হার্ট অ্যাটাকের পর থেকে গাজীপুরের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। কাল সেখানে সফলভাবে তাঁর হার্টে রিংও পরানো হয়েছে।

তবে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণের ৪৮ ঘণ্টা শেষ হওয়ার আগেই হাসপাতাল বদলানো হচ্ছে তামিমের। কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে তাঁকে।

আজ ইফতারের পরই অ্যাম্বুলেন্সে করে কেপিজে হাসপাতাল ছেড়েছেন তিনি। তামিমের হাসপাতাল বদলের খবরটি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন কেপিজে হাসপাতালের কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিটের ইনচার্জ রাসেল হোসেন। তামিম ও তার পরিবারের ইচ্ছাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গেছে।

কাল বিকেএসপিতে শাইনপুকুরের বিপক্ষে মোহামেডানের ম্যাচের আগে অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম। সেখান থেকে তাঁকে বিকেএসপির অদূরের কেপিজে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এনজিওগ্রামের পর তামিমের মূল আর্টারিতে শতভাগ ব্লক পাওয়া গেলে তাঁকে তাৎক্ষণিক রিং পরানো হয়। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী কাল বিকালে সাংবাদিকদের বলেছিলেন তামিমকে ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখা হবে, এর মধ্যে প্রথম ২৪ ঘণ্টা বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

আজ ২৪ ঘণ্টা পেরোনোর পরও তামিমকে আরও একদিন কেপিজে হাসপাতালে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁকে এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরবর্তী চিকিৎসা প্রক্রিয়া নির্ধারণ করা হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ