জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি জনপ্রিয় ইনফ্লুয়েন্সারকে
Published: 24th, March 2025 GMT
কিছুদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হত্যার হুমকি পাচ্ছেন ভারতের তরুণ ইনফ্লুয়েন্সার অ্যাঞ্জেল রাই।
আরও পড়ুনচতুর্থ পর্যায়ের ক্যানসার থেকে ফিরে আসার গল্প বললেন উপস্থাপক সামিয়া৭ ঘণ্টা আগেএমনকি তাঁকে জীবন্ত পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকিও নাকি দেওয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। মুম্বাইয়ের বাঙ্গুর নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত চলছে বলেই জানিয়েছে পুলিশ। খবর নিউজ ১৮-এর
গোরেগাঁও ওয়েস্টের বাসিন্দা অ্যাঞ্জেল। তাঁর দাবি, ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাগাতার প্রাণনাশের হুমকি পাচ্ছেন। বিভিন্ন অপরিচিত ব্যক্তি তাঁকে হুমকি দেন। ক্রমাগত হুমকি পাওয়ার পর ওই সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো ব্লকও করে দিয়েছেন তিনি। তা সত্ত্বেও রেহাই পাননি।
সম্প্রতি ১৬ মার্চ ই-মেইলের মাধ্যমে তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়। ই-মেইলে তাঁকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকিও নাকি দেওয়া হয়।
অ্যাঞ্জেল রাই। ইনস্টাগ্রাম থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক
ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।
বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।