দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় ফরিদপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার সুভাষ চন্দ্র সাহার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।

রবিবার (২৩ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে  এ আদেশ দেন। 

দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক তানজির হাসিব সরকার তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, সুভাষ চন্দ্র সাহার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে ৫৭ লাখ ৯১ হাজার ৯৯৭ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর মামলা দায়ের করা হয়। এমতাবস্থায়, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশগমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।

ঢাকা/মামুন/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে সাবেক কাউন্সিলরের মৃত্যু

পুলিশ দেখে পালাতে গিয়ে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) সাবেক কাউন্সিলর কামাল হোসেন (৫৫) মারা গেছেন। তিনি ৩ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। 

বুধবার দিবাগত রাতে নগরের দাসপুকুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কামাল হোসেন দাসপুকুর এলাকার বাসিন্দা। একসময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তবে তিনি কোনো দলীয় পদে ছিলেন না। 

গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর কামাল হোসেনের নামে চারটি মামলা হয়। এরপর থেকেই তিনি নিজ এলাকায় গা-ঢাকা দিয়ে থাকতেন। পুলিশ ও পরিবারের ধারণা, মামলা থাকার কারণে পুলিশ দেখে তিনি ভয় পেয়ে যান। এ সময় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। 

কামাল হোসেনের ছেলে সোহান শাকিল শিমুল বলেন, ‘‘রাতে আমাদের এলাকায় পুলিশ এসেছিল। পুলিশ দেখে আমার বাবা তবজুল হক নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠার চেষ্টা করেন। সিঁড়িতেই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং সেখানেই মারা যান।’’

নগরের রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘‘কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে চারটি মামলা আছে। তিনি আত্মগোপনে থাকতেন। শুনেছি রাতে তিনি মারা গেছেন।’’

ওসি জানান, রাতে দাসপুকুর এলাকায় পুলিশ গিয়েছিল। তবে কামাল হোসেনকে ধরতে যায়নি। পুলিশ গিয়েছিল অন্য কাজে। কিন্তু পুলিশ দেখে পালাচ্ছিলেন কামাল হোসেন। তখন হার্ট অ্যাটাকে তার মৃত্যু হয়েছে। লাশ পরিবারের কাছেই আছে। তারা দাফনের ব্যবস্থা করছেন।

ঢাকা/কেয়া//

সম্পর্কিত নিবন্ধ