আট দিনের জন্য মহাকাশে গিয়ে যাত্রিক ত্রুটির জন্য মহাকাশে ৯ মাস আটকা পড়েছিলেন নাসার দুই নভোচারী। তাদের পৃথিবীতে ফেরার পরে যে ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে সেখানে দেখা যাচ্ছে, ক্যাপসুল থেকে বের হয়ে এসে স্ট্রেচারে ওঠার মতো কাজও নভোচারীরা একা একা করতে পারছেন না। তাদের অন্যের সহযোগিতা নিতে হয়েছে। সুনিতা ও বুচ তাদের শারীরিক ক্ষমতা অনেক খানি হারিয়ে ফেলেছেন। হারানো ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার জন্য তাদের অনেক শরীরচর্চাসহ নানাবিধ নিয়মকানুন মেনে চলতে হবে।

মহাকাশে ৯ মাস থেকে পৃথিবীতে ফিরেছেন সুনিতা

আরো পড়ুন:

ঈদের আগে ত্বকের যত্নে এই তিন ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন

ঈদে শিশুকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি, যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন

গবেষকরা বলছেন, মানুষের শরীর সাধারণত পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তিতে কাজ করে অভ্যস্ত। কিন্তু নভোচারীদের মহাকাশে ভরহীন অবস্থায় সময় কাটাতে হয়। ফলে পৃথিবীতে ফেরার পরে শরীর খাপ খাওয়াতে অনেক সময় লেগে যায়। শুরুতে তারা ঝিমুনি ভাব অনুভব করতে পারেন। এ ছাড়া শরীরের ভারসাম্য আনা এবং স্বাভাবিকভাবে হাঁটার শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন লেগে যেতে পারে।
 
সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবদেহ  গবেষক অধ্যাপক ডামিয়ান বেইলি বলেন, ‘‘মহাকাশে প্রবেশ করলে মানুষের শরীরে পরিবর্তন আসে। প্রাথমিকভাবে সে অনুভূতিকে অসাধারণ মনে হয়।’’

২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক মহাকাশকেন্দ্রে গিয়েছিলেন নভোচারী টিম পিক। তিনি বলেন, ‘‘মহাকাশে হৃৎপিণ্ডকে ঢিলেঢালাভাবে কাজ করলেই হয়। আবার পেশি ও হাড়গুলোকে বেশি সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হয় না। অসাধারণ শূন্য-মাধ্যাকর্ষণের পরিবেশে মহাকাশকেন্দ্রের চারপাশে মানুষ ভেসে বেড়াতে পারে।’’

মহাকাশে মানুষের হৃৎপিণ্ড ও রক্তনালিগুলোর তেমন কাজ থাকে না। ফলে এই অঙ্গগুলো অলস হয়ে পড়ে। কিন্তু পুরোনো হাড় ভেঙে নতুন হাড় গঠনে ভূমিকা রাখা কোষগুলোর মধ্যে ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির বিপরীতে কাজ করতে গিয়ে এগুলোর ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটে। হাড়গুলো দুর্বল ও বেশি ভঙ্গুর হয়ে যায়।শুধু পেশি আর হাড়ই নয়, মহাকাশে পুরো শরীরেই বদল আসতে পারে।

মহাকাশে থাকাকালে মানুষের শরীরে থাকা ভালো ব্যাকটেরিয়ার ধরন বদলে যায়। শরীরের তরল পদার্থগুলোতে পরিবর্তন আসে। মহাকাশে তরল পদার্থ বুক ও মুখের দিকে ওপরে উঠে যায়। এসব কারণে মহাকাশ থেকে ফেরার পর মানুষের শরীরে প্রথম যে পরিবর্তনটি চোখে পড়ে তা হলো, মুখ ফুলে যাওয়া। মহাকাশে থাকাকালে মস্তিষ্কেও পরিবর্তন আসতে পারে। অপটিক নার্ভ, রেটিনাসহ চোখে বিভিন্ন রকমের পরিবর্তন আসতে পারে। এমনকি চোখের আকারও বদলে যেতে পারে।

শরীরে নানা পরিবর্তনের কারণে মহাকাশ থেকে পৃথিবীতে ফেরার পর সহজে শারীরিক ভারসাম্য পান না নভোচারীরা। 

ঢাকা/লিপি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ফ র র পর র জন য ক জ কর

এছাড়াও পড়ুন:

৪,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে দুদক

ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ আমদানি চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতির অভিযোগ অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সচিব আহমদ কায়কাউসের বিরুদ্ধে অভিযোগটি অনুসন্ধানের দায়িত্ব পেয়েছেন দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক রেজাউল করিম। গতকাল বুধবার এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন। 

দুদক গত ১৬ এপ্রিল এ নিয়ে আদেশ জারি করলেও গতকালই বিষয়টি জানাজানি হয়। দুদকের আদেশে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) পাশ কাটিয়ে আদানির সঙ্গে চুক্তি করে সরকারের সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দিয়েছেন আহমদ কায়কাউস। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে এ চুক্তি-সংক্রান্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ জন্য চুক্তির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় নথিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, বিদ্যুৎ কেনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর নাম, পদবি, বর্তমান ঠিকানা এবং এ নিয়ে কোনো বিভাগীয় তদন্ত করা হয়েছে কিনা– খতিয়ে দেখতে হবে।   

আদানি গ্রুপের কাছ থেকে বিদ্যুৎ আমদানির চুক্তিটি শুরু থেকেই বিতর্কিত। ২৫ বছরের এ চুক্তির পদে পদে রয়েছে অসমতা। চুক্তিতে এমন অনেক শর্ত রয়েছে, যেগুলোর কারণে ২৫ বছরে প্রায় ৩ লাখ ৭৫ হাজার কোটি টাকা বাড়তি নিয়ে যাবে আদানি। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ