Prothomalo:
2025-09-18@10:17:31 GMT

হাঁটুর ব্যথা কি বেড়ে গেছে

Published: 20th, March 2025 GMT

পবিত্র রমজান মাসে রোজা রাখার পাশাপাশি মুসল্লিরা নিয়মিত মসজিদে তারাবিহর নামাজ আদায় করে থাকেন। যাঁরা হাঁটু বা কোমর ব্যথায় আক্রান্ত, তাঁরা এ ক্ষেত্রে বেশ সমস্যায় পড়েন। অনেকে বসে নামাজ পড়তে অস্বস্তি বোধ করেন, জোর করেই দাঁড়িয়ে পড়তে চান। এ কারণে অনেকেরই রমজানে ব্যথাবেদনা বেড়ে যেতে পারে।

এ সময় হাঁটুর ব্যথার রোগীরা নিয়মিত ফিজিওথেরাপি শুরু করতে পারেন। এতে রোজার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেকটা সুস্থ থাকতে পারেন। রমজানজুড়ে কিছু হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন। তাতে কর্মক্ষম থাকবেন, স্বাভাবিক কাজে বেশি ব্যাঘাত ঘটবে না।

দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অস্থিসন্ধি হচ্ছে হাঁটু। এটি শুধু শরীরের ওজন বহন করে না, স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে, সোজা হয়ে দাঁড়াতে, দৌড়াতে, এমনকি আমাদের বসতেও সাহায্য করে। রমজানে বয়স্ক মানুষ দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে ও নামাজে বারবার হাঁটু ভাঁজ করে বসার কারণে হাঁটুব্যথা বাড়তে পারে।

হাঁটুব্যথার অনেক কারণ রয়েছে। আঘাত, লিগামেন্ট ইনজুরি, হাঁটুর ক্ষয় বা কোনো জীবাণু সংক্রমণের কারণে হাঁটুর ব্যথা হতে পারে। এ ছাড়া কোমরের সমস্যাজনিত ব্যথা হাঁটুতে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সঠিক দেহভঙ্গির অভাবে হাঁটুর ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়তে পারে। হাঁটুর ব্যথার সঙ্গে ফুলে গেলে বুঝতে হবে প্রদাহ হয়েছে। বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায় না, বসা থেকে দাঁড়ালে বা দাঁড়ানো থেকে বসলে কষ্ট হয়, হাঁটু পুরোপুরি সোজা করতে অথবা ভাঁজ করতে সমস্যা হয়।

এমন অবস্থা হলে সমাধান কী? চিকিৎসকের পরামর্শ মতো কিছু ব্যথানাশক ওষুধ সেবন করতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি বেশ কার্যকর। কখনো অর্থোপেডিক কিছু ডিভাইস ও নির্দিষ্ট কিছু এক্সারসাইজ করলে হাঁটুর ব্যথা আংশিক কমে যায়।

চলাফেরার সময় যথাসম্ভব সমান্তরাল রাস্তা ব্যবহার করুন। দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। দীর্ঘক্ষণ কাজ করতে হলে যেমন দীর্ঘ নামাজের সময় প্রয়োজনে একটি টুল ব্যবহার করুন। একটু পরপর একটু বিশ্রাম নিন। মাঝেমধ্যে হাঁটাচলা করুন। ভবনের ওপরে–নিচে ওঠানামার সময় লিফট ব্যবহার করুন। সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামার সময় অন্য পা আগে ব্যবহার করুন।

নারীদের ক্ষেত্রে উঁচু হিলের জুতা পরিহারের চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ওয়ার্কিং এইড ব্যবহার করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য সূর্যের আলোতে থাকুন। চিকিৎসকের পরামর্শে কিছু ওষুধ সেবন করতে পারেন। একজন বিশেষজ্ঞ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম করতে পারেন। এতে অনেকাংশে হাঁটুর ব্যথা কমবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র কর ন রমজ ন

এছাড়াও পড়ুন:

৮ বছরেও শুরু হয়নি কুবির ২ বিভাগের কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দীর্ঘ ৮ বছর আগে অনুমোদন পাওয়া দুটি বিভাগ এখনো চালু হয়নি। অনুমোদন সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নিয়োগ, অবকাঠামোগত প্রস্তুতি এবং প্রশাসনিক কার্যক্রমের ধীরগতির কারণে বিভাগ দুটি কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জানা গেছে, ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিজ্ঞান অনুষদের অধীনে ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ এবং ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অধীনে ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ চালুর অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিভাগ দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত ও শ্রেণিকক্ষ সংকটের কারণে তা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে নতুন অ্যাকাডেমিক ভবন নির্মাণের পরে বিভাগ দুটি চালুর পরিকল্পনা করা হয়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণ হয়নি।

আরো পড়ুন:

শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় কুবি প্রক্টরের জরুরি নির্দেশনা 

সিএনজি চালকের বিরুদ্ধে কুবি শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগ

এছাড়া, তৎকালীন অর্গানোগ্রামে ৩১টি বিভাগের মধ্যে এই দুইটি বিভাগ অন্তর্ভুক্ত ছিল না, যা পরবর্তীতে চালু করা নিয়ে জটিলতা তৈরি করে।

সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে পুনরায় আলোচনা করে। ইউজিসি নির্দেশনা অনুযায়ী, নতুন অর্গানোগ্রামে বিভাগের অন্তর্ভুক্তি ও নতুন বিভাগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

সে অনুযায়ি ১৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত কুবির ৮৯তম অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে পূর্বের ‘মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ’ এর পরিবর্তে ‘লজিস্টিক্স ও মার্চেন্ডাইজিং বিভাগ’ এবং ‘বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’-এর পরিবর্তে ‘পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ’ নামে অন্তর্ভুক্তির সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও অর্গানোগ্রামে নতুন আরও ১৮টি বিভাগের নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে।

তৎকালীন বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রস্তাবক রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সৈয়দুর রহমান বলেন, “২০১৭ সালে অনুমোদন থাকলেও জায়গা সংকটের কারণে বিভাগ চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে প্রশাসন পাল্টালেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি।”

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, “অর্গানোগ্রামে অন্তর্ভুক্তি মানে এখনই চালু হবে না। অনুমোদন থাকলেও তৎকালীন সময়ে চালু করা সম্ভব হয়নি। এখন ইউজিসি নির্দেশনায় নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হায়দার আলী বলেন, “তৎকালীন প্রশাসন বলতে পারবে কেন বিভাগ চালু হয়নি। আমরা সবার সঙ্গে আলোচনা মাধ্যমে নতুন করে উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী ২ বছরের মধ্যে আশা করি বিভাগ চালু করা সম্ভব হবে, তখন নতুন ক্যাম্পাসও প্রস্তুত থাকবে।”

ঢাকা/এমদাদুল/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ