গাজীপুরে সাংবাদিকদের সম্মানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মহানগর শাখার আয়োজনে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৭ মার্চ) গাজীপুর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

ইফতার মাহফিলে গাজীপুর মহানগর জামায়াতের আমীর অধ্যাপক মুহা. জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ।

প্রধান অতিথি হামিদুর রহমান আযাদ বলেন, ‘‘সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের ঘটনা একযুগ পেরিয়ে গেছে, এখনো বিচার হয়নি। বিচারহীনতার এই সংস্কৃতি বন্ধ করতে হবে। কথা বলা ও লেখার অপরাধে একাধিক সাংবাদিককে জেলবন্দি জীবন কাটাতে হয়েছে ও নির্বাসনে যেতে হয়েছে। সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।’’

আরো পড়ুন:

নিষেধাজ্ঞা বাতিল, সরকারি বিজ্ঞাপন পাবে ‘সাপ্তাহিক একতা’

বিএনপি সংস্কারের ব্যাপারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ফখরুল 

তিনি আরো বলেন, ‘‘মাগুরায় ৮ বছরের শিশু এবং বরগুনায় ১২ বছরের কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পবিত্র রমজান মাসেও দেশে চুরি, ছিনতাই, খুন, রাহাজানি ও চাঁদাবাজির মতো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়ে চলেছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক।’’

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘‘বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে সাংবাদিকেরা স্বাধীনভাবে সত্য সংবাদ প্রকাশ করতে পারেননি। তৎকালীন সময়ে কিছু সাংবাদিক জামায়াতের সংবাদগুলো বিকৃতভাবে মিডিয়াতে উপস্থাপন করতেন। একজন সাংবাদিকের লেখনী হতে হবে নিরপেক্ষ ও মজলুম মানুষের পক্ষে।’’

ইফতার মাহফিলে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি সালাউদ্দিন আইয়ুবী, খায়রুল আলম, আবুল হাশেম খান, গাজীপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান টিটুসহ জামায়াতে ইসলামী মহানগর শাখার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
 

ঢাকা/রেজাউল/বকুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইফত র ইসল ম ইফত র

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ