ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানানোর কারণে কমপক্ষে তিনশ’ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা যুক্তরাষ্ট্র বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসন দমন অভিযানে অন্তত ৩০০ বিদেশি শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। 

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার গায়ানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মার্কো রুবিও বলেন,‘প্রতিদিনই আমরা এ কাজ করি। যখন আমরা এসব উন্মাদ খুঁজে পাই তখন তাদের ভিসা বাতিল করি।’ 

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ করেছেন। তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন এসব আন্দোলনে জড়িত একাধিক শিক্ষার্থীকে ইতোমধ্যে আইনের আওতায় এনেছে।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনিদের সমর্থন জানানোর কারণে তুর্কি শিক্ষার্থী রুমেইসা ওজতুর্কের ভিসা বাতিল করেছে মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষ। তার আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতার করতে বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় ওজতুর্ককে আটক করা হয়। 

৩০ বছর বয়সী ওজতুর্ক বোস্টন অঙ্গরাজ্যের টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ে ডক্টরাল পর্যায়ে অধ্যয়নরত ছিলেন। ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যে সোমারভিলে নিজ বাড়ির কাছ থেকে তাকে আটক করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, মুখোশ পরিহিত সাদা পোশাকে থাকা সরকারি কর্মীরা ওই শিক্ষার্থীকে তুলে নিয়ে যাচ্ছেন।

বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার উপর হস্তক্ষেপ বলে তীব্র সমালোচনা করেন মানবাধিকার কর্মীরা। 

তবে নিজেদের কর্মকাণ্ডের সাফাই গেয়ে ট্রাম্প প্রশাসন জানায়, শিক্ষার্থীদের এসব আন্দোলন ইহুদীবিদ্বেষী যা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, ওজতুর্ক হামাসের মতো একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থনে কাজ করছিলেন, যে সংগঠনটি মার্কিন নাগরিকদের হত্যা করাকে উপভোগ করে। সবার মনে রাখা উচিত, মার্কিন ভিসা পাওয়া একটি সুযোগ, এটি কারও অধিকার নয়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ত ল কর

এছাড়াও পড়ুন:

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ: এবার কাদের বিপক্ষে, কবে খেলবে বাংলাদেশ?

আইসিসির বৈশ্বিক টেস্ট লিগ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ। তিনটি সফল চক্র শেষে চতুর্থ টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ চক্র, ২০২৫-২৭ মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। মঙ্গলবার (১৭ জুন) গলে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার টেস্ট দিয়ে শুরু হবে চতুর্থ চক্রের খেলা।

প্রতিটি দল দুই বছরের মধ্যে ছয়টি সিরিজ খেলবে। যার তিনটি দেশের মাটিতে, তিনটি প্রতিপক্ষের মাঠে। প্রতিটি সিরিজ হবে কমপক্ষে দুই টেস্টের। সর্বোচ্চ পাঁচটি টেস্ট থাকতে পারবে এক সিরিজে। এই সময়ে সিরিজ হবে মোট ২৭টি, যেখানে টেস্টের সংখ্যা ৭১টি। ২০২৭ সালের জুনে লিগ টেবিলের শীর্ষ দুই দলকে নিয়ে হবে ফাইনাল। শেষ তিন আসরের মতো ইংল্যান্ডেই বসবে সাতাশের ফাইনাল। সম্ভাব্য ভেন্যু লর্ডস।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে বাংলাদেশ সাতটি ম্যাচ খেলেছিল। জিততে পারেনি কোনো ম্যাচ। ড্র করেছিল একটি। হেরেছিল ছয়টি। পরের চক্রে ১২ ম্যাচে মাত্র ১ জয়, ১০টাতেই হার।

আরো পড়ুন:

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট পরিসংখ‌্যান

বাংলাদেশের বিপক্ষে হোম সিরিজে শ্রীলঙ্কার টেস্ট দল ঘোষণা

সর্বশেষ টেস্ট চক্রে বাংলাদেশ তিনটি ম্যাচ দেশের বাইরে, একটি দেশের মাটিতে জিতেছে। সব মিলিয়ে ১২ ম্যাচে চারটিতে জিতেছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডিতে দুই ম্যাচের সিরিজ জিতেছিল। এছাড়া নিউ জিল্যান্ডকে দেশের মাটিতে ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিদেশে হারিয়েছিল।

এবারের চক্রে বাংলাদেশ ১২টি ম্যাচ খেলবে। মোট ছয়টি সিরিজ। তিনটি দেশের বাইরে, তিনটি দেশের মাটিতে। দেশের বাইরে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কার পর কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে। কেননা দুটি সফরই শেষবারের দুই ফাইনালিস্টদের বিপক্ষে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অ্যাওয়ে সিরিজ রয়েছে বাংলাদেশের। এছাড়া ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে দেশের মাটিতে।    

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এই টেস্টের পর বাংলাদেশকে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের পরের ম্যাচের জন্য ২০২৬ সালের মার্চ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। পাকিস্তান ২০২৬ সালের মার্চে বাংলাদেশ সফর করবে। ২টি টেস্ট বাদেও ৩টি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে। ওই বছরের অক্টোবরে ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে আতিথেয়তা দেবে। নভেম্বর বাংলাদেশ যাবে দক্ষিণ আফ্রিকায়।

এরপর ২০২৭ সালে ইংল্যান্ড দুই টেস্টের জন্য আসবে ফেব্রুয়ারিতে। মার্চে বাংলাদেশ যাবে অস্ট্রেলিয়া সফরে। ২০০৩ সালের পর ২০২৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে প্রথম টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। আর এই সিরিজ দিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের চতুর্থ চক্র শেষ হবে।

নতুন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত বলেছিলেন, ‘‘টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে আমরা গত বছর (চক্রে) ৭ নম্বরে শেষ করেছি। এই বছর তো অবশ্যই লক্ষ্য থাকবে যেন ৪-৫-৬ নম্বরের মধ্যে আসতে পারি। তাহলে খুব ভালো হয়।”

“গত বছর (চক্রে) জয়ের হার সম্ভবত ৪৫ শতাংশ (আসলে ৪৫ পয়েন্ট ও ৩১.২৫ শতাংশ) ছিল। এখান থেকে যদি বাড়াতে পারি—৫০-৫৫ বা ৬০ শতাংশ হলে, একজন অধিনায়ক হিসেবে আমার মনে হয়, ভালো একটা ফল হবে আমাদের।”– যোগ করেন শান্ত।

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ