গাছ আমাদের বন্ধু। গাছ আমাদের অক্সিজেন দেয়। তাই গাছে পেরেক ব্যবহার থেকে সবাইকে সরে আসতে হবে।

আজ রোববার হবিগঞ্জে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথাগুলো বলেন। গাছ সুরক্ষায় গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৬ মার্চ দেশের ২৮টি জেলায় মাসব্যাপী পেরেক অপসারণ কর্মসূচি পালন করে আসছে বন বিভাগ। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো.

ফরিদুর রহমান। সভায় বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম কর্মসূচির বিস্তারিত তুলে ধরেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, গাছের প্রতি ভালোবাসা আরও বাড়াতে হবে। কিছু ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গাছের গায়ে পেরেক দিয়ে বিলবোর্ড ও ফেস্টুন স্থাপন করছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে সবাইকে দূরে থাকতে হবে।

সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য তোফাজ্জল সোহেল, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান, হবিগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জাবেদ ইকবাল প্রমুখ।

পরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে পেরেক দিয়ে আটকানো বিলবোর্ড, ফেস্টুন অপসারণ করা হয়। বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম, এনডিসি জামাল উদ্দিন, বাপা সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেলসহ বন বিভাগের লোকজন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ