরনের সুবিধা নিচ্ছে। কিন্তু জনগণ তাদের এ সুযোগ বেশি দিন দেবে না। বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচন ছাড়া কাউকে ক্ষমতা গ্রহণের বৈধতা দেবে না।’’
বর্তমান সরকারের সময় যেভাবে শ্রমিকস্বার্থ উপেক্ষিত হচ্ছে, তা মেনে নেওয়া যায় না উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, বিএনপির ৩১ দফা রোডম্যাপে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার, সামাজিক নিরাপত্তা এবং তাদের পরিবারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি কল্যাণমূলক পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি রয়েছে।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় শ্রমিক দলের সভাপতি এ এম নাজিম উদ্দীনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ নুরুল্লাহ বাহারের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র শাহাদাত হোসেন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া প্রমুখ।