দলের মূল খেলোয়াড়দের বেশির ভাগই আইপিএল খেলতে ভারতে। বাধ্য হয়েই পাকিস্তানের বিপক্ষে তাই মোটামুটি দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে নিউজিল্যান্ড। ওয়ানডে সিরিজটাও এমন দ্বিতীয় সারির খেলোয়াড়দের নিয়ে খেলতে হচ্ছে কিউইদের। তবে সেই দলটার শক্তিমত্তা আরও কমে গেল টম ল্যাথাম চোটে পড়ায়। ওয়ানডে সিরিজের অধিনায়কত্বের ভার ছিল যার কাঁধে, সেই ল্যাথাম হাত ভেঙে ছিটকে গেছেন দলের বাইরে।

নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট ল্যাথামকে অধিনায়ক করে মূল অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার আইপিএলে যাওয়ায়। সেই ল্যাথামও ছিটকে পড়ায় তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন নিউজিল্যান্ডকে নেতৃত্ব দেবেন মাইকেল ব্রেসওয়েল। পাকিস্তানের বিপক্ষে নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন এই অলরাউন্ডারই।

ক্রিকেট নিউজিল্যান্ড জানিয়েছে, অনুশীলনে ব্যাটিং করার সময়ে ল্যাথামের ডান হাতে বল আঘাত করে। পরে এক্স-রেতে ধরা পড়ে হাড়ে চিড় ধরেছে। চোট থেকে পুরোপুরি সেরে উঠতে এক মাসের মতো সময় লাগবে।

ওয়ানডে সিরিজে নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মাইকেল ব্রেসওয়েল.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস

রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।

‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।

এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।

বর্ষার ফুলের উৎসব

বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!

রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।

এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ