ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মুফতী মাসুম বিল্লাহ বলেছেন, বিগত স্বৈরাচারের আমলে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়িতে পরিনত করে ফেলা হয়েছে। দেশের সমস্ত ব্যাংক লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করে নিয়ে গেছে।

মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়াস্থ মেডিকেল মোড়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উওর (২নং ওয়ার্ড) এর আয়োজনে গণ ইফতার মাহফিল ও ওয়ার্ড সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি একথা বলেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, আমাদের দেশের মানুষ প্রবাসে গিয়ে কষ্ট করে ঘাম ঝড়িয়ে দেশে টাকা পাঠায়। আর আমাদের দেশের কিছু কুলাঙ্কার নেতারা দেশের টাকা বাইরে পাচার করে।

এই অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে একটি সুষ্ঠু সুন্দর দেশ গঠন করতে আমাদের চরমোনাই পীর সাহেব সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। দেশকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে গড়ে তুলতে ইসলামী শাসনের কোন বিকল্প নেই। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার চেষ্টা করছি।

মাসুম বিল্লাহ আরো বলেন, ১৯৭১ সালে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। স্বাধীনের পর ৫৪ বছর অতিক্রম হয়ে গেছে। যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আমরা পুরোপুরি পুরণ করতে পারিনি। আমরা শোষণ-জুলুম-নির্যাতন থেকে মুক্ত থাকতে এবং ভোটের অধিকারের জন্য সংগ্রামের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে বিজয় অর্জন করেছিলাম।

কিন্ত স্বাধীনতার পরে যারাই ক্ষমতায় এসেছে, সরলমনা সাধারণ মানুষকে কথার ফুলঝুড়ি আর প্রলোভন দেখিয়ে প্রত্যেকেই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত হয়ে গেছে। পরবর্তীতে তারা আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়ে গেছে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উওর (২নং ওয়ার্ড) এর সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ (সিদ্ধিরগঞ্জ থানা উওর) এর সভাপতি মোহাম্মদ ইসমাঈল হোসেন।

এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দ্বীনি সংগঠন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ রহিমউদ্দিন, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ লড়াকু, সেক্রেটারী মওলানা সৈয়দ রিদওয়ান আহমদ, ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোহাম্মদ আলী, সাবেক সভাপতি মাজহারুল হক ময়ুর, ডাঃ সাইফুল ইসলাম, মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিজবাহ, রহমত উল্লাহ, মোজাম্মেল হক, খালেদ সাইফুল্লাহ সানভীর, মাহমুদুল হাসান আপেল, মোমেন ইসলাম, জোবায়ের হোসেন সাঈদ, মাওলানা হেমায়েত উদ্দিন, গণ অধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি মোহাম্মদ আরিফ, সিনিয়র সহ-সভাপতি নুরুল আমিন নুরু ও খেলাফত মজলিস ২নং ওয়ার্ডের সভাপতি ক্বারী হাসমত আলী প্রমূখ।  
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: সরক র র জন ত ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ থ ন ম হ ম মদ ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত

নারায়ণগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী বন্দর প্রেসক্লাবের ২০২৫-২৭ মেয়াদের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত সভাপতি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল আলম জাহিদের সঞ্চালনায় নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম। 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি আবু সালেহ আকন। প্রধান আলোচক ছিলেন বন্দর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সিআইডি) হারুন অর  রশিদ,  নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি, বন্দর থানার ওসি লিয়াকত আলী, ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আনিসুর রহমান, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মামুন মিয়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন সিদ্দিকী প্রমুখ।

উদ্বোধকের বক্তব্যে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট আবুল কালাম বলেন, বন্দর প্রেসক্লাবের নবাগত কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানায়। আজকে তিন বিষয়ে আজকে গুরুত্ব বহন করে। এক. পেশাগত নিয়ে তাদের সম্মান নিয়ে কথাটা, দুই. সাংবাদিকদের প্রশিক্ষিণের ব্যাপারটা, তিন. হলো আমাদের বিষয় নিয়ে।

সেটা হলো, বেগম খালেদা জিয়া সরকার মেয়াদকালে একটি সমানজ্জল্য পালন করতে পেরেছিলাম। আমাদের তখন স্বার্থক ছিলো বন্দর প্রেসক্লাবকে একটি জমি দিতে সক্ষম হয়েছিলাম। আজকের বন্দর প্রেসক্লাব সেটা স্বীকার করে নিলো সেটা কৃর্তত্ব আমার নয়, এটার কৃর্তত্ব বেগম খালেদা জিয়া। তিনি দিয়েছিলেন বলে আমাদের স্বার্থকতা পেলাম।

তিনি আরো বলেন, একটা কথা বিরাজমান, হলুদ সাংবাদিকতা। এই শব্দটা এখন ডেঙ্গু’র মত অবস্থা। এটা আমার কাছে দুঃখজনক অবস্থা যারা সৎ সাংবাদিকতা হিসেবে পেশাকে গ্রহণ করেছেন, করেন তাদের জন্য কষ্টকর বিষয়। আশা করবো, আপনাদের ঘর আপনাদের ঠিক রাখতে হবে। সংবাদ প্রকাশ করার আগে অবশ্যই যাচাই বাছাই করা উচিত।

সংবাদে বিশেষ বিশ্লেষণ করে প্রকাশ করা ভালো। একটি দুসময় আমরা পাড় হয়ে এসেছি। চার সংবাদপত্র ছাড়া বাকি বিলুপ্ত করা হয়েছিলো। এখন সাংবাদিক পেশা মহান হিসেবে ধরে রাখতে হবে। রাজনীতিবিদ সাথে সাংবাদিক সম্পর্ক পারিবারিকভাবে হয়ে যায়। আমাদের কর্মদক্ষতা সাংবাদিকরা লিখনী মাধ্যমে প্রকাশ করেন।

সাংবাদিকদের দক্ষতা কারণে আমাদের কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। এই পেশা কারথে আমাদের উৎসাহ করে কাজ করার। বন্দর প্রেসক্লাব ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের এখানে সাধারণ সম্পাদক আছেন, দুই প্রেসক্লাবই আমার নির্বাচনী এলাকার ভিতরে। আমার ব্যক্তিভাবে কোন প্রয়োজন হয়, তাহলে সকল কিছুতে প্রস্তুত।

প্রধান অতিথি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি ও পিআইডি সদস্য আবু সালেহ আকন বলেছেন, মফস্বল সাংবাদিক আর কেন্দ্রীয় সাংবাদিক বলে কিছু নেই। আমরা সবাই গণমাধ্যম কর্মী সবাই সাংবাদিক। তবে স্থানীয়ভাবে যারা পত্রিকাগুলোতে কাজ করেন তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়েই কাজ করেন।

কিন্তু ঠিকমতো তারা বেতন ভাতা পান না। ওয়েজবোর্ড অনুযায়ী তাদের বেতন ভাতা পরিশোধ করা হয় না। স্থানীয় সাংবাদিকদের ওয়েজ বোর্ড অনুযায়ী বেতন ভাতা পরিশোধ করা উচিত। যে সমস্ত পত্রিকা ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়নের ব্যর্থ  সেগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • “শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, ইন্ধন থাকতে পারে তৃতীয় পক্ষের”
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০ (ভিডিও)
  • শিক্ষার্থীদের উপর অটো চালকদের হামলা, আহত ২০
  • ফতুল্লায় পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযানে কারখানার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন
  • সোনারগাঁয়ের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে সিদ্ধিরগঞ্জ বিএনপির চিঠি
  • নারায়ণগঞ্জে বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ গ্রেপ্তার ৩
  • সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদল নেতা রিয়াদের দুই মেয়ে গুরুতর আহত : দোয়া প্রার্থনা 
  • আড়াইহাজারের সেপটি ট্যাংকির ঝুঁকি ও করণীয় নিয়ে প্রশিক্ষণ কর্মশালা
  • শিবিরের এই সাফল্য জাতীয় নির্বাচনে জামায়াতকে সুবিধা দেবে কি?
  • বন্দর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠিত