নাবিল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আমিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহানের নামে থাকা আরও সম্পদ জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, আমিনুল ইসলাম ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা যেসব জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে, সেগুলো রাজশাহীতে। এ ছাড়া নাবিল ফার্মা, নাবিল নাবা ফুডস ও আনোয়ার ফিডের নামে কেনা জমিও জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

৯ মার্চ আমিনুল ইসলাম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তির ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছিলেন আদালত। এ ছাড়া আমিনুল ইসলামের স্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছিল।

দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়েছে, আমিনুল ইসলাম ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা এবং তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জাল-জালিয়াতি ও ঘুষ–দুর্নীতির মাধ্যমে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক।

নাবিল গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম ও তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট ৭৩টি ব্যাংক হিসাবে ৯৮ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে বলে দুদক জানিয়েছে।

আরও পড়ুননাবিল গ্রুপের সম্পদ জব্দ ও ৭৩টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ০৯ মার্চ ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা

আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।

শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।

অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’

স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।

ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’

আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ