কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) দ্রুত উন্নতিতে চীনের এক্সপ্রেস ডেলিভারি প্রতিষ্ঠানগুলো ড্রোন, স্বচালিত যান ও অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে লজিস্টিক কার্যক্রম আরো দক্ষ করছে। এতে চীনজুড়ে বেড়েছে ডেলিভারির গতি, কমছে ব্যয়।

সাংহাইয়ের একটি কুরিয়ার কোম্পানিতে এআই-সহায়ক রুট পরিকল্পক দু লান পার্সেল সংগ্রহ, স্থানান্তর ও বিতরণ প্রক্রিয়াকে আরো উন্নত করতে এআই ও বিগ ডাটা ব্যবহার করছেন।

আবার ওয়াইটি টেকনোলজির কর্মকর্তা তু লান জানালেন, ফুচৌ সিটি থেকে শিচিয়াচুয়াং হয়ে সুনিং সিটিতে ডেলিভারির জন্য এআই দুটি বিকল্প রুট দিয়েছে। আগে পার্সেল তৃতীয় দিনের শুরুতে পৌঁছাত, এখন এআই বলছে, এটি দ্বিতীয় দিনের মধ্যাহ্নের মধ্যেই পৌঁছানো সম্ভব।

এআই শুধু রুট পরিকল্পনাই নয়, বরং পুরো ডেলিভারি চেইনেও পরিবর্তন আনছে। সিছুয়ানের ছেংতুর সিনতু জেলায় কুরিয়াররা স্বচালিত গাড়িতে পার্সেল লোড করছেন, যা স্থানীয় বিতরণ কেন্দ্রে পৌঁছে দিচ্ছে।

এতে প্রতি পার্সেলের খরচ ৪২ শতাংশ কমেছে এবং ডেলিভারিম্যানদের বারবার স্টেশনে যাওয়া লাগছে না বলে জানালেন সিনতুর জেডটিও এক্সপ্রেসের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রধান হান হুইচিয়াং।

সূত্র: সিএমজি বাংলা

ঢাকা/হাসান/ফিরোজ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ