ভোলার চরফ্যাসনে বাবাকে স্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে আমিরুল ইসলাম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে। রান্না খারাপ হওয়া নিয়ে পুত্রবধূর সঙ্গে শ্বশুরের তর্কের জেরে শনিবার রাত ৮টার দিকে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ শিবা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ দিকে হত্যাকাণ্ডের খবর ছড়িয়ে পড়লে পালিয়ে যান ছেলে ও ছেলের বউ।

নিহত মো.

রতন ফরাজী ওই গ্রামের মৃত আলী হোসেন ফারাজীর ছেলে।

প্রতিবেশীরা জানান, রতন ফরাজী ও তার স্ত্রী বিলকিস বেগম ছেলে আমিরুলের সংসারে থাকতেন। শনিবার ইফতারের পুত্রবধূ সাহানাজের কাছে খাবার খেতে চান শ্বশুর রতন ফরাজী। এ সময় রান্না খারাপ হওয়া নিয়ে পুত্রবধূ-শ্বশুর তর্কে জড়ান। তর্কের জেরে ছেলে ও পুত্রবধূ গলায় গামছা পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে রতন ফরাজীকে হত্যা করেন। পরে মরদেহ ঘরে রেখে পালিয়ে যান তারা। 

রতন ফরাজীর স্ত্রী বিলকিস বেগমের ভাষ্য, তিনি অন্য ঘরে ছিলেন। তাই কীভাবে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে তা জানা নেই। তবে তিনি খাবার ঘরে এসে দেখেন স্বামীর মরদেহ পড়ে আছে।

চরফ্যাসন থানার ওসি মিজানুর রহমান হাওলাদার জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হত য প ত রবধ

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ