সেলস প্রফেশনালদের জন্য প্রথম ও সর্ববৃহত্তম নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম ‘সেলস লিডার্স বিডি’ দ্বিতীয়বারের মতো আয়োজন করল ‘সেলস ইফতার’। শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরে ফুড রেল রেস্তোরায় অনুষ্ঠিত এ আয়োজন দেশের শীর্ষ সেলস পেশাদার ও কর্পোরেট ব্যক্তিত্বদের মিলনমেলায় পরিণত হয়।

সেলস লিডার্স বিডি একটি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ফেসবুক পেজ, ফেসবুক গ্রুপ, ইউটিউব ও লিংকডইন প্রোফাইল সব মিলে ৫ লাখ সেলস প্রফেশনালদের লার্নিং ও ডেভেলপমেন্ট নিয়ে কাজ করে।

এদিন ইফতারের পাশাপাশি ‘সেলস ক্যারিয়ার গ্রোথে নেটওয়ার্কিংয়ের ভূমিকা’ ও ‘লার্নিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের ক্যারিয়ার উন্নয়নে প্রভাব’ বিষয়ক দুটি গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন এবং নেটওয়ার্ক তৈরির কৌশল ও লার্নিং ডেভেলপমেন্টের গুরুত্ব নিয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই এই আয়োজনের প্রশংসা করেন এবং প্ল্যাটফর্মটির ভবিষ্যৎ কার্যক্রমে আরও সক্রিয়ভাবে যুক্ত থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফিক্স বাংলাদেশের সিইও শামীম আজাদ, লিড প্রপার্টিসের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান, প্রবাসী পল্লী গ্রুপের জিএম ও হেড অফ সেলস নিজাম আকন্দ, আউটবক্স কমিউনিকেশনের সিইও মিজানুর রহমান, গাজী গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোরশেদুল ইসলাম, ম্যানেজমেন্ট ও ট্রেনিং কনসালটেন্ট মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, সুপার সাইনস কেবলস লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ডিপার্টমেন্ট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রফেসর ড.

জে আলীসহ শতাধিক সেলস লিডার ও করপোরেট প্রফেশনাল ব্যক্তি।

অনুষ্ঠানটির উপস্থাপনাসহ সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন সেলস লিডার্স বিডির ফাউন্ডার ও প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন আকন্দ এবং তার সাথে সহযোগিতা করেছিলেন এই প্লাটফর্মের ডিরেক্টরবৃন্দ খালিদ হাসান রাব্বি, ইমরান আইয়ুব, মো. আবুল কাশেম, মিনার হোসেন ও মেম্বার এনামুল হক। তিনি এই আয়োজনের সফল বাস্তবায়নে অংশ নেয়ায় সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আগামীতে প্ল্যাটফর্মটির সঙ্গে সবাইকে একসঙ্গে থেকে বাংলাদেশের সেলস প্রফেশনালদের লার্নিং এন্ড ডেভেলপমেন্টকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইফত র স লস ল ড র স ব ড ড ভ লপম ন ট প ল য টফর ম স লস প অন ষ ঠ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন

রাজশাহীতে জুলাই শহীদদের স্মরণে মিনি ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে নগরের বিনোদপুর এলাকা থেকে এ দৌড় প্রতিযোগিতা শুরু হয়। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) রাজশাহী মহানগর শাখা এ ম্যারাথনের আয়োজন করে।

ম্যারাথনে অংশ নিতে প্রতিযোগীরা আজ ভোর সাড়ে পাঁচটার পর থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বিনোদপুর বাজারে জমায়েত হতে থাকেন। সকাল ছয়টার পর শুরু হয় পাঁচ কিলোমিটারের ম্যারাথন প্রতিযোগিতা।

অংশগ্রহণকারীরা বিনোদপুর থেকে শুরু হয়ে নগরের তালাইমারী মোড় হয়ে আবার বিনোদপুর হয়ে চৌদ্দপায় ফায়ার সার্ভিস মোড় হয়ে আবার বিনোদপুরে ফিরে আসেন।পরে সেখানে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। প্রথম পুরস্কার ১০ হাজার টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার ৮ হাজার টাকা, তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অংশগ্রহণকারী তিন নারীসহ আরও ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।

ম্যারাথন উপলক্ষে আগে থেকেই মেডিকেল টিমসহ একটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এ ছাড়া সবার জন্য টি-শার্ট, গ্লুকোজ পানিসহ বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হয়। ম্যারাথনে অংশ নেওয়াদের বেশির ভাগই ছিল তরুণ। তাঁদের মধ্যে বেশি বয়সী নারীরাও অংশ নেন।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া ৫৮ বছর বয়সী পিয়ারুল ইসলাম বলেন, এ উদ্যোগ খুবই ভালো হয়েছে। অসুস্থমুক্ত জীবন গড়তে হলে দৌড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। শারীরিক বিভিন্ন অ্যাকটিভিটিসের মধ্যে থাকলে সুস্থ জীবন গড়া যায়। এ বয়সে তাঁর কোনো ওষুধ লাগে না। তাঁরও অনেক সিনিয়র আছেন, কারও বয়স ৭৫, তাঁদেরও ওষুধ লাগে না। তাই এ ধরনের প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। সবাইকে উদ্ধুব্ধ করতে হবে। যাতে নিজেদের শরীরকে সব সময় উপযুক্ত রাখে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন, অনেক দিন পর তিনি দৌড়াবেন। সাধারণত দৌড়ানো হয় না। আজকের পর থেকে তিনি প্রতিদিন সকালে উঠে দৌড়াবেন।

স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম হাসান বলেন, জুলাই গণ–অভ্যুত্থান শুধু সরকারের পতন নয়। এর মাধ্যমে এ দেশের মানুষ একটি নতুন নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছে। সেই নতুন নিশ্বাস নিয়ে ম্যারাথনে তিনি অংশ নিয়েছেন।

ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৩ জনকে পুরস্কৃত করা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে রাজশাহী নগরের বিনোদপুর এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ