কর্মীদের ঐক্যে জাসদের পুনর্জাগরণ ঘটবে
Published: 15th, March 2025 GMT
জাসদের পুনর্জাগরণের জন্য আগে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। এমনটি সম্ভব হলে কর্মীদের ঐক্যের জাসদে ফিরতে নেতারা বাধ্য হবেন। শনিবার বরিশাল প্রেস ক্লাবে বিভাগের ছয় জেলার জাসদ নেতাকর্মীর মতবিনিময় সভায় এ অভিমত দেন বক্তারা। তারা বলেন, গ্রাম পর্যায়ে ত্যাগী নেতাকর্মীর সঙ্গে যোগাযোগ করে প্লাটফর্ম তৈরি করতে হবে। প্লাটফর্ম সিদ্ধান্ত দেবে আগামীতে কারা জাসদকে নেতৃত্ব দেবে।
‘আমাদের লক্ষ্য, জাসদের ঐক্য’– স্লোগানে বিভাগীয় শহরে গিয়ে প্রান্তিক নেতাকর্মীর সঙ্গে মতবিনিময় করছেন দলটির প্রতিষ্ঠাতা ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক প্রয়াত সিরাজুল আলম খান দাদা ভাইয়ের ভাতিজি ব্যারিস্টার ফারাহ খান।
তিনি বলেন, ‘জাসদ আদর্শিক দল। ব্যক্তির কারণে দল ভাঙলেও আদর্শ ঠিকই রয়েছে। আমরা কেউ আর ব্যক্তির জাসদ করব না। নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য আমি এ উদ্যোগ নিইনি। সিরাজুল ইসলাম খান জীবিত থাকতে আমাকে জাসদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করেছেন। লন্ডনের বিলাসী জীবন ছেড়ে আমি তাঁর স্বপ্ন পূরণে ঐক্যবদ্ধ জাসদের জন্য কাজ করছি।’
ব্যারিস্টার ফারাহ বলেন, ‘এখনও জাসদের অনেক নেতা ঐক্যের বিরোধিতা করছেন। তারা সবমিলে ২০ জনের বেশি হবে না। কিন্তু কর্মীরা ঐক্য চাচ্ছেন। তাদের ঐক্যেই জাসদের পুনর্জাগরণ ঘটবে।’
পটুয়াখালী জেলা জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সাবেক এমপি সরদার আব্দুর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় অংশগ্রহণকারীরা জাসদ নিয়ে তাদের সুখ- দুঃখের স্মৃতি তুলে ধরেন। শুধু নেতৃত্ব দখলের জন্য নেতারা বার বার জাসদ ভেঙেছেন। জাসদের পদ ব্যবহার করে মন্ত্রী-এমপি হয়েছেন। জাসদের জন্য শহীদ ২২ হাজার নেতাকর্মীর পরিবারের খোঁজ নেননি বলে মত দেন তারা।
পটুয়াখালীর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা হাসান মাহমুদ দুলাল জানান, দলের বিভাজন তাঁকে জাসদ করতে দেয়নি। ছাত্রলীগের সোনালি দিন শেষ করে যখন জাসদ করার সময় হয়েছে, তখনই দল ভেঙে ব্র্যাকেট বন্দি হয়েছে।
জাসদের আরেক কর্মী মনোতোষ সিকদার বলেন, ‘জাসদ পুনর্গঠন করতে হলে জনগণের কাছে স্পষ্ট করতে হবে, তারা কোনপন্থায় রাজনীতি করবেন। সমাজতন্ত্র নাকি বামপন্থি ঘরনার?’
ঝালকাঠির জাসদ কর্মী আমিনুল ইসলাম বলেন, জাসদ কর্মীরা অন্য দলে যোগ দিলে তাদের কেউ বিশ্বাস করে না। জাসদ হিসেবেই চিহ্নিত করা হয়। যারা অন্য দলে গেছেন, তারা কেউই ভালো নেই। এ ছাড়া মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন জাসদ নেতা শহিদুল ইসলাম মিরন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ত কর ম র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা
ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দা—দু’জায়গাতেই নিজের অভিনয়গুণে জায়গা করে নিয়েছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। পর্দার চরিত্রে যেমন সাহসী, বাস্তব জীবনেও তেমনি সরব ও স্পষ্টভাষী।
বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার উপস্থিতি সবসময়ই আলোচনায় থাকে। নিয়মিত ছবি ও ভাবনার টুকরো প্রকাশ করায় অনেক সময় কটাক্ষের মুখে পড়েছেন এই অভিনেত্রী। তবে এবার সেই সমালোচনা নিয়ে খোলামেলা মুখ খুললেন ভাবনা।
আরো পড়ুন:
সিনেমায় জুটি বাঁধলেন ইয়াশ-তটিনী
‘বেহুলা দরদী’ রূপে পর্দায় স্নিগ্ধা
এক সাক্ষাৎকারে নিজের অবস্থান জানাতে গিয়ে ভাবনা বলেন, “একজন লুকিয়ে লুকিয়ে লিখছে, যার নামহীন একটা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট—না কোনো নাম, না কোনো পরিচয়! এখন সে কোথায় বসে কী লিখছে, তাতে আমার কিছু যায় আসে না।”
তার মতে, ফেক অ্যাকাউন্ট থেকে আসা সমালোচনা বা বিদ্বেষমূলক মন্তব্য কখনো তার মনোযোগ নষ্ট করতে পারে না। ভাবনা বলেন, “যারা নিজেদের মুখ লুকিয়ে কথা বলে, তাদের মতামত আমার কাছে কোনো গুরুত্ব রাখে না।”
অভিনেত্রীর ভাষায়, নিজের কাজ আর ব্যক্তিগত জীবনের মধ্যে পার্থক্য বজায় রাখাই তার মূল নীতি। সমালোচনা বা প্রশংসা—দুটোই তিনি সামলান এক ধরনের ভারসাম্যের সঙ্গে। ভাবনা বলেন, “আমি জানি, আমি কী করছি। কারো ভালো লাগা বা খারাপ লাগা আমার কাজের মান নির্ধারণ করে না। আমি আমার পথেই থাকব, এটাই আমার বিশ্বাস।”
ঢাকা/রাহাত/শান্ত