মায়ের চিকিৎসা ব্যয়ের টাকা যোগাড় করতে না পেরে মো. আনোয়ার হোসেন নামে এক ব্যক্তি গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ মঙ্গলবার ভোরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের র‌্যাইল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

জানা গেছে, নিহত আনোয়ারের মা দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগে ভুগছেন। তিনি ওই গ্রামের মৃত কিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। 

প্রতিবেশীরা জানান, আনোয়ার হোসেনের মাতা সেতেরা বেগম দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস ও হার্ট রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। তার মায়ের চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা প্রয়োজন। মায়ের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে না পারায় মানসিক যন্ত্রণা ও হতাশায় ভুগছিলেন তিনি। সেই হতাশা থেকে ফ্যানের সঙ্গে রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি।

সাটুরিয়া থানার ওসি মো.

শাহিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত ব্যক্তি তার মায়ের চিকিৎসার টাকা যোগাড় ও সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন। তার আয়ের টাকা দিয়ে মায়ের ওষুধ ও সংসার চালাতে পারছিলেন না। তাই হতাশা থেকে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করার জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম ন কগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ

ইরানের রাজধানী তেহরানের পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে ব্যাপক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। ইরানের সংবাদ সংস্থা ফার্সের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, তেহরানের পশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত একটি সামরিক ঘাঁটিতে ইসরায়েল হামলা চালিয়েছে। এ ছাড়া তেহরানের পূর্বাঞ্চলেও বিস্ফোরণের খবর প্রকাশ করেছে ইরানি গণমাধ্যম।

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তেহরানের কিছু অংশে হামলার হুমকি দিয়েছিল। এরপরই এসব বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) তেহরানের একটি বিস্তৃত এলাকার মানুষকে ‘অবিলম্বে এলাকা ছেড়ে যেতে’ সতর্ক করে।

বিবিসি জানায়, আইডিএফের মুখপাত্র আভিচাই আদরায়ি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স–এ দেওয়া পোস্টে বলেন, ‘আগামী ঘণ্টাগুলোতে আমরা তেহরানের এই এলাকায় অভিযান চালাব—যেমন আগের দিনগুলোতেও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালানো হয়েছে।’

তিনি জানান, ইরানের সামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হবে।

পোস্টের সঙ্গে একটি মানচিত্র যুক্ত করে ইসরায়েল জানায়, তেহরানের তৃতীয় জেলায় বসবাসকারীদের এলাকা ছাড়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়, ‘আপনার এই এলাকায় অবস্থান আপনার জীবনের জন্য হুমকি।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ