Samakal:
2025-06-16@08:42:09 GMT

‘আগের চেয়ে ভালো লাগছে’

Published: 25th, March 2025 GMT

‘আগের চেয়ে ভালো লাগছে’

যে ভুল করেন অনেকেই– বুকে চাপা ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বলে ধরে নেন। গতকাল ঢাকা লিগের ম্যাচ খেলতে সাভারের বিকেএসপির মাঠে গিয়ে তামিম ইকবাল তেমনটা ভেবেই গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খেয়েছিলেন। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই বুঝতে পারেন, ব্যথাটা বেড়ে মুখের দিকে উঠে আসছে। এর পরই মোহামেডানের ফিজিও-চিকিৎসকরা তাঁকে নিয়ে বিকেএসপির পাশে কেপিজে হাসপাতালে যান। ঢাকা থেকেও হেলিকপ্টার আনা হয় বিকেএসপিতে। কিন্তু সেই হেলিকপ্টারের কাছে নিয়ে আসতেই আবার জ্ঞান হারান তামিম। এর পর ওই হাসপাতালে ফিরে গিয়ে এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট (রিং) পরানো হয় তামিমের।

গুরুতর অবস্থায় দ্রুততার সঙ্গে স্টেন্টিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা। যখন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, তখনও কেপিজে হাসপাতালে এসে পৌঁছাতে পারেননি তামিমের পরিবারের কোনো সদস্য। তাই পরিবারের পক্ষ থেকে অপারেশনের সম্মতিপত্র স্বাক্ষর করেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। জানা গেছে, ডাক্তারদের দ্রুত এ সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণেই বড় ধরনের বিপদ থেকে বেঁচে গেছেন তামিম। স্টেন্ট বসানোর পর এখন অনেকটা সুস্থ আছেন এবং পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। চোখ খুলেছেন এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছেন। ডাক্তারকে তিনি জানিয়েছেন, ‘আগের চেয়ে ভালো লাগছে।’ এদিন মাঠ থেকে তামিমের হার্ট অ্যাটাকের খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে পুরো ক্রীড়াঙ্গন। ১৯তম বোর্ড সভা স্থগিত করে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমরা ছুটে যান সাভারের ওই হাসপাতালে।

কী হয়েছিল মাঠে
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে সকাল ৯টায় মোহামেডান অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও শাইনপুকুর অধিনায়ক রায়ান রাফসানকে নিয়ে টস করতে নেমেছিলেন ম্যাচ রেফারি দেবব্রত পাল। তখন তামিমের সঙ্গে কথাও হয় দেবব্রতর। তবে টসের আগে ওয়ার্মআপের সময় কিছুটা অস্বস্তি বোধ করছিলেন তামিম। টস করে ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় সেটা আরও বাড়ে। মোহামেডান কর্মকর্তা তরিকুল ইসলামকে তিনি তখন জানান, তাঁর সম্ভবত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হচ্ছে। তরিকুল তাঁকে ড্রেসিংরুমে বিশ্রাম নিতে বলেন। কিছুক্ষণ পর তামিমের অসুস্থতা আরও বেড়ে যায়। তারকা এ ওপেনার তরিকুলকে জানান, তাঁর খুব খারাপ লাগছে, ব্যথা বেড়ে মুখের দিকে উঠে এসেছে। কালবিলম্ব না করে তামিমকে বিকেএসপির কাছে কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে পাঠানো হয়।

কখন হাসপাতালে নেওয়া হয়
সকাল ৯টা ২২ মিনিটে মোহামেডানের ফিজিও এনাম ম্যাচ রেফারি দেবব্রতকে ফোন করে জানান, বুকে ব্যথা অনুভব করায় তামিমকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। সকাল সাড়ে ৯টায় তাঁকে ছাড়া খেলতে নামে মোহামেডান। হাসপাতালে যাওয়ার পর প্রাথমিকভাবে ইসিজি ও আরও কিছু পরীক্ষা করা হয়। তখনও পরিষ্কার হওয়া যায়নি যে তামিমের কী হয়েছে। এরই মধ্যে ঢাকায় যোগাযোগ করে বিকেএসপিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স উড়িয়ে আনা হয়। কেপিজে হাসপাতালে প্রাথমিকভাবে কিছু ধরা না পড়ায় ঢাকায় গিয়ে ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরিকল্পনা ছিল তামিমের। কিন্তু কেপিজে হাসপাতাল থেকে বিকেএসপিতে ফিরে হেলিকপ্টারে ওঠার আগে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তামিম। দেবব্রত পাল জানান, তখন তাঁর মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। পালস পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন সঙ্গে থাকা বিকেএসপির চিকিৎসক পরামর্শ দেন, অবস্থা খুব একটা ভালো মনে হচ্ছে না। হেলিকপ্টারে করে ঢাকা নিতে নিতে সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তার চেয়ে হাতের কাছে থাকা হাসপাতালে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। বেলা ১১টা ২০ মিনিটের দিকে তামিমকে আবার কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়। অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে যাওয়ার পুরোটা সময় বিরামহীনভাবে তামিমের বুকে পাঞ্চ করে (সিপিআর) যান মোহামেডানের ট্রেনার ইয়াকুব চৌধুরী। তখন তামিমের অবস্থা ভীষণ সংকটাপন্ন ছিল বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। কারও ডাকে সাড়া দিচ্ছিলেন না বলে সতীর্থ কয়েকজন তখন কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন বলেও জানা যায়।

ডাক্তাররা কী বললেন
দ্বিতীয়বার হাসপাতালে নিয়েই লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তামিমকে। এর মধ্যে তামিমের পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে চলে আসেন। কেপিজে হাসপাতালের কার্ডিওলজিস্ট মনিরুজ্জামান মারুফের তত্ত্বাবধানে তাঁর এনজিওগ্রাম, এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট করানো হয়। এনজিওগ্রামে তামিমের হৃদযন্ত্রে একটি ব্লক ধরা পড়লে তখনই তাঁকে রিং (স্টেন্ট) পরানো হয়। কেপিজে হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার রাজীব হাসান গণমাধ্যমে তামিমের অবস্থা নিয়ে বলেন, ‘তাঁর হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। এটার জন্য এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট করানো হয়েছে। স্টেন্টিং খুব স্মুথ ও কার্যকরভাবে হয়েছে। এটা করেছেন ডা.

মনিরুজ্জামান মারুফ। তাঁর ব্লক পুরোপুরি চলে গেছে। তিনি পর্যবেক্ষণে আছেন। এখনও গুরুতর অবস্থা কাটেনি।’ বিসিবির চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী জানিয়েছেন, তামিমের জ্ঞান ফিরেছে। জ্ঞান ফেরার পর তিনি পরিবারের সদস্য ও চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আগামী ৪৮ ঘণ্টা তামিম চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হাসপাতালের সিসিইউতে আছেন তামিম। সঙ্গে আছেন স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা।

বিসিবি থেকে অনুরোধ
তামিমের অসুস্থতার বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ দ্রুত চিকিৎসায় সহায়তা করার জন্য বিকেএসপি ও কেপিজে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। সে সঙ্গে তামিমের ভক্ত-সমর্থকদের অযথা হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধও জানানো হয়েছে। তামিমের জন্য দোয়া করার অনুরোধও করা হয়েছে।

উদ্বিগ্ন সবাই
দেশের ক্রীড়াঙ্গন তো বটেই, দেশের বাইরে থেকে সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিং, লাসিথ মালিঙ্গা, মনোজ তিওয়ারি, ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে তামিমের সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেছেন। বিসিবি থেকে জানানো হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কার্যালয়, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে সার্বক্ষণিক তামিমের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ত ম ম ইকব ল ব ক এসপ র পর ব র র র অবস থ র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

জীবন বাঁচানোর যৌথ যাত্রা

প্রথমবার বন্ধুদের সঙ্গে স্বেচ্ছায় রক্তদানের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন রাহিল। বয়স তখনও ১৮ হয়নি। সন্ধানীর স্বেচ্ছাসেবীরা তখন বলেছিলেন– ‘১৮ বছর পূর্ণ হলে এসো, জীবন বাঁচাতে রক্ত দিও।’ রাহিল সে কথার মান রেখেছেন। ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর নিয়মিত রক্ত দিয়ে চলেছেন, এখন পর্যন্ত ৩৯ বার! তিনি বলেন, ‘মানুষের উপকার করতে পারার আনন্দের সঙ্গে আর কিছু তুলনা হয় না। এই ভাবনা থেকেই রক্তদানের চিন্তা মাথায় আসে।’
১৪ জুন, বিশ্ব রক্তদাতা দিবস। ২০০৪ সাল থেকে এ দিনটি উদযাপিত হয়ে আসছে, বিশ্বব্যাপী রক্তদাতাদের নিঃস্বার্থ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা ও আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে– ‘দাও রক্ত, জাগাও আশা– জীবন বাঁচানোর যৌথ যাত্রা’। প্রতিপাদ্যটিই যেন বলে দেয়, একাই নয়– এই পথচলা একসঙ্গে, জীবনের পাশে দাঁড়ানোর যাত্রা।
বাংলাদেশেও স্বেচ্ছায় রক্ত দেওয়ার প্রবণতা আশাব্যঞ্জকভাবে বাড়ছে। পেশাদার ডোনারদের তুলনায় এখন স্বেচ্ছাসেবীর সংখ্যা বেশি। জীবন বাঁচানোর যৌথ যাত্রায় কাজ করে যাচ্ছেন দেশের বহু মানুষ। কেউ এককভাবে, কেউ সংগঠনের ব্যানারে কাজ করছেন এই মানবিক প্রয়াসে। তেমনই একটি সংগঠন ‘ব্লাডম্যান বাংলাদেশ’। নামটি শুনে সুপারহিরোর কথা মনে হতে পারে, তবে তারা বাস্তবের নায়ক। এটি একটি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, যারা রক্তদাতা ও গ্রহীতার মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরি করে। এদের একটি কল সেন্টার রয়েছে– ০১৬২৭-২৬০৯৩৩; যার মাধ্যমে প্রতিদিন কেউ না কেউ ফিরে পান বেঁচে থাকার সুযোগ।
ব্লাডম্যানের প্রতিষ্ঠাতা শাহারিয়ার হাসান জিসান বলেন, ‘দেশে রক্তের যে চাহিদা, তা পুরোপুরি পূরণ হচ্ছে না। স্বেচ্ছায় রক্তদাতার সংখ্যা এখনও প্রয়োজনের তুলনায় কম। ফলে রক্তের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। আরও বেশি মানুষকে এই দায়িত্ব নিতে হবে।’
থ্যালাসেমিয়া রোগী মো. মারুফ বিল্লাহ ২০০৮ সাল থেকে রক্ত নিচ্ছেন। তাঁর অভিজ্ঞতা বেদনাবিধুর– ‘যখন আমার শরীরে রক্ত কমে যায়, তখন বিভিন্ন রকম অসুস্থতার মধ্যে পড়ে যাই। হাত-পা প্রচণ্ড ব্যথা করে। দাঁড়াতে অসুবিধা হয়, মাথা ঘোরে। কোনো কাজ না করা সত্ত্বেও হাঁপাতে থাকি। এ সমস্যা জটিল আকার ধারণ করে যখন রক্ত পাই না। একবার রক্ত না পেয়ে খুব কষ্টের মধ্যে পড়ে গিয়েছিলাম আমি ও আমার পরিবার। অনেক খোঁজার পরও আমার গ্রুপের রক্ত পাচ্ছিলাম না। আমি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি। শেষমেশ এক আত্মীয় এসে রক্ষা করেছিলেন আমাকে। আরেকবার আমি প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে পড়ি। তখনও প্রায় ১০ দিন পর একজন ডোনারের সন্ধান পেলাম। তাঁর হাসপাতালে আসার কথা ছিল। আমি পৌঁছাতে একটু দেরি করে ফেলেছিলাম। কারণ সেদিন কোনো যানবাহন খুঁজে পাচ্ছিলাম না। দেরি হওয়ার জন্য আমি ক্ষমা চাইলাম। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন, তাচ্ছিল্য করেন। আমি অসহায় ছিলাম। তারপরেও রক্ত মেলেনি। ডোনারের সঙ্গে আমার রক্ত ম্যাচ করল না। ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয় সেসব মুহূর্ত।’
করোনাকালেও এ রকম অসংখ্য মানবিক গল্প জন্ম নিয়েছে। এমনই এক অভিজ্ঞতার কথা জানান রাতুল হাসান। তাঁর মায়ের জরুরি অস্ত্রোপচারে দরকার ছিল দুই ব্যাগ রক্ত। সংক্রমণের ভয়, লকডাউন– সবকিছুর মাঝে এগিয়ে এসেছিলেন দু’জন অচেনা রক্তদাতা। রাতুল বলেন, ‘ওই সাহায্যের কথা আমি কোনো দিন ভুলতে পারব না।’ 
একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নওশাদ। আদরের সন্তানের থ্যালাসেমিয়া থাকায় প্রায় প্রতি মাসেই এক বা একাধিকবার রক্তের প্রয়োজন হয়। নওশাদ বলেন, ‘প্রতি মাসে যাদের রক্তের প্রয়োজন শুধু তারা ও তাদের পরিবারই জানে কী কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে যেতে হয় আমাদের। জীবন বাঁচাতে এগিয়ে আসা সব রক্তদাতার প্রতি আমাদের চিরকৃতজ্ঞতা।’
রক্তদানের আনন্দ শুধু গ্রহীতার বাঁচিয়ে তোলাতেই সীমাবদ্ধ নয়, দাতার নিজের মধ্যেও তা জন্ম দেয় অপার শান্তি। রক্তগ্রহীতা আর তাঁর পরিবার কৃতজ্ঞ থাকেন জীবন বাঁচানোর জন্য। অন্যদিকে দাতার জন্য এটি যে কী আনন্দের, তা ভাষায় বোঝানো সম্ভব নয়। আবার ধর্মীয় দৃষ্টিকোণেও রক্ত দেওয়া অত্যন্ত পুণ্য বা সওয়াবের কাজ। তেমনি শারীরিক দিক থেকেও এর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানের মতে, নিয়মিত রক্ত দেওয়া শরীরকে রাখে সুস্থ ও সচল, নতুন রক্তকোষ গঠনে সাহায্য করে।
মানবিক ও ধর্মীয় সব দৃষ্টিকোণ থেকে রক্তদাতা অনাবিল শান্তি অনুভব করেন এবং সামাজিকভাবে বিশেষ মর্যাদা পান। বলা হয়, পৃথিবীর সবচেয়ে দৃঢ় সম্পর্ক হলো রক্তের সম্পর্ক– গভীর, অচ্ছেদ্য বন্ধন। রক্তদানের মাধ্যমে গড়ে ওঠে মানবিকতার সম্পর্ক, গড়ে ওঠে সমাজে সংহতি ও সহমর্মিতার সেতু। রক্ত চেনে না জাতি, বর্ণ, গোত্র কিংবা ধর্ম– এ এক নীরব ভালোবাসার বার্তা। এই নিঃস্বার্থ সম্পর্কগুলোই সমাজকে করে তোলে আরও মানবিক, আরও সংবেদনশীল।
ভূপেন হাজারিকার অমর গানের পঙ্‌ক্তি মনে পড়ে– ‘মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য।’ এই কথাগুলোর জীবন্ত উদাহরণ আজকের স্বেচ্ছাসেবী রক্তদাতারা। তাদের ভালোবাসা, তাদের নিঃস্বার্থতা আমাদের জীবনযাত্রাকে করে তোলে আরও আলোকিত। রক্তদানের মতো ছোট্ট এক কর্ম, কখনও হয়ে ওঠে কারও জীবনের সবচেয়ে বড় উপহার। v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জীবন বাঁচানোর যৌথ যাত্রা