ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় বিএনপি নেতাকে দাওয়াত না দেওয়ায় যুবদলের ইফতার মাহফিলের মঞ্চ ও মোটরসাইকেল ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে বিএনপির দুই গ্রুপে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

শনিবার (২২ মার্চ) আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় এই ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। 

স্থানীয়দের অভিযোগ, ভাদাইল এলাকায় যুবদলের ব্যানারে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সে আয়োজনে দাওয়াত না পাওয়ায় স্থানীয় বিএনপি নেতা পিয়ার আলী তার দলবল নিয়ে হামলা চালান। এসময় মঞ্চ ও বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ফেলে দেওয়া হয় ইফতার মাহফিলে পরিবেশনের জন্য তৈরি ১৫ পাতিল বিরিয়ানি। এনিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বড় ধরণের সংঘর্ষে আশঙ্কা তৈরি হলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

যুবদল নেতা মো.

জহির অভিযোগ করেন, পিয়ার আলীকে দাওয়াত না দেওয়ায় তারা মঞ্চ ভাঙচুর করেছে। খাবার নষ্ট করে চলে গেছে।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা বিএনপির সহ সভাপতি পিয়ার আলী বলেন, “যিনি আয়োজন করেছেন তিনি বিএনপির কোন পোস্টে নেই। তিনি কেন এমন আয়োজন করবেন। এ বিষয়ে পরে কথা বলবো।”

ঢাকা/সাব্বির/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ