ভোলার চরফ্যাসনে বাবাকে স্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আমিরুল ইসলাম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রান্না খারাপ হওয়া নিয়ে পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুরের তর্কের জেরে শনিবার রাত ৮টার দিকে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ দিকে হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে পালিয়ে যান ছেলে ও ছেলের বউ।

নিহত মো.

রতন ফরাজী ওই গ্রামের মৃত আলী হোসেন ফারাজীর ছেলে।

প্রতিবেশীরা জানান, রতন ফরাজী ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম ছেলে আমিরুলের সংসারে থাকতেন। শনিবার ইফতারের পুত্রবধূ সাহানাজের কাছে খাবার খেতে চান শ্বশুর রতন ফরাজী। এ সময় রান্না খারাপ হওয়া নিয়ে পুত্রবধূ-শ্বশুর তর্কে জড়ান। তর্কের জেরে ছেলে ও পুত্রবধূ গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে রতন ফরাজীকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ঘরে রেখে পালিয়ে যান তারা। 

রতন ফরাজীর স্ত্রী বিলকিস বেগমের ভাষ্য, তিনি অন্য ঘরে ছিলেন। তাই কীভাবে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে তা জানা নেই। তবে তিনি খাবার ঘরে এসে দেখেন স্বামীর মরদেহ পড়ে আছে।

চরফ্যাসন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য প ত রবধ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩

বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে  বন্দর থানায়  চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫। 

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায়  আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।

গত রোববার (২ নভেম্বর)  রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা  ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।

‎মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে,  মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার  পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।

গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার  পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে  রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।

সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।

ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।

‎‎পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে।  এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ