অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা ফোন হারিয়ে গেলে ‘ফাইন্ড মাই ডিভাইস’ অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই দূর থেকে সেই ফোনের অবস্থানের তথ্য জানা যায়। অ্যান্ড্রয়েডচালিত সব যন্ত্রে থাকা এ সুবিধা মূলত নির্দিষ্ট গুগল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত থাকা ফোনের অবস্থান জানাতে পারে। এত দিন এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে নির্দিষ্ট ফোন খুঁজে পাওয়া গেলেও এবার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের অবস্থানের তথ্যও জানার সুযোগ চালু করেছে গুগল।

হারিয়ে যাওয়া ফোনের পাশাপাশি বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের অবস্থানের তথ্য জানার সুযোগ দিতে ফাইন্ড মাই ডিভাইস সুবিধায় ‘পিপল’ নামের ট্যাব যুক্ত করা হয়েছে। ট্যাবটিতে ক্লিক করে যেকোনো অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারী তাঁদের অবস্থানের তথ্য পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে শেয়ার করতে পারবেন। এর ফলে পরে পিপল ট্যাবটিতে ক্লিক করলেই তাঁদের অবস্থানের তথ্য পরিচিত ব্যক্তিরা জানতে পারবেন।

আরও পড়ুনস্মার্টফোন হারিয়ে গেলে দূর থেকে অবস্থান জানবেন যেভাবে০১ জুন ২০২৪

প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট নাইনটুফাইভগুগলের তথ্যমতে, মার্চ মাসের অ্যান্ড্রয়েড আপডেটে নতুন এই সুবিধা যুক্ত করা হয়েছে। বর্তমানে ধীরে ধীরে সুবিধাটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে। সুবিধাটি চালুর জন্য অ্যান্ড্রয়েডের ইন্টারফেসেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। অ্যাপলের ফাইন্ড মাই অ্যাপের সঙ্গে মিল রেখে তৈরি ইন্টারফেসটির ওপরের অংশে মানচিত্র এবং নিচের অংশে ডিভাইস বা ব্যক্তির তালিকা দেখা যাবে।

ফাইন্ড মাই ডিভাইসের নতুন এই সুবিধা কাজে লাগিয়ে গুগল ম্যাপসের মাধ্যমে অবস্থান শেয়ার করা পরিচিত আইফোন ব্যবহারকারীদের অবস্থানের তথ্যও জানা যাবে। শুধু তা–ই নয়, ‘হু ইউ আর শেয়ারিং উইথ’ ট্যাবে ক্লিক করে অবস্থান শেয়ারের তথ্য কোন কোন ব্যক্তি দেখতে পারবেন, তা সহজেই পরিবর্তন করা যাবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: পর চ ত

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ